Скачать или смотреть রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ আকাশসীমা একাধিক লঙ্ঘনে ||

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার সাথে সাথে আকাশসীমা অনুপ্রবেশের সময় পোল্যান্ড ড্রোন ভূপাতিত করেছে
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন যে 'পোলিশ আকাশসীমা একাধিক লঙ্ঘনের' পরে সামরিক প্রতিরক্ষা মোতায়েন করা হয়েছে। পোল্যান্ড তাদের আকাশসীমা একাধিকবার লঙ্ঘনের পর রাশিয়ান ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে পোলিশ সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড। তারা জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে লক্ষ্যভিত্তিক হামলার সময় এই ড্রোনগুলো পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়—
👉 “অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং ভূপাতিত লক্ষ্যগুলো শনাক্ত করার জন্য অভিযান চলছে।”
পোল্যান্ড ও ন্যাটো জোটের যুদ্ধবিমান আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার নজরদারি সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কও নিশ্চিত করেছেন যে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামরিক অভিযান চলছে। তিনি বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে আছেন এবং সরাসরি অপারেশনাল কমান্ডারের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাচ্ছেন।
🔻 বিমানবন্দর বন্ধ
সামরিক কার্যক্রমের কারণে পোল্যান্ডের চারটি বিমানবন্দর—ওয়ারশর প্রধান শোপেন এয়ারপোর্ট, রেজশভ–জাসিওনকা, ওয়ারশ মডলিন এবং লুবলিন—সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। শোপেন বিমানবন্দর পরে জানায়, “রাষ্ট্রীয় সেবা ও সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের কারণে” আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। যাত্রীদের এয়ারলাইনস ও সরকারি ঘোষণাগুলো পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
🔻 রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়া ও সীমান্ত পরিস্থিতি
ইতোমধ্যে পোল্যান্ড ঘোষণা করেছে যে, তারা বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে (স্থানীয় সময়) বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেবে। কারণ, রাশিয়া ও বেলারুশ যৌথভাবে ব্যাপক সামরিক মহড়া (Zapad-2025) শুরু করছে। এই মহড়া পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার মতো ন্যাটো সদস্য প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সিন কিয়েরভিনস্কি বলেছেন, সীমান্ত কেবল তখনই আবার খোলা হবে যখন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে আর কোনো হুমকি নেই।
অন্যদিকে, বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোলিশ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে এবং সীমান্ত বন্ধের সমালোচনা করেছে। তাদের ভাষ্য, এই সিদ্ধান্ত “গুরুতর অসুবিধা” তৈরি করছে এবং এটি “নিজস্ব কার্যক্রম গোপন করার প্রচেষ্টা” ছাড়া আর কিছু নয়।
লিথুয়ানিয়ার সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছে, রাশিয়া-বেলারুশ মহড়ার কারণে তারা বেলারুশ ও রাশিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা আরও জোরদার করছে।
👉 সারসংক্ষেপে, রাশিয়ার ড্রোন হামলার জেরে পোল্যান্ড প্রথমবারের মতো সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ন্যাটো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, আর আসন্ন রাশিয়া-বেলারুশ মহড়া পূর্ব ইউরোপে নতুন করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।
আপনি কি চান আমি এটা নিয়ে একটা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষণ তৈরি করি—যেখানে ন্যাটো, ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়া-বেলারুশ মহড়ার প্রভাব একসাথে ব্যাখ্যা করা হবে?