শিরক কি।মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।

Описание к видео শিরক কি।মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।

মহান আল্লাহ তাঁরই ইবাদতের জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেছেন (যারিয়াত ৫৬) এবং তাদের হেদায়াতের জন্য ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী ও রাসূলকে প্রেরণ করেছেন। নাযিল করেছেন কিতাবসমূহ, যাতে মানবজাতি তাঁর স্পষ্ট পরিচয় লাভ করে তাঁর ইবাদত করে এবং সমস্ত প্রার্থনা নিবেদন যেন তাঁরই নিকটে হয়। কেননা এসবের বিপরীত কর্মকান্ড ও বিশ্বাসই শিরক তথা তাঁর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করা।

আল্লাহ্র জাত বা সত্তা, তাঁর নাম ও গুণাবলী সমূহ এবং তাঁর ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক সাব্যস্ত করাই হচ্ছে শিরক।

শিরক হল ক্ষমার অযোগ্য জঘন্যতম গোনাহ। এ শিরক মিশ্রিত যেকোন আমল ইসলামের দৃষ্টিতে মূল্যহীন এবং আল্লাহ্র নিকটে তা প্রত্যাখ্যাত। কেউ শিরক করে তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে এই শিরকই তার ঈমান ও জীবনের যাবতীয় সৎকর্মকে নিষ্ফল করে দেবে। এ ধরনের লোকদের ঈমান ও আমলের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘বলুন, আমি তোমাদেরকে কি সংবাদ দেব নিজেদের আমলের ক্ষেত্রে কারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত? তারা সেসব লোক দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা-সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে আর তারা নিজেরা মনে করছে যে, তারা সৎকর্ম করছে’ (কাহফ ১৮/১০৩-১০৪)

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি তাদের আমলের দিকে অগ্রসর হব, অতঃপর তা (তাওহীদ শূন্য হওয়ার কারণে) বিক্ষিপ্ত ধূলিকণার ন্যায় উড়িয়ে দিব’ (ফুরক্বান ২৫/২৩)।

আল্লাহ্র তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এ পৃথিবীতে আগমনকারী প্রতিটি নবী বা রাসূল সর্বপ্রথম তাওহীদের দিকেই আহবান করেছেন এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য বারবার তাকিদ জানিয়েছিলেন (নাহ্ল ৩৬)

তাওহীদের মর্মবাণী প্রচারের জন্য জীবনের সবচেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করেছেন নূহ (আঃ) মুহাম্মাদ (ছাঃ)ও এজন্য অশেষ কষ্ট স্বীকার করেছেন। এ বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এ সম্পর্কে খুব কমই গুরুত্বারোপ করা হয়। এমনকি ইসলামের অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় এ বিষয়ে তেমন লেখালেখিও হয় না। ফলে তাওহীদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে তাওহীদের পরিপন্থী বিষয় শিরক মুসলিম সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তার লাভ করেছে। অথচ ভয়াবহ ও জঘন্যতম পাপ শিরক থেকে বেঁচে থাকা প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্য কর্তব্য। শিরকের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

‘(হে নবী!) কিন্তু তোমার কাছে আর তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী করা হয়েছে যে, তুমি যদি (আল্লাহর) শরীক স্থির কর, তাহলে তোমার কর্ম অবশ্য অবশ্যই নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (যুমার ৩৯/৬৫)

পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে (বাক্বারাহ, ২/২২; নিসা /১১৬; মায়েদাহ ৫/৭২; আন‘আম ৬/৮৮)।

এ কারণে বান্দার ওপর সর্বপ্রথম অপরিহার্য বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল তাওহীদ সম্পর্কে বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করা। নিজের ঈমান, আক্বীদা ও যাবতীয় আমল শিরক মুক্ত রাখা। শিরক নামের মহা অপরাধ সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান রাখা। অন্যথা যেকোন সময় শয়তানের খপ্পরে পড়ে যে কারো ঈমান ও জীবনের সৎকর্মের যাবতীয় সাধনা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। এহেন পরিণতির হাত থেকে যেমন নিজেকে রক্ষা করা আবশ্যক, তেমনি এত্থেকে অন্য সকল মুসলমানকেও রক্ষা করা যরূরী।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке