🔶 হিজামা (কাপিং) বা রক্তমোক্ষণ কী?
.
.
হিজামা (حِجَامَة) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে নাইট্রেট অক্সাইড তৈরি হয়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
হিজামা বা (Wet Cupping) অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট স্থান থেকে সূঁচের মাধ্যমে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে (টেনে/চুষে) নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত বের করে আনা হয়। এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে।
🔶 ইসলামী শরী‘আতে হিজামার গুরুত্ব অত্যাধিক। এর কয়েকটি কারণ আছে। যেমন-
🔹হিজামার মধ্যে রয়েছে রোগের নিরাময়। —[ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৮০, ৫৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৫]
🔹 রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মি‘রাজে যাওয়ার সময় ফেরেশতাদের সকল দল তাঁকে এবং তাঁর উম্মতকে হিজামা করার কথা বলেন। —[তিরমিযী, হা/২০৫২, ২০৫৩; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৭৭]
🔹রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হিজামা সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক। —[ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৯৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭৭]
🔹নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থতার (যেমন মাথা ব্যথা) কারণে হিজামা করতে বলতেন —[আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৮]
🔹হিজামা শরীর হতে দূষিত রক্তগুলো বের করে দেয়, সে কারণে রোগের অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার না করলেও কোন ক্ষতি হবে না। —[আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৯; ইবনু মাজহ, হা/৩৪৮৪]
🔹হিজামা করা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের মাথায় এবং উভয় বাহুর মধ্যখানে (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৮৪), নিতম্বে (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৬৩), ঘাড়ের দুই পার্শ্বের উভয় রগে (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৬০; তিরমিযী, হা/২০৫১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৮২) হিজামা করেছেন।
🔹ছাহাবীগণও হিজামা করেছেন এবং এর মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করেছেন। —[ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৫]
🔶 হিজামা বা (Wet Cupping Therapy) দ্বারা যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
১. দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা (মাইগ্রেনসহ)
২. রক্তদূষণ
৩. উচ্চরক্তচাপ(হাই প্রেসার)
৪. বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস
৫. ঘুমের ব্যাঘাত
৬. পায়ে ব্যথা
৭. বাতের ব্যথা
৮. জয়েন্ট পেইন
৯. আথ্রাইটিস পেইন
১০. কালো যাদু
১১. ত্বকের বর্জ পরিস্কার
১২. লিভার ডিজিজ
১৩. দীর্ঘ মেয়াদী চর্ম রোগ
১৪. কিডনী রোগ
১৫. ক্রনিক কফ
১৬. গেটে বাত
১৭. ঘাড়ে ব্যথা
১৮. মাংস পেশীর ব্যথা(Muscle pain)
১৯. হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যথা
২০. সাইনুসাইটিস(nasal sinus)
২১. হাঁপানি (Asthma)
২২. হৃদরোগ(Cardiac Disease)
২৩. মানসিক প্রশান্তি
২৪. অবস(প্যরালাইসিস)
২৫. মহিলাদের মাসিক সমস্যা
২৬. বাচ্চা না হওয়া
২৭. মুঠিয়ে যাওয়া(Obesity)
২৮. থাইরয়েড
২৯. গ্যাস্ট্রিক পেইন,এসিডিটি
৩০. শারিরিক দুর্বলতা.
৩১. হরমোনজনিত সমস্যা
৩২. বিভিন্ন রকম চর্মরোগ
৩৩. চুল পড়া
৩৪. পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের যেকোন সমস্যা।
৩৫. ব্রন
৩৬. সায়াটিকা
৩৭. ফুসফুসের সমস্যা। লাঞ্চে ব্যাথা
৩৮. অনিচ্ছায় পেশাব
৩৯. অন্ড কোষ ফুলে যাওয়া
৪০. যেকোন ধরনের ব্যাথা ইত্যাদি।
সাধারণত হিজামার জন্য উত্তম সময় হচ্ছে চন্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ। আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘাড়ের দুই পাশের শিরায় এবং ঘাড়ের কাছাকাছি পিঠের ফুলা অংশে হিজামা করাতেন। তিনি মাসের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করাতেন।—[তিরমিযী হা/২০৫১, ২০৫৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৮৩; আবুদাঊদ হা/৩৮৬১, সনদ ছহীহ।]
🔷 হিজামা নেয়ার ফলে যে উপকারিতা পাবেনঃ
❑ ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যাবে।
❑ শরীরের টক্সিন (বিষ) দূর হবে।
❑ যে যে পয়েন্টে হিজামা করা হবে সেই সেই পয়েন্টে ও সংলগ্ন এলাকায় ডিপ মেসেজ হবে এবং ওই এলাকার কোষগুলো অক্সিজেন ও পুষ্টি বেশি পাবে।
❑ এন্টি এজিং থেরাপি হিসেবে কাজ করবে।
❑ শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হবে। যার ফলে মানবদেহে–
১. এনার্জি লেভেল বাড়বে।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৩. গ্লুকোজের লেভেল নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৪. দেহের অঙ্গসমূহের মাঝে ট্রান্সমিশন নিশ্চিত হবে।
৫. শরীরের ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
৬. শরীর থেকে ক্যান্সার সেলগুলো ধ্বংস হবে।
৭. ঘুমের গভীরতা রক্ষা করবে।
৮. ঘ্রানশক্তি রেগুলেট হবে।
৯. পাকস্থলীর কার্যাবলী আরো সক্রিয় হবে।
১০. চুল পড়া কমবে ইত্যাদি।
🔴 হিজামা প্যাকেজ:
🔶 রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
❝হিজামা সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক।❞ —[বুখারী: হা/৫৬৯৬, মুসলিম: হা/১৫৭৭]
🔰 প্যাকেজ ১:
হিজামা কাপিং সেশন মাত্র ১০০০৳
শরীরের সর্বোচ্চ ১৩টি পয়েন্টে।
🔰 প্যাকেজ ২:
হিজামা কাপিং সেশন মাত্র ১৫০০৳
শরীরের সর্বোচ্চ ২০টি পয়েন্টে।
🔰 প্যাকেজ ৩:
হিজামা কাপিং সেশন মাত্র ২০০০৳
শরীরের সর্বোচ্চ ২৫ টি পয়েন্টে।
🔰 প্যাকেজ ৪:
হিজামা কাপিং সেশন মাত্র ২৫০০৳
শরীরের সর্বোচ্চ ৩০টি পয়েন্টে।
🔰 প্যাকেজ ৫:
হিজামা কাপিং সেশন মাত্র ৩০০০৳
ফুল বডি ৩৫ কাপ।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে বা বিস্তারিত জানতে আমাদের অফিসিয়াল পেইজ বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ম্যাসেজ করুন অথবা যোগাযোগ করুন নিম্নোক্ত ঠিকানায়–
🔴 ঠিকানা: দরবেশ গেট এর পূর্ব ভবন (২য় তলা), স্বরূপকাঠি রোড, বানারীপাড়া, বরিশাল।
📢 বিঃদ্রঃ বরিশাল বিভাগ এবং আশেপাশের জেলার যেকোনো প্রান্তে হোম সার্ভিস দেয়া হয়।
রাক্বী আছিবুল ইসলাম আল-আসারী
☎️ 01867-049700 (হোয়াটসঅ্যাপ)
সিনিয়র কনসাল্টেন্ট অফ রুক্বইয়াহ
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিষ্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
Информация по комментариям в разработке