Скачать или смотреть চন্দ্রযান ২। অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার ! Chandrayan 2. Orbiter, Lander & Rover!

ভারতের দ্বিতীয় চাঁদের মিশন। এবারে আছে ল্যান্ডার ও রোভার। মহাকাশ গবেষণা তে অগ্রগামী এশিয়া

আপনি যদি শেষ এক মাস সভ্যতার থেকে অনেক দূরে কোনো গুহাতে বাস না করে থাকেন তাহলে চন্দ্রায়ণ ২ কথাটা সাম্প্রতিক কালে নিশ্চয় শুনেছেন। ভারতের এটা চাঁদে যাওয়ার দ্বিতীয় মিশন। চাঁদে যাওয়ার প্রথম মিশণের নাম যদি গেস না করতে পারেন তাহলে সেটার নাম ছিল চন্দ্রায়ণ ১।

বাবা! এ তো পুরো সিনেমার মতো। যেমন বাহুবলি ১, বাহুবলি ২

একদম ঠিক। এবং বাহুবলীর মতো সেকেন্ড পার্ট এ বেশি অ্যাকশন আছে। সংক্ষেপে চন্দ্রায়ণ ১ এ ভারত একটা অরবিটার চাঁদে পাঠায় যেটা চাঁদের চার দিকে প্রদক্ষিণ করে মহাকাশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তার সাথে ভারত পাঠিয়েছিল মুন ইম্পাক্টর যেটা বাংলা ভাষায় চাঁদে গিয়ে পরিকল্পনা মাফিক আছড়ে পড়ে। এর সব থেকে বিখ্যাত আবিষ্কার জল। বিজ্ঞানীরা আগে থেকে আঁচ করেছিল যে চাঁদে জল থাকতে পারে যেটা চন্দ্রায়ণ ১ বাস্তবে খুঁজে পায়। এই জলের আবিষ্কার মানব জাতিকে মহাকাশে ছড়িয়ে দিতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে।

তো এটা ছিল চন্দ্রায়ণ ১ এর ইতিহাস। চন্দ্রায়ণ ২ এর অ্যাকশন আরো বেশি। সবার শুরুতে রকেট। সম্পূর্ণ ভারতীয় টেকনোলজি তে তৈরী Geosynchronous Satellite Launch Vehicle Mark-III বা GLSV MK III. সংক্ষেপে যদি রকেট সায়েন্স জানতে হয় তাহলে পৃথিবী একটা জেলখানার মতো। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য পৃথিবী সব কিছুকে নিজের দিকে টানতে থাকে। এই জেলখানা থেকে পালানোর জন্য রকেট প্রচুর পরিমানে তেল পুড়িয়ে ভীষণ thurst এর সৃষ্টি করে। তেল মানে পেট্রল পাম্পএর পেট্রল নয়। রকেটের জন্য লাগে স্পেশাল ফুয়েল যার তেজ অনেক বেশি। পেট্রল যদি ক্যাপসিকাম হয় তাহলে রকেট ফুয়েল হলো ধানি লঙ্কা। মহাকাশে একটা ছোট্ট sattelite নিয়ে যেতে অনেকটা রকেট ফুয়েল লাগে। আবার এই রকেট ফুয়েল এর নিজের ভার আছে যাকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরো তেল লাগে। সেই তেল এরও আবার নিজের ভার আছে যাকে বয়ে নিয়ে যেতে আরো তেল লাগে। এই পাগল করে দেয়া হিসেবে শেষ করে ভারত যে চন্দ্রায়ণ ২ রকেট তৈরী করেছে সেটা এইরকম দেখতে। চাঁদে যাবার সমস্ত যন্ত্রপাতি এই সবার ওপরে ছোট্ট জায়গাতে আছে। বাকি পুরো এই বডি টা রকেট ফুয়েল আর তাকে পোড়ানোর ইঞ্জিন এ ভর্তি।

এই শক্তিশালী রকেট এ করে এবারেও চাঁদে যাচ্ছে একটা অরবিটার যেটা চাঁদের চারিদিকে ঘুরতে থাকবে। চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ওপরে এটা উত্তর দক্ষিণ বরাবর চাঁদকে প্রদক্ষিন করবে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরণের উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা, xray এবং রেডিওর যন্ত্রপাতি। যার সাহায্যে চাঁদের ভৌগলিক ও আণবিক তথ্য জানতে পারবে ভারত। তার সাথে সাথে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখবে এই অরবিটার । সব কিছু ঠিক থাকলে এটা প্রায় এক বছর চাঁদের চারিদিকে প্রদখ্খীন করে তথ্য পাঠাবে ভারতের কাছে।

