তামাদি আইন কি? ।। Law Academy ।। তামাদি আইনের উদ্দেশ্য কি? Limitation Act 1908 ।। ল একাডেমী।।একাডেমি

Описание к видео তামাদি আইন কি? ।। Law Academy ।। তামাদি আইনের উদ্দেশ্য কি? Limitation Act 1908 ।। ল একাডেমী।।একাডেমি

তামাদি আইন কি? ।। What is Limitation Act Bangla ।। তামাদি আইনের উদ্দেশ্য কি? Limitation Act 1908 ।।
তামাদি আইন এমন একটি আইন যা কোন দেওয়ানী মোকদ্দমা ও দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় প্রকার আপীল ,রিভিউ বা যেকোন দরখাস্ত দাখীলের সময়সীমা নির্ধারন করে দিয়েছে

তামাদি আইনের পশ্চাতে যে সকল উদ্দেশ্য কিংবা যৌক্তিকতা আছে তাহা নিম্নরূপঃ
(১) বিদ্যমান অধিকার প্রয়োগআইনের আশ্রয় প্রদান :
তামাদি আইনের উদ্দেশ্য কোন অভিযোগের কারণ সৃষ্টি করা কিংবা তাহার সংজ্ঞা দান করা নয়-বরং এর উদ্দেশ্য হইল, কাহারও যে অধিকার বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহা প্রয়োগ করিবার জন্য যে সময়ের মেয়াদ নির্ধারণ করিয়া দেয়, সে সময়ের মধ্যে আইনের আশ্রয় নেওয়া যাইবে,তাহা নির্দেশ করা ।
(২) তামাদির কারণে প্রতিকার নষ্ট হয়-অধিকার নষ্ট হয় না :
তামাদি আইনের বিধানগুলো হল পদ্ধতিগত বিধান। এই আইনের ধারা-২৮ এর বিধান ছাড়া অন্যকোন বিধান বলে কোন অধিকার সৃষ্টিও হয় না, নষ্টও হয় না।
(৩) কর্ম তৎপর লোকদের সহায়তা প্রদান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা :
অত্র আইন কর্ম তৎপর ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করে এবং তামাদি আইনের বিধান মােতাবেক কোন সময় সীমার বাধা না থাকিলে মামলা কোন দিন শেষ হত না।
(৪) দীর্ঘকাল পরে মামলায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রোধ :
একইভাবে, মামলার মেয়াদকাল বিষয়ে কোন বাধ্য না থাকিলে দীর্ঘকাল পরেও আমাদের মামলায় জড়িয়ে
পড়ার আশঙ্কা থাকত। তামাদি আইন এই অসুবিধা দূর করেছে।
(৫) সমাজ জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান : অত্র আইন আপাত দৃষ্টিতে কিছুটা কঠোর মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে ইহা সমাজ জীবনে নিশ্চয়তা প্রদানে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করিয়া চলছে।
(৬) অত্র আইন না থাকিবার সম্ভাব্য কুফল :
তামাদি আইন না থাকিলে অনেক সম্ভাব্য কুফল দেখা দিত। যেমন- যদি তামাদি না থাকত, কিন্তু কোন এক ব্যক্তির পিতামহের আমলের শতাধিক বৎসরের পুরাতন একটি বরাত চিঠিতে প্রদত্ত স্বীকৃতির কারণে সেই ব্যক্তিকে দায়ী করিয়া মামলা করা হত। এইভাবে তামাদি আইন সম্ভাব্য কুফল দূর করেছে।
(৭) পুরাতন আদায়ে বাধা প্রদান করা: দাবী সর্বোপরি, তামাদি আইনের লক্ষ্য হলো, কোন ব্যক্তিকে একটি পুরাতন দাবী আদায়ে বাধা প্রদান করা। কোন বিবাদীকে তাহার ইচ্ছামত সমর্থনের অজুহাত গ্রহণ করিতে বাধা দেয়া অত্র আইনের উদ্দেশ্য নহে।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে তামাদি আইনের মুল উদ্দেশ্য হলো সুদুর অতীতের কোন বিবাদ টিকিয়ে রাখার পথে পথিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং মানুষকে তার অধিকার সস্পর্কে সদা জাগ্রত রাখা এবং কোন বিরোধ সমাধানহীনভাবে অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে না দেয়া ।

