সকল ধরনের মাছের রেনু পোনার জন্য এখনি অর্ডার করুন:-
Call Now:-01306496369
Carfo Fish Farming
Common Carp Fish Farming
যে সব প্রজাতির মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাদ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা করে না, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরে বাস করে এবং বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে এসব গুণাবলির কয়েক প্রজাতির রুইজাতীয় মাছ একই পুকুরে একত্রে চাষ করাই হলো মিশ্রচাষ। আর কার্প জাতীয় মাছ বলতে দেশি ও বিদেশি রুই জাতীয় মাছকেই বুঝায়। আমাদের দেশে, দেশি কার্পের মধ্যে কাতলা, রুই, মৃগেল, কালীবাউশ এবং বিদেশি কার্পের মধ্যে সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, বিগহেড কার্প, ব্ল্যাক কার্প, কমন কার্প অন্যতম। মাছের স্বভাবজাত কারণে পুকুরের বিভিন্ন স্তরে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। সাধারণত পুকুরে ৩ স্তরে মাছ আলাদাভাবে অবস্থান করে খাবার খায়। এজন্য সেভাবে তাদের যত্নআত্তি করতে হয়। উপরের স্তরে কাতলা, সিলভার কার্প এবং বিগহেড জলাশয়ের উপরের স্তরের খাবার খায়। উপরের স্তরে এসব মাছ সবুজ উদ্ভিদকণা (ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন) এবং প্রাণিকণা (যুপ্ল্যাঙ্কটন) খেয়ে থাকে। মধ্য স্তরের রুই মাছ এ স্তরে থাকে এবং ক্ষুদ্র প্রাণিকণা, ক্ষুদ্রকীট, শেওলা খাবার খায় এবং নিম্নস্তরের মৃগেল, কালীবাউশ, মিরর কার্প বা কার্পিও, ব্ল্যাক কার্প অধিকাংশ সময়েই জলাশয়ের নিম্নস্তরে বিচরণ করে। তলদেশের ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ, শেওলা, শামুক, ঝিনুক, ক্ষুদ্র উদ্ভিদকণা ও প্রাণিকণা এদের প্রধান খাবার। গ্রাস কার্প ও সরপুঁটি সব স্তরেই অবস্থান করে। জলজ উদ্ভিদ, নরম ঘাস, শেওলা, ক্ষুদিপানা, টোপাপানা, হেলেঞ্চা, ঝাঁঝি এসব গ্রাস কার্পের প্রধান খাবার। ক্ষুদি পানা ও টোপা পানা সরপুঁটির প্রধান খাবার। তাই কোনো জলাশয়ের তলদেশে বেশি পরিমাণ আগাছা, ঘাস, হেলেঞ্চা জন্মালে গ্রাস কার্প ছেড়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরের খাবার খায়; খাদ্য ও জায়গায় জন্য একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয় না; এরা রাক্ষুসে স্বভাবের নয়; রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো; খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে বা দ্রুতবর্ধনশীল; সহজে পোনা পাওয়া যায়; অল্প মূল্যের সম্পূরক খাদ্য খায়; খেতে সুস্বাদু এবং বাজারে চাহিদা আছে; অর্থনৈতিক মূল্য আছে; কৃত্রিম প্রজনন দ্বারা পোনা উৎপাদন করা যায়। এস বৈশিষ্ট্যে সম্পন্ন মাছ নির্বাচন করতে হবে।
চাষ পদ্ধতি : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশে ও উপকরণের প্রাপ্যতা, চাষির আর্থিক অবস্থা এবং জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এক এক রকম পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। যেমন- ক. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ; খ. আধানিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ; গ. নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ। সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ হলো কম খরচে জলাশয়ের প্রাকৃতিক খাদ্যের ওপর নির্ভর করে যে পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে কম অথবা বেশি ঘনত্বে পোনা মজুদ করা হয়। পুকুরের রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ দূর করা হয় না। পুকুরে বাহির থেকে কোনো খাবার ও সার দেয়া