Nine Ten 'ঝরনার গান' কবিতার সহজ সরল ব্যাখ্যা 2025 | Bangla Kobita Jhornar Gan | SSC 2025, 26, ও 27.
কবিতাটির কি নিয়ে তার প্রাথমিক আলোচনা:
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের "ঝরনার গান" কবিতাটি প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং আনন্দের অনুভূতির একটি চিত্র তুলে ধরে। কবির কথায়, তিনি দ্রুত দৌড়াচ্ছেন এবং পরীদের গান গাইছেন, যা তার মনকে আনন্দিত করে। কবি প্রকৃতির শিথিলতা, ঝিঁঝিঁর ডাক, এবং নির্জন পরিবেশের মধ্যে একাকী গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
তিনি বিভিন্ন পাখির ডাক এবং প্রকৃতির সুরের মাঝে নিজের তৃষ্ণা ও সুন্দর মুহূর্তগুলি খুঁজে পেতে চেষ্টা করছেন। কবিতে উদ্বেগ বা শঙ্কার অভাব রয়েছে এবং তিনি দোলাচল করে আনন্দের মধ্যে রয়েছেন।
শেষে, কবি প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে চলতে থাকেন এবং সৌন্দর্যের খোঁজে দৌড়াতে থাকেন, যা তার মুগ্ধতা এবং জীবনের আনন্দকে তুলে ধরে। কবিতাটি প্রকৃতির সাথে মানব অনুভূতির সংযোগকে প্রকাশ করে এবং আনন্দের মুহূর্তগুলোকে উদযাপন করে।
‘ঝরনার গান’ কবিতার প্রতিটি লাইনের আলাদা ব্যাখ্যা:
১. চপল পায় কেবল ধাই,
এখানে কবি বলছেন যে, চপল পায় (অর্থাৎ, দ্রুত চলাফেরা করতে পারে)।
২. কেবল গাই পরীর গান,
তিনি শুধুমাত্র পরীদের গান গাইছেন।
৩. পুলক মোর সকল গায়,
আমার সমস্ত অনুভূতি আনন্দিত।
৪. বিভোল মোর সকল প্রাণ।
আমার সমস্ত প্রাণ যেন বিভোল বা বিমোহিত।
৫. শিথিল সব শিলার পর
শিলার পর (পাথরের ওপর) সব কিছু শিথিল বা শিথিল হয়ে আছে।
৬. চরণ দুই দোদুল মন,
দুই পা (চরণ) দোদুল (দোলাচল) করছে।
৭. দুপুর-ভোর ঝিঁঝিঁর ডাক,
দুপুর-বিকেল ঝিঁঝিঁর ডাক শোনা যাচ্ছে।
৮. ঝিমায় পথ, ঘুমায় বন।
পথ ঝিমাচ্ছে এবং বন ঘুমিয়ে আছে।
৯. বিজন দেশ, কূজন নাই
এটি একটি নির্জন জায়গা, যেখানে কূজন (পাখির ডাক) নেই।
১০. নিজের পায় বাজাই তাল,
নিজের পায়ের তাল (ছন্দ) বাজাচ্ছে।
১১. একলা গাই, একলা ধাই,
একাই গান গাইছি, একাই দৌড়াচ্ছি।
১২. দিবস রাত, সাঁঝ সকাল।
দিন রাত এবং সন্ধ্যা সকাল।
১৩. ঝুঁকিয়ে ঘাড় ঝুম-পাহাড়
ঘাড় ঝুঁকিয়ে ঝুম-পাহাড়ের দিকে তাকাচ্ছেন।
১৪. ভয় দ্যাখায়, চোখ পাকায়;
ভয় দেখাচ্ছে এবং চোখ পাকাচ্ছে।
১৫. শঙ্কা নাই, সমান যাই,
কিন্তু কোনো শঙ্কা নেই, সমানভাবে চলছি।
১৬. টগর-ফুল-নূপুর পায়,
টগর ফুল এবং নূপুর (এক ধরনের অলংকার) পায়।
১৭. কোন গিরির হিম ললাট
কোন গিরির শীতল ললাটের দিকে।
১৮. ঘামল মোর উদ্ভবে,
মোর উদ্ভবে (আবেগে) ঘামছে।
১৯. কোন পরীর টুটুল হার
কোন পরীর টুটুল হার (অলংকার)।
২০. কোন নাচের উৎসবে।
কোন নাচের উৎসবে।
২১. খেয়াল নাই-নাই রে ভাই
কিছুই খেয়াল নেই।
২২. পাই নি তার সংবাদই
তার সংবাদও পাইনি।
২৩. ধাই লীলায়, খিলখিলাই-
দৌড়াচ্ছি আনন্দে, খিলখিল (হাস্যরস) করছি।
২৪. বুলবুলির বোল সাধি।
বুলবুলি (পাখি) এর গান উপভোগ করছি।
২৫. বন-ঝাউয়ের ঝোপগুলায়
বন-ঝাউয়ের ঝোপে।
২৬. কালসারের দল চরে,
কালসার (এক ধরনের পোকা) এর দল চলাফেরা করছে।
২৭. শিং শিলায়-শিলার গায়,
শিলায় শিং (এক ধরনের পাথর) এবং শিলার গান।
২৮. ডালচিনির রং ধরে।
ডালচিনির রঙে রাঙানো।
২৯. ঝাঁপিয়ে যাই, লাফিয়ে ধাই,
ঝাঁপিয়ে যাচ্ছি, লাফিয়ে দৌড়াচ্ছি।
৩০. দুলিয়ে যাই অচল-ঠাঁট,
অচল-ঠাঁটে দুলিয়ে যাচ্ছি।
৩১. নাড়িয়ে যাই, বাড়িয়ে যাই-
নাড়িয়ে এবং বাড়িয়ে যাচ্ছি।
৩২. টিলার গায় ডালিম-ফাট।
টিলার গায়ে ডালিমের ফল ফুটে উঠেছে
৩৩. শালিক শুক বুলায় মুখ
শালিক পাখি মুখে শুক বুলাচ্ছে।
৩৪. থল-ঝাঁঝির মখমলে,
থল-ঝাঁঝির মখমলে।
৩৫. জরির জাল আংরাখায়
জরি (সুতার কাজ) জাল পরিধান করছে।
৩৬. অঙ্গ মোর ঝলমলে।
আমার অঙ্গ ঝলমলে।
৩৭. নিম্নে ধাই, শুনতে পাই
নিচে দৌড়াচ্ছি, শুনতে পারছি।
৩৮. 'ফটিক জল।' হাঁকছে কে,
'ফটিক জল' কে ডাকছে?
৩৯. কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা যার
যার কণ্ঠে তৃষ্ণা।
৪০. নিক না সেই পাঁক ছেঁকে।
সেই পাঁক (অশুদ্ধ) থেকে দূরে থাক।
৪১. গরজ যার জল স্যাঁচার
যার জল স্যাঁচার (স্বচ্ছ)।
৪২. পাতকুয়ায় যাক না সেই,
পাতকুয়ায় (জলাশয়) যাক।
৪৩. সুন্দরের তৃষ্ণা যার
যার সৌন্দর্যের তৃষ্ণা।
৪৪. আমরা ধাই তার আশেই।
আমরা তার আশায় দৌড়াচ্ছি।
৪৫. তার খোঁজেই বিরাম নেই
তার খোঁজে বিরাম নেই।
৪৬. বিলাই তান-তরল শ্লোক,
বিলাই (বিল্লি) তান এবং তরল শ্লোক।
৪৭. চকোর চায় চন্দ্রমায়,
চকোর চাঁদের দিকে তাকাচ্ছে।
৪৮. আমরা চাই মুগ্ধ-চোখ।
আমরা মুগ্ধ চোখ চাচ্ছি।
৪৯. চপল পায় কেবল ধাই
এখানে কবি আবার বলছেন, চপল পায় (দ্রুত চলাফেরা)।
৫০. উপল-ঘায় দিই ঝিলিক
উপল-ঘায় (পাথরের উপরে) ঝিলিক (দীপ্তি) দিচ্ছি।
৫১. দুল দোলাই মন ভোলাই,
দুল (দোলানো) এবং মনকে মোহিত করছি।
৫২. ঝিলমিলাই দিগ্বিদিক।
ঝিলমিল (জ্বলজ্বলে) দিগ্বিদিক (চারদিক)
অপরিচিত শব্দগুলোর সরল বাংলা অর্থ:
চপল: দ্রুত, চঞ্চ
পুলক: আনন্দ
বিভোল: বিমোহিত
শিথিল: শিথিল, শিথিলতা
দোদুল: দোলাচল
ঝিঁঝিঁ: এক ধরনের পোকা
বিজন: নির্জন
কূজন: পাখির ডাক
টগর*: এক ধরনের ফুল
নূপুর: অলংকার (পায়ে পরা)
লীলায়: খোশ মেজাজে
বুলবুলি: এক ধরনের পাখি
কালসার: এক ধরনের পোকা
ঝাঁঝির: এক ধরনের পাখি
জরি: সূতোর কাজ
ফটিক: স্বচ্ছ, পরিষ্কার
পাঁক: অশুদ্ধতা
মুগ্ধ: বিমোহিত
পাঠ-পরিচিতি: সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'ঝরনার গান' কবিতাটি কবির বিদায় আরতি কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছে। কবিতাটিতে অদ্ভুত ধ্বনিব্যঞ্জনায় প্রকাশিত হয়েছে অপূর্ব ভাব। চঞ্চল পা পুলকিত গতিময়: স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন। নির্জন দুপুরে পাখির ডাকও শোনা যায় না। পাহাড় যেন দৈত্যের মতো ঘাড় ঘুরিয়ে ভয় দেখায়। এত কিছুর মধ্যেও ঝরনার চঞ্চল ও আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসে সাদা জলরাশির ধারা। চমৎকার এর ধ্বনিমাধুর্য ও বর্ণবৈভব। এই জলধারার যে সৌন্দর্য এবং অমিয় স্বাদ তা তুলনারহিত। গিরি থেকে পতিত এই অম্বুরাশি পাথরের বুকে আঘাত হেনে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে যে অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে তা সত্যি মনোহর।
#class9bangla #kobita #jhornargankobita #ssc2027 #ssc2026 #ssc2025 #banglakobita #class10bangla #jhornargan #sscbangla #class9bangla #kobita #ssckobita #1stpaperbangla
Информация по комментариям в разработке