মিলাদ ও কিয়াম | বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফ | Milad Kiyam Enayetpuri

Описание к видео মিলাদ ও কিয়াম | বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফ | Milad Kiyam Enayetpuri

খাজা ইউনুস আলীর জন্ম ১১ জ্বিলহজ্জ ১৩০৩, (১০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ), তিনি শিক্ষা এবং গবেষণা জন্য ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সে কলকাতার শেখ সৈয়দ ওয়াজেদ আলীকে অনুসরণ করেন।[২][৩] উপমহাদেশের প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা, ওলিয়ে-কামেল সিরাজগঞ্জের হযরত শাহ্ সুফি খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী ইসলাম প্রচারে এক অবিসংবাদিত নেতা। তিনি তার কর্মময় জীবনের মাধ্যমে সুফীবাদকে সমগ্র বাংলা এবং ভারতের আসামে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। এজন্য তার দেখানো মানবতার দর্শন ও ইসলাম প্রচারে বাংলা ও আসামে ১২শ পীর আওলীয়া তাদের খানকা তথা দরবারে ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন।

আধ্যাত্বিক সুফী সাধক হযরত খাজা ইউনুছ আলীর পূর্বপুরুষ এসেছেন ইয়েমেন থেকে। তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্যই তাদের আগমন ঘঠে। খাজা এনায়েতপুরী এর বাবা শাহ আব্দুল করিম মাতা তহমিনা বেগম এর ২ ছেলে এবং ১ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

অবিভক্ত ভারত-বাংলার অন্যতম ধর্ম প্রচারক তৎকালীন কোলকাতার মেহেদীবাগ দরবার শরীফের পীর আওলাদে রসুল খাজা ওয়াজেদ আলী-র সংস্পর্শে আসেন খাজা ইউনুছ আলী । তার আদর্শিক কর্মকান্ড এবং মানুষের প্রতি অগাধ ভালবাসা আর নির্লোভ গুণের কারণে খুব স্বল্প সময়ে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী গুরু খাজা ওয়াজেদ আলীর তরিকা লাভ করেন। ভোগ বিলাসী জীবনের বিরোধী এই মহামানব মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইসলাম ও সুফীবাদের দর্শন ভারতের আসাম সহ সাড়া বাংলায় প্রচারে খেলাফত প্রাপ্ত হন। এরপর নিজ ভুমে ফিরে এসে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খানকা স্থাপন করে শুরু করেন ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর শান্তির তরিকা প্রচার এবং আদর্শের সুফী বাদের বিস্তার কাজ। সেখানেই তিনি বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। জনক হন ৮ কন্যা এবং ৫ পুত্র সন্তানের। পরবর্তীতে সমগ্র বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের আসামে সফর করে তিনি ইসলাম ও সুফীবাদ প্রচার কাজ তরান্বিত করেন। তিনি ইসলামের মর্মবাণী-তরিকত দর্শন প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা মুলক কাজেও রেখেছিলেন অনন্য অবদান।

এরপর তার অনুসারীদের পরামর্শক্রমে এনায়েতপুর দরবারে ১৯১৫ সাল থেকে শুরু করেন ওরশ শরীফ। এতে সাড়া দেশ থেকেই তার ভক্ত মুরিদরা এখানে সমবেত হতে থাকেন। যা ধীরে-ধীরে অগণিত ভক্তদের আগমনে মহাসমাবেশে রুপ নেয়। এরই একপর্যায়ে তার সংস্পর্শে এসে আদর্শিক আলোর পথ প্রচারে ১২শ পীর আওলিয়া নিয়োজিত হন।

এর মধ্যে ফরিদপুরের সদরপুরের প্রখ্যাত আটরশি পীর, চন্দ্রপাড়া পীর, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ পীর, টাঙ্গাইল প্যারাডাইস পাড়া, কুমিল্লার ইসলামাবাদ, মাতুয়াইল, জামালপুরের সাধুরপাড়া মোসলেম নগর, যশোরের ঘুনী দরবার শরীফ, ভারতের আসামের মেহেদীবাগ গণি খলিফার দরবার শরীফ অন্যতম। তারা একইভাবে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী সুফী বাদের আদর্শ ও ইসলাম প্রচার করছেন। একজন পরিপূর্ণ মানবতাবাদী হিসেবে তিনি সারাটা জীবন অসহায় দুঃখী মানুষদের নিজের হাতে সহযোগীতা করে গেছেন। বাংলা ১৩৫৪ সনে নিজ দরবারে বিনামুল্যে চিকিৎসার জন্য “খাজা দাতব্য চিকিৎসালয়” নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তোলেন। বিনা পয়সায় সেবা দিয়ে যাওয়া আধুনিক চিকিৎসার এই প্রতিষ্ঠানটি দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো জাকের ও এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে যা বর্তমানে ৭০ বছর পার করছে।[৪]




#jikir
#gojol
#jikir_o_gojol
#enayetpuri_jikir
#আহালে_সুন্নত
#নবী প্রেম
#মিলাদ_ও_কিয়াম
#মিলাদ
#এনায়েতপুর_পাক_দরবার_শরিফ
#আটরশী
#চন্দ্রপুরী
#কুতুব_বাগী
#নেসবতে_খাজা_বাবা_এনায়েতপুরী

Комментарии

Информация по комментариям в разработке