#anzinfo360,
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের করণীয় তাৎপর্য গুরুত্বপূর্ণ দশটি মাসালা I শাইখ আহমাদুল্লাহ I
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। মর্যাদা বোঝাতে মহান আল্লাহ এ দিনগুলোর কসম খেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ দশ রাতের।’ (সুরা : ফাজর, আয়াত : ১-২)
এখানে যে ১০ রাতের কথা বলা হয়েছে, তা হলো জিলহজের প্রথম ১০ রাত। (তাফসিরে ইবনে কাসির, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩৫)
চারটি পবিত্র ও সম্মানিত মাসের মধ্যে জিলহজ অন্যতম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি—আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৬)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদিস শরিফে এসেছে, ওই মাসগুলো হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম ১০ দিনের নেক আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও এই ১০ দিনের আমলের চেয়ে উত্তম নয়? রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও এর চেয়ে উত্তম নয়; তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরে এলো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৩৮, বুখারি, হাদিস : ৯৬৯)
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল
সিয়াম : রোজা রাখা অন্যতম একটি নেক কাজ। তাই এ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা খুবই পুণ্যময়। হুনাইদা বিন খালেদ তাঁর স্ত্রী থেকে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জনৈক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, আশুরার দিন ও প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করতেন।’ (আহমদ, আবু দাউদ ও নাসায়ি)
আরাফার দিন রোজা : আরাফার দিন রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, আরাফার দিনের রোজা আগের ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।’ (মুসলিম)। তবে আরাফায় অবস্থানকারী হাজিদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা মহানবী (সা.) আরাফায় অবস্থান করেছিলেন রোজাবিহীন অবস্থায়।
হজ ও ওমরাহ সম্পাদন করা : হজ ও ওমরাহ এ দুটি হলো এ দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারাস্বরূপ আর কবুল হজের প্রতিদান কেবলই জান্নাত।’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস : ৩৩৫৫)
তাকবির ও তাসবিহ পড়া : এই দিনগুলোতে তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানল্লাহ) পড়া সুন্নত। এ দিনগুলোয় জিকির-আজকারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ ১০ দিনে নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময়ে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল-হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো।’ (বায়হাবি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৪৭৪)
জিলহজের চাঁদ উঠার পর করণীয় : জিলহজ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে নিয়ে চুল, মোচ, নখ, বগল ও অন্য স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির ইচ্ছা করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৬৫৬)। তবে এ আমল মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়।
তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা : জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে নিয়ে ১৩ তারিখের আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা কর্তব্য। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
এ তাকবির একবার পাঠ করবে। তাকবিরে তাশরিক হলো, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’
পশু কোরবানি করা : এ দিনগুলোর দশম দিন সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব।
Collected: https://www.kalerkantho.com/print-edi....
কুরবানী কার উপর ফরজ,
কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম,
কোরবানির নিয়ম কানুন,
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত,
কুরবানির হাসিল,
কোরবানির নিয়ম কারণ,
কুরবানির বিধান,
কোরবানির মাংস ভাগের নিয়ম,
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত,
কোরবানি সম্পর্কে হাদিস,
কুরবানীর নিয়ম কানুন,
কুরবানী কার উপর ফরজ,
সাত ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি,
কোরবানির নিয়ম কানুন,
কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত,
কুরবানির প্রশ্ন উত্তর,
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত,
কোরবানি সম্পর্কে হাদিস,
কুরবানীর নিয়ম কানুন,
কুরবানী কার উপর ফরজ,
সাত ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি,
কোরবানির নিয়ম কানুন,
কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত,
কুরবানির প্রশ্ন উত্তর,
Video Credit By: আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
►► সুন্দর এই ভিডিওটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। ভিডিওতে লাইক দিন এবং কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। ইসলামের প্রতিটি বানী ছড়িয়ে দিতে ''anzinfo360'' চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনে ক্লিক করুন, যেন নতুন নতুন ভিডিও দেওয়া মাত্রই সবার আগে পেয়ে যান । জাযাকাল্লাহ । ◀️◀️
Информация по комментариям в разработке