তবে ব্যাপারটা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই অরবিটার এর সাথে আছে বিক্রম নামের একটা ল্যান্ডার। এই ল্যান্ডার চাঁদে ভারতের হয়ে প্রথম বার সফ্ট ল্যান্ডিং করবে। মানে আগের বারের মতো আছড়ে পড়বে না। প্রযুক্তিগত ভাবে এটা খুব কঠিন কাজ। রাশিয়া ১২ বার সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছে যার মধ্যে ৩ বার ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকা ৭ বারের মধ্যে ২ বার বার্থ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ইস্রায়েল এর প্রাইভেট কোম্পানি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় ল্যান্ডিং করার শেষ মুহূর্তে। ১১ এপ্রিল ২০১৯ এ beersheete নামে এই ল্যান্ডার শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিন এর গোলযোগের জন্য চাঁদের মাটিতে ভেঙে পরে। এখনো পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ এটা সফল ভাবে করতে পেরেছে। রাশিয়া, আমেরিকা ও চীন। তাই ভারতের এই মিশন সফল হলে পৃথিবীর মঞ্চে মহাকাশ গবেষণাতে ISRO অনেকটা এগিয়ে যাবে। এই বিক্রম দা অনেক কিছুর মধ্যে চাঁদে নিয়ে যাচ্ছে রম্ভা কে।

মানে? স্বর্গের নর্তকী রম্ভা? অবশ্য চাঁদ এ পৌঁছানো মানে তো স্বর্গে পৌঁছে যাওয়া তাই ভারত রম্ভা কে পাঠাচ্ছে? বাহ্ ISRO বিজ্ঞানী দের তারিফ করতে হবে।

রম্ভা মানে Radio Anatomy of Moon Bound Hypersensitive ionospere and Atmosphere.

তবে ব্যাপারটা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কমলা লেবু ছিলো বলবেন, কমলা লেবু । একটা লেবু মাত্র ১০ টাকা। তবে ব্যাপারটা এখানেই শেষ নয়। একটা লেবু নিজের জন্য নিলে বৌয়ের জন্য আর একটা সম্পূর্ণ ফ্রি। কমলা লেবু ছিলো বলবেন, কমলা লেবু । দুটো লেবু মাত্র ১০ টাকা। তবে ব্যাপারটা এখানেই শেষ নয় এই দুটো লেবুর সাথে আপনার বাচ্চার জন্য আরও একটা সম্পূর্ণ ফ্রি। কমলা লেবু ছিলো বলবেন, কমলা লেবু । এই বিক্রম দার সাথে আছে একটা রোভার মানে একটা চাঁদের গাড়ি। এর নাম হলো প্রজ্ঞান। এই প্রজ্ঞান দার মধ্যে আছে xray এবং laser spectrometer যার সাহায্যে চাঁদের মাটি কি দিয়ে তৈরী এবং তার ঘনত্ব সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে।

সবি বুঝলাম। চন্দ্রায়ণ ২ তো ২২ জুলাই অলরেডি লঞ্চ করে গেছে আর মোদীজি তো কংগ্রাচুলেশন করে দিয়েছে ইসরো কে তো এই সব তো হয়ে গেছে? মানে আমেরিকা তো চাঁদে মানুষ নিয়ে ৩ দিনেই পৌঁছে গেছিলো আর চার দিনের মাথায় ল্যান্ড করে গেছিলো।

হাঁ সেটা ঠিক তবে ভারতের চাঁদে যেতে একটু বেশি সময় লাগবে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বর ৭ তারিখে ল্যান্ড করবে বিক্রম।

এরকম কেন?

এর কারণ হলো মাইলেজ।

মানে?

মানে kitna deti hai Maruti Suzuki ad

তাহলে এখন মোদ্দা কথা হলো দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকতে হবে আর প্রাথনা করতে হবে যেন এই মিশন সফল হয়। খুব টেনশন হচ্ছে? কি হবে ভেবে বুক ধড়পড় করছে? তাহলে দেখুন আমাদের এই ভিডি।….

Honorary mention of background music "Beartooth Strangleheart" by "Birocratic" from YouTube Royalty free Audio Library.
All external footage used under fair use policy. No copyright infringement intended.