ব্যথা পেলে ঠান্ডা নাকি গরম সেঁক দিবেন - Instant Pain relief Tips in Bangla

Описание к видео ব্যথা পেলে ঠান্ডা নাকি গরম সেঁক দিবেন - Instant Pain relief Tips in Bangla

Voltagel for Good Life (SK+F) নিবেদিত "ব্যথার কাহন" এর এই পর্বে বলেছেন

আথ্রোস্কোপিক ও অর্থোপেডিক সার্জন
ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন
সহযোগী অধ্যাপক
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা
চেম্বারঃ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল লিঃ, শ্যামলী, ঢাকা
10633

মিডিয়া পার্টনার - MediTalk Digital

আমাদের দেশে ব্যথা উপশমে সেঁক দেওয়ার প্রচলন অনেক আগের। বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে হট ওয়াটার ব্যাগ, আইসব্যাগ ইত্যাদির সমাহারও দেখা যায়। তবে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক তাঁর রোগীকে ব্যথা উপশমে কখন কীভাবে গরম সেঁক বা ঠান্ডা সেঁক নিতে হবে, তা নির্ধারণ করে থাকেন।

ফিজিওথেরাপিতে থার্মাল থেরাপি বা তাপের সাহায্যে চিকিৎসা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
থার্মাল থেরাপির সাহায্য খুব সহজে ব্যথা কমিয়ে আনা যায়। জেনে নেওয়া যাক কোন সময় গরম সেঁক ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি সুফল
পাওয়া যাবে।

গরম সেঁক
যখন একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগে থাকেন, তবে সেই ব্যথার স্থানে গরম পানির সেঁক খুবই কার্যকর। তাপ প্রয়োগে যেকোনো বস্তুর প্রসারণ ঘটে। এ নীতি অনুসরণ করে যখন দেহের কোনো অংশে গরম সেঁক দেওয়া হয়, তখন সেখানকার রক্তনালির প্রসারণ ঘটে এবং সেখানে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। রক্তপ্রবাহ বাড়ার কারণে সেখানকার পেইন মেডিয়েটরস বা ব্যথা সৃষ্টিকারী রাসায়নিক, যেমন প্রস্টাগ্লান্ডিন, লিউকোট্রায়েন্স ইত্যাদি দ্রুত সরে যেতে পারে। নতুন রক্তপ্রবাহ চলাচল বেড়ে গিয়ে আক্রান্ত স্থানটির সেরে ওঠার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

তা ছাড়া প্রদাহ বা ব্যথার কারণে আক্রান্ত এলাকার মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়, যাকে আমরা ‘মাসল স্পাজম’ বলে থাকি। এই খিঁচুনি কমাতেও গরম সেঁক খুব ভালো কাজ করে। যেমন হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে হওয়া দীর্ঘদিনের ব্যথা কমাতে গরম পানির সেঁক খুবই উপকারী।

বাড়িতে গরম সেঁক দেওয়া ছাড়াও কখনো কখনো হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় থার্মাল থেরাপি হিসেবে ইনফ্রারেড রে (আইআরআর), শক ওয়েভ ডায়াথার্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথার্মি, প্যারাফিন ওয়াক্স বাথ ইত্যাদি ইলেকট্রো থেরাপিউটিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

সহজলভ্য হিসেবে একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে একজন রোগী বাসায় গরম সেঁক নিয়ে ব্যথা কমাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে দিনে ৩ থেকে ৪ বেলা গরম পানির সেঁক নেওয়া যাবে। তবে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, নয় তো অসাবধানতায় ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের স্নায়ু সমস্যা আছে বা অনুভূতি কম, যেমন ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের একটু বেশি সতর্কতা দরকার।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке