ভিয়েতনাম বারোমাসি মাল্টার চারা জিও ব্যাগ সেটআপ
“ভিয়েতনামি মাল্টা” (Vietnamese Malta) বলতে সাধারণত বোঝানো হয় —
ভিয়েতনাম থেকে আগত একধরনের মাল্টা (Citrus fruit) বা কমলালেবু জাতীয় ফল। 🍊
🟢 সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
ভিয়েতনামি মাল্টা এক ধরনের হাইব্রিড সাইট্রাস ফল, যা দেখতে মাল্টার মতো হলেও একটু বেশি রসালো ও মিষ্টি স্বাদের হয়। এটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায়ও বেশ ভালোভাবে জন্মে।
🌱 চাষের বৈশিষ্ট্য:
চারা রোপণ সময়: ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সবচেয়ে উপযুক্ত।
মাটি: দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি ভালো।
সেচ: গ্রীষ্মে প্রতি ৭–১০ দিন পর সেচ দিতে হয়।
ফল ধরতে সময়: সাধারণত ২–৩ বছরের মধ্যে ফল দেয়।
উৎপাদন: প্রতি গাছে গড়ে ৫০–১০০টি ফল পাওয়া যায়।
🍊 ফলের বৈশিষ্ট্য:
আকারে মাঝারি, খোসা পাতলা
রঙ উজ্জ্বল কমলা
স্বাদ মিষ্টি ও হালকা টক
রস বেশি এবং গন্ধ মনোরম
আপনি কি চান আমি “ভিয়েতনামি মাল্টা চাষ পদ্ধতি” বিস্তারিতভাবে লিখে দিই — যেমন সার, রোগনিয়ন্ত্রণ, ও ফলন বৃদ্ধির উপায়সহ?
ভিয়েতনামি মাল্টা (Vietnamese Malta) গাছের সঠিক সার প্রয়োগ গাছের বৃদ্ধি, ফুল ও ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি 🍊
নিচে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হলো 👇
🌱 ১. ছোট গাছের জন্য (১–২ বছর বয়স):
গোবর সার: ৫–১০ কেজি প্রতি গাছে
ইউরিয়া: ৫০–১০০ গ্রাম
টিএসপি (TSP): ১০০–১৫০ গ্রাম
এমওপি (MOP): ৫০–৭৫ গ্রাম
👉 এই সারগুলো তিন ভাগে ভাগ করে ৩ মাস পরপর প্রয়োগ করুন।
সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন এবং হালকা সেচ দিন।
🌳 ২. ফল ধরার বয়সে (৩ বছর বা তার বেশি):
গোবর সার: ১৫–২০ কেজি
ইউরিয়া: ৩০০ গ্রাম
টিএসপি: ২০০ গ্রাম
এমওপি: ২০০ গ্রাম
🗓️ সার প্রয়োগের সময়:
ফাল্গুন–চৈত্র (ফুল আসার আগে)
আষাঢ়–শ্রাবণ (ফল বাড়ার সময়)
অগ্রহায়ণ–পৌষ (ফল তোলার পর)
💧 অতিরিক্ত পরামর্শ:
সার দেওয়ার পর সবসময় হালকা সেচ দিন।
বর্ষায় গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে, সেটা খেয়াল রাখুন।
বছরে একবার গাছের চারপাশের মাটি আলগা করে সার মিশিয়ে দিন।
বোরন + জিংক (০.২%) স্প্রে দিলে ফল ঝরা কমে ও ফলের মান ভালো হয়।
আপনি চাইলে আমি ভিয়েতনামি মাল্টা চাষের সম্পূর্ণ গাইড (চারা তৈরি থেকে ফল তোলা পর্যন্ত) সুন্দরভাবে লিখে দিতে পারি — সার, ছাঁটাই, রোগ দমন সবসহ।
চাই?
ভিয়েতনামের মাল্টা বা ভিয়েতনামি মাল্টা গাছের কীটনাশক (বিষ) বা রোগনিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ —
কারণ এই গাছে পাতা কুকড়ানো, ফুল ঝরা ও ফল পচে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায় যদি সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় 🍊
নিচে ধাপে ধাপে নিরাপদ ও কার্যকর কীটনাশক / বিষ প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হলো 👇
🐛 ১. পাতা কুকড়ানো বা এফিড (Aphid) ও হোয়াইটফ্লাই (Whitefly):
লক্ষণ: পাতার নিচে ছোট পোকা, পাতা কুঁকড়ে যায়, হলদে রঙ ধারণ করে।
নিয়ন্ত্রণ:
ইমিডাক্লোপ্রিড (Imidacloprid 17.8 SL) ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিকল্প হিসেবে থায়ামেথক্সাম (Thiamethoxam 25 WG) ০.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে ব্যবহার করা যায়।
🍊 ২. ফল পচা বা ছত্রাকজনিত রোগ (Fungal Disease):
লক্ষণ: ফলের গায়ে বাদামী দাগ, পরে নরম হয়ে পচে যায়।
নিয়ন্ত্রণ:
ম্যানকোজেব (Mancozeb 75 WP) বা কপার অক্সিক্লোরাইড (Copper Oxychloride) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০–১৫ দিন পরপর স্প্রে করুন।
ফল ধরার পর রাসায়নিক স্প্রে বন্ধ রাখুন (কমপক্ষে ২০ দিন আগে বন্ধ করতে হবে)।
🪲 ৩. পাতা খেকো পোকা বা ছিদ্রকারী পোকা:
নিয়ন্ত্রণ:
ক্লোরপাইরিফস (Chlorpyrifos 20 EC) ২ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
গাছের শুকনো পাতা ও ফলের নিচে পড়া অংশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
⚠️ গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
সবসময় সকালে বা বিকেলে ঠান্ডা সময়ে স্প্রে করুন।
দস্তানা ও মাস্ক ব্যবহার করুন।
ফল সংগ্রহের কমপক্ষে ২০ দিন আগে রাসায়নিক স্প্রে বন্ধ করুন।
জৈব বিকল্প হিসেবে নিমপাতার রস / নিমতেল (Neem oil 3%) প্রতি ৭ দিন অন্তর স্প্রে করতে পারেন।
আপনি কি চান আমি “ভিয়েতনামি মাল্টার সম্পূর্ণ রোগ ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনা চার্ট” (কোন মাসে কোন রোগ হয়, কী স্প্রে দিতে হয়) তৈরি করে দিই?
এটা দিলে চাষের জন্য খুব উপকার হবে।
ভিয়েতনাম বারোমাসি মাল্টার চারা জিও ব্যাগ সেটআপ,ভিয়েতনাম বারোমাসি,বারি ১ মাল্টা,বারো মাসি সুইট লেমন,টবে মাল্টা চাষ পদ্ধতি,হলুদ মাল্টা,হলুদ মাল্টা বাগান,হলুদ মাল্টা চাষ পদ্ধতি,হলুদ মাল্টা-১,হলুদ মাল্টা গাছ,থাই হলুদ মাল্টা,হলুদ মাল্টা চারা,বারি হলুদ মাল্টা,হলুদ মাল্টা-২,হলুদ মাল্টা-৩,অরজিনাল হলুদ মাল্টা,garden,gardening,gardener,বানিজ্যিক জাতের হলুদ মাল্টা,ছাদ বাগান,শহরে ছাদ বাগান,ঢাকার ছাদ বাগান,rooftop garden,বাগান,agriculture,multa,multa grave
Информация по комментариям в разработке