বগুড়া জেলার শীর্ষ ৮টি দর্শনীয় স্থান - বগুড়া ভ্রমণ গাইড
বগুড়া জেলার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো এবং এটি এক সময় প্রাচীন বঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। বগুড়ার স্থাপত্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি সমৃদ্ধ অংশ বহন করে। বগুড়া জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে, কারণ এখানকার প্রতিটি স্থানই ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়কে তুলে ধরে। আজ আমরা বগুড়া জেলার শীর্ষ ৮ দর্শনীয় স্থানের উপর বিস্তারিত আলোচনা করবো, যা বগুড়াকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের মূল আকর্ষণ।
CHAPTERS
00:00 Introduction
00:26 খেরুয়া মসিজদ
01:25 গোকুল মেধ
04:03 খোদার পাথর ভিটা
04:53 জিয়ৎ কুণ্ড
05:38 গোবিন্দ ভিটা
06:13 মহাস্থানগড় ঐতিহাসিক দুর্গ
07:04 মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর
07:30 ভাসু বিহার
07:57 Conclusion
Bogura Travel Vlog - প্রথমবার বগুড়া ২রাত থাকার অভিজ্ঞতা
দেখুন - • Bogura Travel Vlog - প্রথমবার বগুড়া ২...
উত্তরবঙ্গের একমাত্র 5 Star Hotel Momo Inn Bogura রুম ভাড়া ৫৫০০ টাকা
দেখুন - • উত্তরবঙ্গের একমাত্র 5 Star Hotel Momo...
১. খেরুয়া মসিজদ
খেরুয়া মসিজদ বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত। মসজিদের সামনের দেয়ালে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে মোঘল শাসক নবাব মুরাদ খান কর্তৃক নির্মিত হয় খেরুয়া মসিজদ। অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই মসজিদ এর বয়স ৪৪২ বছর। মসিজদটির দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য ও শৈল্পিক নির্মাণকৌশল একে মোঘল স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শনে পরিণত করেছে।
২. গোকুল মেধ
বগুড়ার গোকুল মেধ নামক স্থানটি বেহুলার বাসর ঘর অথবা লখিন্দরের মেধ নামেও পরিচিত। ১৯৩৪-৩৬ সালে এন.জি মজুমদার কর্তৃক খননের ফলে এখানে একটি বিশাল মন্দিরের বা স্তুপের ভিত্তি উন্মোচিত হয়েছে। বেহুলার বাসরঘরে ১৭২টি কুঠুরি বিভিন্ন তলে মাটি দিয়ে ভরাট করে নিচ থেকে উপরের দিকে ক্রমহ্রাসমান করে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে এগুলো কোনো সুউচ্চ মন্দির বা স্তূপের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। বেহুলার বাসরঘর একটি অকল্পনীয় মনুমেন্ট। বর্তমান গবেষকদের মতে, এ মনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। এ স্তূপটি বাসরঘর নয়।
৩. খোদার পাথর ভিটা
১৯৭০ সালে এই ঢিবি বা ভিটাতে খননকার্য করে একটি মন্দির এবং তার সাথে ছোটছোট কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই ঢিবির উপরিভাগে গ্রানাইট পাথরের একটি বিশাল চৌকাঠ পাওয়া যায় এবং তা থেকেই স্থানীয় জনগণ ঢিবির এমন অদ্ভুত নাম রাখে । এখানে খননকার্য করে একই সারিতে আসীন অবস্থায় তিনটি বৌদ্ধমূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। এখনও মাটির নিচে চাপা পড়া অবস্থায় আছে প্রত্নস্থলটির কাঠামোর ধংসাবশেষ।
৪.জিয়ৎ কুণ্ড
জিয়ৎ কুণ্ড প্রায় ২৩০০ বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হয়। জিয়ৎ কুণ্ডের নির্মাণকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় নি, তবে ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, রাজা পরশুরামের শাসনামলে তার দ্বারাই এই কূপটি খনন করা হয়েছিল। কথিত আছে, এই কূপের পানিতে অলৌকিক ক্ষমতা ছিল। যা পান করলে মৃতরাও জীবিত হয়ে উঠতো। রাজা পরশুরাম যখন শাহ সুলতান বলখী এর সাথে যুদ্ধে করছিলেন, তখন তিনি এই কূপের পানির সাহায্যে মৃত সৈনিকদের জীবিত করতেন। এই গোপন খবর শাহ সুলতান শোনার পর, তিনি একটি চিলের সাহায্যে এক টুকরো গরুর মাংস এই কূপে ফেলে দেন। এরপর থেকে এ কূপের পানির অলৌকিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
