আসালামু আলাইকুম, আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আর একটি নতুন ভিডিও তে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
২০২৫ সালে প্রথম আলোর ১ টি প্রতিবেদন জানায় বাংলাদেশের শতকরা ৭০% মানুষ এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে।এবং শতকরা ৯৮ % মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।সামনে আরও যত দিন জাবে ততো বাড়বে মোবাইলের ব্যবহার কারী।এখন বিষয় হলো ফোনগুলি সর্বদা নষ্ট হয়ে যায় - ফাটা স্ক্রিন, ব্যাটারি নষ্ট, আপনিই বলুন! মানুষ দ্রুত, সাশ্রয়ী মূল্যের মেরামত চায়, দামি প্রতিস্থাপন নয়। এছাড়াও, আপনি ৫০,০০০ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন এবং মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে লাভ দেখতে পারেন। ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো শহরে, মেরামতের দোকানগুলি সমৃদ্ধ হচ্ছে কারণ চাহিদা কখনও থামে না!"
তো মোবাইল সারভিসিং এর ব্যবসা সফল ভাবে করার জন্য আপনাকে ৪টি ধাপ ফলো করতে হবে।
১.একজন মেরামত বিশেষজ্ঞ হোন
একজন মেরামত বিশেষজ্ঞ হোন । আপনার ডিগ্রির প্রয়োজন নেই - শুধু দক্ষতার প্রয়োজন! ঢাকা বা চট্টগ্রামে একটি স্থানীয় প্রশিক্ষণ কোর্সে যোগদান করুন - যার খরচ মাত্র ১০,০০০ টাকা। স্যামসাং বা শাওমির মতো ব্র্যান্ডের স্ক্রিন, ব্যাটারি এবং সফ্টওয়্যার সমস্যা ঠিক করতে শিখুন। কোর্সের খরচ বহন করতে পারছেন না? সমস্যা নেই! বিনামূল্যে ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখুন এবং পুরানো ফোনে অনুশীলন করুন। পেশাদার পরামর্শ: হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কয়েক মাস মেরামতের দোকানে কাজ করুন। বিশ্বাস করুন, এই পদক্ষেপটি আপনার ভিত্তি
২.একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন
একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন । আপনার বাজার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে শুরু করুন—আপনার এলাকার মেরামতের দোকানগুলি দেখুন, যেমন মিরপুর বা ধানমন্ডি। তারা কত টাকা নেয়? কোন পরিষেবা জনপ্রিয়? এরপর, একটি বাজেট নির্ধারণ করুন। আপনার স্ক্রু ড্রাইভার এবং সোল্ডারিং লোহার মতো সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে—প্রায় ১০,০০০ টাকা। জনপ্রিয় ফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ মজুদ করুন, ধরুন শুরু করতে ২০,০০০ টাকা। সিদ্ধান্ত নিন: আপনি কি একটি দোকান খুলবেন, বাড়ি থেকে কাজ করবেন, নাকি মোবাইল ব্যবহার করবেন? একটি ছোট দোকান স্থাপন করতে ২০০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে, কিন্তু বাড়িতে বসে কাজ করা অনেক সস্তা। প্রতিদিন ৫-১০টি ফোন মেরামত করে মাসে ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ টাকা আয় করার পরিকল্পনা করুন!"
৩.বৈধ থাকুন
বৈধ থাকুন । আপনার সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে—প্রতি বছর প্রায় ২০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা খরচ হয়। সরলতার জন্য আপনার ব্যবসাকে একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন করুন। পরবর্তীতে ঝামেলা এড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে একটি ট্যাক্স আইডি নিন। এই পদক্ষেপগুলি বিরক্তিকর শোনালেও গ্রাহকদের আস্থা তৈরি করে এবং আপনার ব্যবসাকে নিরাপদ রাখে। আপনার দোকানে আপনার লাইসেন্সটি প্রদর্শন করুন—এটি চিৎকার করে বলে 'আমি বৈধ!'
৪.আপনার কর্মক্ষেত্র তৈরি করুন
আপনার কর্মক্ষেত্র তৈরি করুন । যদি আপনি একটি দোকান ভাড়া নেন, তাহলে বসুন্ধরা বা উত্তরার মতো ব্যস্ততম স্থান বেছে নিন—ভাড়া প্রতি মাসে ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা হতে পারে। একটি ওয়ার্কবেঞ্চ, ভালো আলো এবং একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করুন মোট ২০,০০০ টাকায়। বাড়ি থেকে শুরু করবেন? শুধু একটি কোণ পরিষ্কার করুন, একটি ESD ম্যাট কিনুন এবং আপনার সরঞ্জামগুলি গুছিয়ে রাখুন—খরচ ১০,০০০ টাকার কম। মোবাইল মেরামতের জন্য, একটি বাইক এবং একটি পোর্টেবল টুলকিটই আপনার প্রয়োজন। এটি পরিষ্কার এবং পেশাদার রাখুন—গ্রাহকরা লক্ষ্য করুন!"
শেষটা শেষ করার আগে, এখানে কিছু বোনাস টিপস দেওয়া হল ! সর্বদা আসল যন্ত্রাংশ ব্যবহার করুন—নকল যন্ত্রাংশ আপনার সুনাম নষ্ট করে। গ্রাহকদের নিরাপদ বোধ করার জন্য ৩০ দিনের ওয়ারেন্টি অফার করুন। সৎ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হোন—বিশ্বাস তাদের ফিরে আসতে সাহায্য করে। সর্বশেষ ভিভো বা অপ্পো মডেলের মতো নতুন ফোন সম্পর্কে আপডেট থাকুন। এবং অতিরিক্ত দাম নেবেন না—স্ক্রিন ঠিক করার জন্য ১,০০০ টাকার মতো ন্যায্য দাম প্রতিবারই প্রতিযোগিতাকে হারিয়ে দেয়!"
Информация по комментариям в разработке