গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম | গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কতদিন খেতে হয়

Описание к видео গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম | গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কতদিন খেতে হয়

অধ্যাপক ডা. নিয়াজ টি. পারভীন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (গাইনী)
মার্কস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বারঃ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ
মিরপুর (সেকশন ১০), ঢাকা
এপয়েন্টমেন্টঃ 09613787807, 01308341127

মিডিয়া পার্টনার - MediTalk Digital

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত নানান ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। তবে শুধুমাত্র খাবার দিয়েই কিছু পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পুরোপুরি মেটানো খুবই কষ্টসাধ্য। এরকম একটি পুষ্টি উপাদান হলো ফলিক এসিড, যা মা ও শিশু উভয়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান নেওয়ার চেষ্টা শুরু করার সময় থেকেই নারীদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ করা জরুরি।

ফলিক এসিড কী?
ফলিক এসিডের অন্য নাম ভিটামিন বি৯। ভিটামিন বি৯ বিভিন্ন খাবারে ‘ফোলেট’ হিসেবে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাক, বিভিন্ন ফল ও বাদাম। এই ভিটামিন বি৯ যখন কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় তখন তাকে ফলিক এসিড বলে।

ফলিক এসিড ট্যাবলেট বা বড়ি হিসেবে ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেটে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলের সাথে যুক্ত অবস্থাতেও পাওয়া যায়।

ফলিক এসিড এর উপকারিতা
আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য ভিটামিন বি৯ বা ফলিক এসিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফলিক এসিড দেহের নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখে। যেমন—

রক্তকণিকা ও প্রোটিন তৈরিতে অংশ নেয়
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে
গর্ভের শিশুর ব্রেইন, মাথার খুলি ও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশ সঠিকভাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে
গর্ভের শিশুর নানান জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে
ফলিক এসিড গর্ভের শিশুর ‘নিউরাল টিউব’ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। গর্ভধারণের প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে এই নিউরাল টিউব গড়ে ওঠে। নিউরাল টিউব থেকেই পরবর্তীতে শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশ তৈরি হয়।

ফলিক এসিডের অভাব হলে শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশের গঠনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন ক্ষেত্রে শিশু নানান জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়।[১] যেমন—

অ্যানেনসেফালি: এক্ষেত্রে মাথার খুলির হাড় ও ব্রেইন সঠিকভাবে গড়ে ওঠে না
স্পাইনা বিফিডা: এই জটিলতায় মেরুদণ্ড সঠিকভাবে তৈরি হয় না
গর্ভধারণের শুরুর দিকেই শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশ দ্রুত বিকশিত হতে থাকে। বলে এই সময়ে ফলিক এসিডের অভাব থাকলে নানান জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এসব ত্রুটি প্রতিরোধে নিয়মিত ফলিক এসিড সেবন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করার সময় থেকেই ফলিক এসিড খাওয়া দরকার। সেটি সম্ভব না হলে, গর্ভধারণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলিক এসিড খাওয়া শুরু করতে হবে।[২]

গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম
কতটুকু খাবেন?
গর্ভাবস্থায় আপনার প্রতিদিন ৬০০ মাইক্রোগ্রাম বা ০.৬০ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড প্রয়োজন।[৩] তবে এর পুরোটা খাবার থেকে পাওয়া খুব কঠিন। তাই ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম বা ০.৪০ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কখন থেকে খাবেন?
সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার সময় থেকেই ফলিক এসিড খাওয়া শুরু করা দরকার, যা সন্তান জন্মদানের পর তিন মাস পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।[৪] তবে গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহগুলোতে গর্ভের শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশ দ্রুত গড়ে উঠতে থাকে, তাই গর্ভধারণের ১২তম সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়মিত ফলিক এসিড খাওয়া বিশেষভাবে জরুরি।[৫]

কীভাবে খাবেন?
আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খালি পেটে খেলে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তাই যেকোনো খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে অথবা ২ ঘণ্টা পরে ১ গ্লাস পানি দিয়ে এই ট্যাবলেট খাবেন। এমনকি চা কিংবা দুধ খেলেও এই বিষয়টি মেনে চলতে হবে।

পানির পরিবর্তে ১ গ্লাস কমলার রস দিয়েও ট্যাবলেট খেতে পারেন। ধারণা করা হয়, কমলার রসে থাকা ভিটামিন সি শরীরকে আয়রন শোষণে সাহায্য করে।

তবে খালি পেটে আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে আপনার যদি পেটে অস্বস্তি হয়, তাহলে খাবারের সাথে অথবা খাওয়ার ঠিক পর পরই ট্যাবলেটটি খেয়ে নিতে পারেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке