Скачать или смотреть চট্রগ্রামে ও মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন alorkantho24news youtube live

চট্রগ্রামে ও মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন alorkantho24news youtube live
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট-চট্টগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে ঢাকা- চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি জেলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ দিবস পালিত হয়
আজ ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার, ‘মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দিবস’ পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম। এখন থেকে প্রতিবছরের ১৬ জানুয়ারিকে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দিবস পালন করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভা হয়।বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা সহ জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভায় বক্তারা দিবসটিকে সরকারিভাবে পালনের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে প্রথম শোক দিবস পালন করা হয়। এর পর দিবসটি আর পালন করা হয়নি। বক্তারা বলেন, শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করে শহীদ পরিবারের দেখভাল করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসা উচিত।
গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ফাহিমউদ্দিন আহমদ বক্তরা আরো বলেন বলেন ৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এই দিবসটি খুবই গুরুত্বের সাথে পালন করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাইদসহ দল ও সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ফুল দিয়েছিলেন, সরকারি বেসরকারি সব অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল, দেশের সব জেলা, থানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালিত হয়েছিল। অজানা কারণে এই দিবসটি আর পালিত হয়নি। তিনি সরকারকে শহীদদের সম্মান জানাতে এই দিবসটি পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানান। বর্তমান প্রজন্মের পক্ষে গবেষণাকেন্দ্র কর্মী আলম রুমি বলেন আমরা আমাদের বীর শহীদদের জানতে ও শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস চাই।

এই দিবস পালন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের বিশাল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্ম শহীদ মিনারে জমায়েত হন। তাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। চট্টগ্রাম শহীদমিনাওে বক্তব্য দিতে গিয়ে গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজ বলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বছর বছর শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধু এই দিনে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে অজানা কারণে এই দিবসটি আর পালিত হয়নি। মুজিব বর্ষে এসে এই দিবসটি আবার চালু করার দাবি রইলো। তিনি বলেন শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধু আর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই যথেষ্ট নয়। বঙ্গবন্ধু ও যোদ্ধাদের স্বপ্নের বাঙলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা চালু, একমুখী গণমুখী, প্রাথমিক অবৈতনিক বাধ্যতামুলক শিক্ষার প্রচলন, সর্বোচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামুলক করা, দুর্নীতি রোধে জবাবদিহীমুলক প্রশাসন সৃষ্টি , অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। শহীদ জায়া মুশতারি শফি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

কিন্তু এরপর আর জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হয়নি। আমরা হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ এই একটি দিবসকে আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই।১৬ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই জাতীয় শোক দিবস পালনের সময় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল। সকালে বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সরকারি বাসভবনের সামনে সমাবেশে জাতির পিতা ভাষণ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও বিহারে শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছিল।এসময় চট্রগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্হিত ছিলেন।এসময় বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট-চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধা ফাহিম উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধা মোঃহারিছ মুক্তিযুদ্ধা দেওয়ান মাকসুদ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম কমিটির সভাপতি পিনাক্ষি দাশ, আলোর কণ্ঠের শিব্দির আহমেদ বাহাদুর সহ প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।