হয় না। এ পদ্ধতিতে হেক্টরপ্রতি উৎপাদনও অনেক কম হয়। আধানিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ হলো বৈজ্ঞানিক নিয়মে পুকুর প্রস্তুত করে, নিয়মিত সার এবং সম্পূরক খাদ্য ব্যবহার করে, মধ্যম ঘনত্বে পোনা মজুদ করে মাছ চাষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার যাতে বেশি উৎপাদন হয় তার জন্য সার ব্যবহার করা হয়। পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপন্ন খাবার যাতে সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় তার জন্য খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তিতে প্রজাতি নির্বাচন করে পুকরে নির্দিষ্ট ঘনত্বে পোনা মজুদ করা হয়। এসব মাছের প্রাকৃতিক খবারের চাহিদা পূরণ না হলে বাহির থেকে চাহিদা মাফিক খাবার দেয়া হয়। আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়। আর নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ হলো অল্প জায়গায়, অল্প সময়ে, অধিক উৎপাদনের উদ্দেশ্যে সার ব্যবহার করে প্রাকৃতিক খাদ্য বৃদ্ধি ও বাহির থেকে উন্নতমানের পরিপূর্ণ সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করে উচ্চতর ঘনত্বে পোনা মজুদ করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রযুক্তির সর্বাধিক সুযোগ ব্যবহার করা হয়। তাই অন্য দুই পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি ঘনত্বে পোনা মজুদ ছাড়া ও নিয়মিত পানি বদল ও বায়ু সঞ্চালনের আধুনিক ব্যবস্থা করা হয়।
পুকুরের স্থান নির্বাচন খনন : পুকুর নির্বাচন ঠিকমতো করা না হলে মাছ চাষে সমস্যা হয়, মাছ ঠিকমতো বাড়ে না, মাছ চুরি হতে পারে, পোনা পরিবহনে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে। লাভজনক চাষ করতে হলে খেয়াল রাখতে হবে পুকুরের মালিকানা নিজস্ব এবং একক হওয়া; লিজ পুকুর হলে তার মেয়াদ ৫ বছরের বেশি বা দীর্ঘমেয়াদি; পুকুরটি অবশ্যই বন্যামুক্ত হওয়া; পুকুরের পানির গভীরতা ২-৩ মিটার; দো-আঁশ মাটি পুকুরের জন্য সবচেয়ে ভালো; পুকুরের তলার কাদার পরিমাণ কম হওয়া। তবে কোনো মতেই ১০-১৫ সেন্টিমিটারের এর বেশি হবে না; পুকুরের পাড়ে যেন কোনো বড় বা পাতাঝরা গাছপালা না থাকে; পুকুরটি যেন খোলামেলা ও প্রচুর আলোবাতাস লাগে। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক যেন পুকুরে পড়ে; পুকুর ২০-৫০ শতাংশের মধ্যে হলে ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়; আর স্থান নির্বাচনে খেয়াল রাখতে হবে খুব সহজেই যেন পোনা পাওয়া যায়; পুকুর বসতবাড়ির কাছাকাছি হলে পুকুরের ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যার সুবিধা হয় মাছ চুরির ভয় থাকে না; ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কাছে হাটবাজার থাকলে ভালো হয়। পুকুর খনন বা নতুন পুকুর খনন করতে হলে যেসব বিষয়াদি বিবেচনায় রাখতে হবে তা হলো-পুকুর খননের সময় পুকুরটি যেন আয়তাকার হয়। আয়তন ৩৩ শতক থেকে ৫০ শতক হলে ব্যবস্থাপনায় সুবিধা। পুকুরের গভীরতা এমনভাবে করা দরকার যাতে শুকনা সময়ে ১.৫-২ মিটার পানি থাকে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ কণা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে পুকুরের মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি করে। পুকুরে বাতাস চলাচল করলে পানির উপরের স্তরে ঢেউয়ের মাধ্যমে পানিতে অক্সিজেন দ্রবীভূত হয়।
কার্ফু মাছের পোনা, কার্ফু মাছ চাষ পদ্ধতি, কার্ফু মাছ চাষ করে কোটিপতি, মাছ চাষ পদ্ধতি, কিভাবে মাছ চাষ করতে হয়,
Thanks for watching ❤️
Информация по комментариям в разработке