তামাদি আইন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন কি না?
১৯০৮ সালের তামাদি আইনের সুস্পষ্ট বিধান হল এই আইনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলা, আপীল কিংবা দরখাস্ত আদালতে দাখিল না করলে পরবর্তীতে আদালত তা গ্রহন করবে না।

তামাদি আইনের ৩ ধারা হতে ২৫ ধারা পর্যন্ত বর্ণিত বিধান | মোতাবেক যে কোন ধরণের মামলা আপীল কিংবা দরখাস্ত দাখিলের মেয়াদ সম্পর্কে সাধারণ নিয়মাবলী ব্যতিক্রম সহ উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইনের মধ্যে ৫ ধারায় তামাদি রেয়াত বা বিলম্ব মৌকুফের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তামাদি আইনের ২৮ ধারায় জবর দখলের মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা স্বত্ব বিলপ্ত হয় এবং জবর দখরকারীর স্বত্ব অর্জনের সময়সীমার বিষয়ে নির্ধারিত বিধানাবলী বর্ণিত হয়েছে।
এ ছাড়া অত্র আইনের ১৬ ও ২৭ ধারায় ব্যবহার সিদ্ধ অধিকার অর্জনের সময়সীমা সম্পর্কে বিধান রয়েছে। তাই এই আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব মওকুফের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে উক্ত বিধান ছাড়া আদালত ন্যায়বিচার এর স্বার্থে তামাদি আইন দ্বারা অনুমোদিত সময় সীমার ব্যাপারে কোন অনুমান বা ক্ষমা প্রদর্শন করবেন না।
সুতরাং যে দাবী তামাদি হয়ে যায় তার সময়সীমা বাড়ানোর এখতিয়ার আদালতের নেই এমনকি তামাদিকৃত দাবী বা অধিকারকে আদালত পুনরুজ্জীবিত করতে পারে না।
তাই তামাদি আইন বলতে এমন এক স্বয়ংসম্পূর্ণ আইনকে বুঝায় যে আইন দ্বারা সর্ব প্রকার দাবী বা স্বত্বের দ্বন্দ্বকে অবিরাম গতিকে দীর্ঘায়িত করার সুযো না দিয়ে বরং তা চিরদিনের জন্য নিস্পত্তি করায় সাহায্য করে থাকে।তাছাড়া এই আইন প্রতারনা মূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করে।
১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৯টি ধারা ১ নং তফসিলে ৪৮৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। অতএব এই আইনে সব ধরনের বিধিবদ্ধ নিয়মাবলী সন্নিবেশিত রয়েছে বিধায় একে স্বয়ং সম্পূর্ণ বিধিবদ্ধ আইন বলে গন্য করা হয়।
তাই উপরোক্ত আলোচনার সারমর্মে বলা যায় যে, ১৯০৮ সালের তামাদি আইন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন।
Fair Use Disclaimer: ============

This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
"Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use."

#তামাদি_অর্থ#তামাদি_কি#তামাদি_আইন_১৯০৮#What_is_limitation_act_1908#বার_কাউন্সিল_লখিত_প্রস্তুতি,#এডভোকেটশীপ_লিখিত_প্রস্তুতি#বার_কাউন্সিল_পরীক্ষা_২০২০ #Advocateship_Written_exam_2020 ,tamadi_law_bangladesh #tamadi ain,#tamadi_ain_1908#tamadi#limitation_act_lecture, #Law_Academy

Комментарии

Информация по комментариям в разработке