পাতঞ্জল যোগদর্শন রহস্যঃ- সংক্ষেপে সমাধিপাদ PATANJAL YOGDARSHAN - SYNOPSIS OF SAMADHI-PAD - SSPF

Описание к видео পাতঞ্জল যোগদর্শন রহস্যঃ- সংক্ষেপে সমাধিপাদ PATANJAL YOGDARSHAN - SYNOPSIS OF SAMADHI-PAD - SSPF

পাতঞ্জল যোগদর্শন রহস্যঃ
সংক্ষেপে সমাধিপাদ
অজ্ঞান থেকেই অহংকারের জন্ম। প্রতিদিন খানিকটা সময় নিজেকে নির্জনে নিয়ে বসিয়ে দিন। আর অনুভব করুন যে নিজের মধ্যে যে অজ্ঞান অন্ধকারের জন্ম হয়েছে, তা ধীরে ধীরে অপসারিত হয়ে যাচ্ছে। তখন সমস্ত দর্শন, সমস্ত ধর্ম্মের নিগূঢ় তত্ত্ব, সমস্ত মনস্তত্ত্ব বুঝবার ক্ষমতা অৰ্জন হবে। নিজের মনের চিন্তার বিশ্লেষণ দ্বারা মনের এক উচ্চতম অবস্থার সন্ধান পাওয়া যাবে, একেই বলে সমাধি। এই সমাধি অবস্থার প্রাপ্তির সহায়ক হচ্ছে যোগ। সত্য কোনো জিজ্ঞাসার বস্তু নয়, সত্য আমাদের সহজাত। এই সহজাত বস্তুটি আমাদের সবার অন্তরের অন্তঃস্থলে অবস্থান করছে। সেই কেন্দ্রবিদুতে নিজেকে স্থির করতে পারলে সেই বিরাট পুরুষের কেন্দ্রকেও খুঁজে পাবো। আর যতদিন এটি না হচ্ছে, ততদিন আমাদের বারবার এই পৃথিবীতে ফিরে ফিরে আসতে হবে।
ঋষি পতঞ্জলির নির্দেশিত যোগের সোপানগুলো বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের সমাধির অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। এমনটা ভাববার কোনো কারন নেই যে, ঈশ্বর আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, আর জগৎটা এখন পাপী ও শয়তানে ভ'রে গেছে। আগে অনেক ঈশ্বর-পুরুষ ছিলেন, এখন আর কেউ নেই। আসলে আমরা সবাই সেই ঈশ্বর প্রেরিত। সমাধির অবস্থা লাভ হলেই আমাদের সেই উপলব্ধি হবে। মনকে ইন্দ্রীয়ভূমিতে খেলতে না দিয়ে তাকে চৈতন্য ভূমিতে খেলবার সুযোগ করে দিতে হবে।
ঋষি পতঞ্জলি বলছেন, সমাধি দ্বিবিধ - সম্প্রজ্ঞাত এবং অসম্প্রজ্ঞাত . একাগ্রভূমিতে সম্প্রজ্ঞাত , আর নিরোধ-ভূমিতে অসম্প্রজ্ঞাত। চিত্ত বৃত্তির নিরোধের নাম যোগ। নিরোধ মানে কিছু দমন নয়, নিরোধের অর্থ এখানে লয়। এখন চিত্তকে লয় করতে গেলে, চিত্তকে প্রথমে একাগ্র করতে হয়। চিত্তের ভূমি পাঁচটি - প্রমান, বিপর্যয়, বিকল্প, নিদ্রা, স্মৃতি। এই প্রমান আবার তিনটি - প্রত্যক্ষ, অনুমান, ও ঋষিবাক্যঃ বা আগম। সে যাই হোক, আমাদের চিত্ত কখনো প্রতক্ষ্য অনুভবের সাহায্যে জ্ঞান সংগ্রহ করে, কখনো অনুমানের সাহায্যে, কখনো বা আগমের সাহায্যে।অর্থাৎ আমরা জাগ্রত অবস্থায় এই তিন ভাবে আমরা জ্ঞানের সন্ধান পেতে থাকি।
এই জ্ঞান আবার দুই রকম একটা যথার্থ জ্ঞান, আর একটি বিপর্যয় জ্ঞান। এছাড়া আরো এক রকমের জ্ঞান আছে যাকে বলা হয় বিকল্প জ্ঞান। বিকপ্প জ্ঞান অর্থাৎ যার বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই কিন্তু একে অবাস্তব বলেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঈশ্বর চৈতন্য স্বরূপ। আমাদের কাছে, এই কথার না আছে কোনো বাস্তব ভিত্তি, না একে অস্বীকার করতে পারি। অর্থাৎ শব্দের সাহায্যে বা বাক্য দিয়ে বস্তুর রচনা করলে তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নাও থাকতে পরে। তবে ও ঠিক এই ধারণা থেকে মানুষের ক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতাকে বোঝানো হয়েছে। আবার বলা হয় ঈশ্বর চৈতন্য স্বরূপ । চৈতন্য একটা গুন্, ঈশ্বরের চৈতন্য, তাহলে ঈশ্বর কে ?
যাইহোক, আত্মাতেই মনকে স্থির করতে হযে। কিন্তু আত্মাতে মনকে স্থির করতে বললে, আমরা কিছুই বুঝতে পারি না। কারন আত্মা সম্পর্কে আমাদের কোনো উপলব্ধি নেই। তাই ঋষি পতঞ্জলি সমাধিপাদে এমন একটা সংকেত দিয়েছেন, যা আমাদের কাছে সাহজবোধ্য। আর তা হচ্ছে প্রণবের উচ্চারণ। ওঙ্কারের সাধনা। ওম-এর জপ। যা আমাদের কাছে সহজবোধ্য। সহজেই আমাদের পক্ষে করা সম্ভব।
ETERNAL PEACE SEEKER - SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION

Комментарии

Информация по комментариям в разработке