৫. গোবিন্দ ভিটা
মহাস্থানগড় দুর্গ নগরীর প্রাচীরের অদূরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত গোবিন্দ ভিটা নামক একটি অসমতল ঢিবিতে, প্রত্নতাত্ত্বিকগন খনন চালিয়ে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করে। মন্দিরটিতে একাধিকবার পুনঃনির্মানের নিদর্শণ লক্ষ্য করা যায়। গোবিন্দ ভিটায় ১৯৬০ সালে গভীর খাদ খননের ফলে আবিষ্কৃত হয় মৌর্য যুগের ছাপাংকিত ও ঢালাই করা রৌপ্য মুদ্রা, পোড়ামাটির মূর্তি ও খেলনাএবং আরও অনেক নিদর্শন ।
৬. মহাস্থানগড় ঐতিহাসিক দুর্গ
দুর্গ প্রাচীরটি প্রথম নির্মিত হয়েছিল প্রাচীন মুর্য যুগের সময় । এটি মুর্য ও পাল রাজত্বের সময়কালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা কাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মহাস্থানগড় দুর্গপ্রাচীরের বিভিন্ন অংশ পরবর্তীতে পাল যুগে সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়। প্রাচীরটি মূলত দুর্গের বাইরের সীমা নির্ধারণ এবং আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নির্মিত হয়েছিল।
7. মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর
মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও অন্যান্য রাজবংশের অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন এখানে যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরে বেশ পুরানো মাটির মূর্তি, বাসনপত্র, স্বর্ণবস্তু, ব্রোঞ্জের সামগ্রী, কালো পাথরের মূর্তি, বেলে পাথরের মূর্তি, মাটি দিয়ে তৈরি খোদাই করা ইট, বিভিন্ন শিলালিপি, ধাতুর তৈরি বোতাম, কানের ফুল, নাক ফুল, মূল্যবান পাথর, মার্বেল, পোড়া মাটির পুতুল, খেলনা, নানা ধরনের প্রাচীন অলংকারসহ বহু প্রাচীন ও মূল্যবান নিদর্শন রয়েছে।
8. ভাসু বিহার
ভাসুবিহার স্থানীয়ভাবে পরিচিত নরপতীর ধাপ নামে। এখানে ১৯৭৩-৭৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয় এবং তা পরবর্তী দুই মৌসুম অব্যাহত থাকে। ধারণা করা হয়, এটি একটি বৌদ্ধ সংঘারামের ধ্বংসাবশেষ। খননকার্যের ফলে সেখানে ব্রোঞ্জের বৌদ্ধমুর্তি, পোড়ামাটির ফলকসহ বিভিন্ন মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু পাওয়া গিয়েছে।
বগুড়া এর প্রতিটি দর্শনীয় স্থানই ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং স্থাপত্যশৈলীর এক একটি অধ্যায়কে সঞ্চয় করে রেখেছে।
@CholJaibyMM || Moshiur Monty
#bogura #bangladeshivlog #bangladeshivlogger
KEYWORDS
বগুড়া জেলার শীর্ষ ৮ টি দর্শনীয় স্থান, bogra city, bogra city tour, bogura, bogra tour, বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থান, বগুড়া, bogura tourist spot, tourist spot bogura, bogura travel, বগুড়ার দর্শনীয় স্থান, দর্শনীয় স্থান বগুড়া, tourist places in bogura, bogra tourist place, bogra vromon, bogura vromon, বগুড়ার দর্শনীয় স্থান, বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থান, বগুড়া জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থান, বেহুলার বাসর ঘর, বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ, বেহুলার বাসর ঘর বগুড়া, বগুড়া শহর,
Информация по комментариям в разработке