Скачать или смотреть দিন বা রাতে কখন মিলন করলে খুব সহজে গর্ভধারণ করা সম্ভব।if you have sex during the day or night.

#pregnancy #sperm # baby
আজকের ভিডিওটি তাদের জন্য যারা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও সন্তান নিতে পারছেন না। অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন খুব দ্রুতো গর্ভ ধারণ করতে চাইলে দিন বা রাতে কোন সময়টিতে মিলন করতে হবে। রাতে মিলন করলে পুরুষের শুক্রাণু নারীর ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কি বেশি থাকে অথবা সকাল ছয় টা থেকে সাত টার দিকে মিলন করলে কি গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। দ্রুত গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই টিপস গুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। জানতে হলে হেলথ মেডিসিন বিডি চ্যানেলের সাথেই থাকুন।

দিন বা রাত কোন সময়ে মিলন দ্রুত গর্ভধারণে সহায়ক এই বিষয়টি নিয়ে আলাদা দুটি বিশেষজ্ঞদের গ্রুপের দুটি ভিন্ন থিওরি নিয়ে আলোচনা করব। প্রথম যে বিশেষজ্ঞদের থিয়োরি নিয়ে আলোচনা করব। প্রথম বিশেষজ্ঞদের মতে তারা দ্রুত গর্ভধারণের জন্য রাত দশ টার পরে মিলন করাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন । কারণ এই সময় নিরিবিলি থাকে, কোলাহল থাকে না। প্রাইভেসি বজায় থাকে। এতে করে মিলনের প্রতি আগ্রহও আসে। কারণ গর্ভ ধারণের জন্য শুধু মিলন করলেই না মিলনের প্রতি আগ্রহ থাকাটাও জরুরি।

রাত আটটায় রাতের খাবার শেষ করলে রাত 10:00 টার মিলনের জন্য উপযুক্ত সময়। কেননা মিলন সাধারণত খাবারের 2-3 ঘণ্টা পরেই করতে হয়। এতে পেটে গ্যাস, ব্লোটিং বা পেট ফুলে থাকা অথবা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে না। এখানে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই বলা হচ্ছে। নাভির নীচের অংশে গ্যাস অ্যাসিডিটি মুক্ত থাকলে মিলন এর প্রতি আগ্রহ আসার পাশাপাশি মিলনে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। এছাড়াও মিলনের পরপরই উঠে দাঁড়ালে অনেক নারীদের ভেতর থেকে পুরুষের শুক্রাণু সহ সব তরল বেরিয়ে আসে।

এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে মিলন করে ঘুমিয়ে গেলে টানা একটা সময়ে শুয়ে থেকেই ঘুমের মধ্যেই কেটে যায়। এই সময়ের মধ্যে শুক্রাণু সাঁতরিয়ে জরায়ুতে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। আর বীর্যে থাকা অন্যান্য তরল ঘুম থেকে ওঠার পর বাইরে আসে যা একদম স্বাভাবিক। অপরদিকে দিনে মিলন করলে ঠিক ভাবে প্রাইভেসি থাকেনা৷ কোলাহল থাকে, যৌথ পরিবার হলে আরও প্রাইভেসি থাকে না।

মিলনের পরপরই উঠে যাওয়ার ফলে বীর্যে থাকা শুক্রাণু জরায়ুতে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না এবং বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে গর্ভধারণে বিলম্ব হয়। এবার অন্য গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা যে থিয়োরি দিয়েছেন সেটি হল ভোরে, মানে সকালে সময়ে সুস্থ স্বাভাবিক একজন পুরুষের লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকে। সকালে এই সময়টি ভোর 5:00 থেকে সাত টার মধ্যে ধরা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা অনেকটা হাই থাকে।

পিক পয়েন্ট থাকে। এই সময়ে পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণও বেশি থাকে।

তাই এঁদের মতে, সকালে এই সময়টিতে মিলনে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে দ্রুত গর্ভধারণের জন্য সকাল , রাত বা দুপুর কোন সময় মিলন করবেন সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মাসের কোন দিনগুলোতে কোন পদ্ধতিতে মিলন করছেন। কারণ স্বামী স্ত্রী যে কোনও দিনে সকাল বা রাতে মিলন করলেই গর্ভ ধারণ হবে না। গর্ভ ধারণের জন্য মাসিক সারকেলের মাঝের দিনগুলোতে মিলন করতে হবে। এ জন্য মাসিক শুরুর দিন থেকে হিসেব শুরু করে 10 তম দিন থেকে।

20 তম দিন পর্যন্ত মিলন করতে হবে। এর মধ্যেও সবথেকে উর্বর দিন হল মাসের 13 তম, 14 তম, 15 তম দিন। সরাসরি মিলন না করে অবশ্যই আগে ফোরপ্লেড প্রতি গুরুত্ব দিন। অর্থাৎ সঙ্গিনীর মিলের প্রতি আগ্রহ তৈরি করুন, যাতে উপভোগ্য হয়। মনে রাখবেন মিলনের সময় কোনও ধরনের দুশ্চিন্তা, সন্তান নেবার মানসিক চাপ ,স্বামী স্ত্রীর মাঝে রাগ মনোভাব এই ধরনের কিছু যেন না থাকে৷ পুরো সময়টাই সকল ধরনের দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে উভয়েই উপভোগ করবেন। এতে উভয়েরই ডিসচার্জ হওয়ার মধ্য দিয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

অনেকের মনে আবার প্রশ্ন থাকে যে, এক রাতে দুইবার মিলনে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে কি না অথবা কোনও সমস্যা হবে কিনা? এর উত্তর হলো একাধিকবার মিলন করতেই পারেন। তবে পুরুষদের প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বারে বীর্যপাতের পরিমাণ কিছুটা কম হতে পারে। এতে সমস্যা নেই। বরং প্রথমবার যে পরিমাণ শুক্রাণু জরায়ুতে মজুদ হইছে দ্বিতীয়বারে মিলনের ফলে আরো কিছু শুক্রাণু মজুদ হওয়ার সুযোগ পায়। এ কারণে মাসিক সার্কেলের ফারটাল ডেয় বা উর্বল দিনগুলোতে যদি আগ্রহ থাকে সে ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে একবার এবং ঘুম থেকে উঠে একবার মিলন করতে পারেন। এতে করে দ্রুত গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আবার যদি অনিমিত মাসিক হয় অথবা ovulation কবে হবে সেটা যদি বুঝতে না পারেন সে ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন করে মিলন করবেন। একদিন পরপর মিলন করলে সবচেয়ে ভালো। কেননা নারীর দেহে পুরুষের শুক্রাণু চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এতে করে ovulation যখনই হোক না কেন শুক্রাণু জরায়ুতে মজুদ থাকবে এবং ovulation হওয়ার সাথে সাথে ডিমবানোর সাথে মিলিত হতে থাকবে। এতে করে আপনার গর্ভধারণের চান্স ১০০% বেড়ে যাবে, আর ওভুলেশন মিস হওয়ার চান্সও থাকবে না। খুব দ্রুত গর্ভ ধারণ করতে পারবেন। তো বন্ধুগণ ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক প্রতিটি মা এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের হেল্প মেডিসিন বিডি চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।