বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কিভাবে অল্প সময়ে শিং মাছ চাষ করবেন, 01841202429

Описание к видео বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কিভাবে অল্প সময়ে শিং মাছ চাষ করবেন, 01841202429

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কিভাবে অল্প সময়ে শিং মাছ চাষ করবেন

যেকোনো মাছের জন্য যোগাযোগ করুন

Mobile Number - 01841202429

Imo WhatsApp Number - 01728202429


ঠিকানা
ময়মনসিংহ ত্রিশাল ধলা

© Mymensimgh Fish TV


পুকুর প্রস্তুতিঃ

প্রথমে পুকুরের সম্পূর্ণ পানি শ্যালো মেশিন দিয়ে টেনে শুকিয়ে ফেলতে হবে। পুকুরের তলায় এক দিন রোদ্র দিতে হবে । পুকুরের তলায় অতিরিক্ত কাঁদা ও পঁচা আর্বজনা শামুক থাকলে তুলে ফেলতে হবে । চারপাশে লতাপাতা কচুরিপানা থাকলে ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। পুকুরের পাড়ে বড় কোন গাছ পালা থাকলে ছাঁটাই করে দিতে হবে। পুকুরের তলায় মই টেনে মাটি সমান করে দিতে হবে। তারপর প্রতি শতাংশে ৫০০ গ্রাম হারে চুন ও ১৫০ হারে জিওলাইট প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম হারে লবণ দিতে হবে । পুকুরের তলায় যদি গ্যাস থাকে তাহলে গ্যাস উত্তোলন করার জন্য “গ্যাসটপ ” ঔষধ দিতে হবে।

চুন, জিওলাইট, লবণ, গ্যাসটপ প্রয়োগ করার ১২ ঘণ্টা পরে পুকুরে পরিষ্কার পানি দিতে হবে। পুকুরে পানি দেওয়ার আগেই পাড়ের উপরের চারপাশে ৩ ফুট উঁচু নেট জাল দিয়া বেড়া দিতে হবে । সাপ, ব্যাঙে পোনা খেতে না পারে তাই জাল বেড়া দিতে হয়। পানি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে পুকুরে শিং মাছের রেণু মাছ ছাড়া যাবে। রেণু ছাড়ার সময় পুকুরের পানির সাথে অক্সিজেন ব্যাগ এর পানির তাপমাত্রা ম্যাচ করে ছাড়তে হবে। প্রতি শতাংশে ৫ থেকে ১০ গ্রাম শিং মাছের রেণু ছাড়া যাবে। ১০ শতাংশ একটি নার্সিং পুকুরের জন্য সর্বোচ্চ ১ কেজি শিং মাছের রেণু ছাড়া যাবে। শিং মাছের নার্সিং পুকুরের ৩ থেকে ৪ ফুট পানি রাখতে হবে । ৪ ফুটের বেশি পানি থাকলে পানি সেচ দিয়ে কমিয়ে রাখতে হবে।

শিং মাছের খাদ্যঃ

প্রথম তিন দিন শিং মাছের রেণু কে সিদ্ধ ডিমের কুসুম খাওয়াতে হবে। ১ কেজি রেণুর জন্য প্রতিদিন ১৬ টি সিদ্ধ ডিমের কুসুম খাওয়াতে হবে। সকলে ৮টি বিকাল বা রাতে ৮ টি ডিমের কুসুম খাওয়াতে হবে। সিদ্ধ ডিমের কুসুম পরিষ্কার পানির সাথে ভাল করে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরের সমান ভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। তিন দিন পরে প্যাকেট জাতীয় নার্সারী পাউডার ফিস ফিড দিতে হবে। এগুলো পানির সাথে মিশিয়ে ভাল করে পুকুরের সমান ভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। তবে পাউডারের ফিড এর সাথে সরিষার খৈল ভিজিয়ে মাছকে খাওয়ানো যাবে। প্রথম সপ্তাহে মাছের ওজনের ১০০% খাবার দিতে হবে। অর্থাৎ ১ কেজি রেণু জন্য প্রতিদিন ১ কেজি খাবার দিতে হবে। শিং মাছের রেণু প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার দিতে হবে। মাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে মাছের খাবার আস্তে আস্তে বাড়িয়ে দিতে হবে। শিং মাছ চাষের ক্ষেত্রে পুকুরের পানির কালার হলকা সবুজ রাখতে হবে। পানি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে পুকুরে শিং মাছের রেণু পোণা ছাড়া যাবে।

পুকুরে রোগ ব্যাবস্থাপনাঃ

শিং মাছের রেণুর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভাইরাস । পুকুরে একবার ভাইরাস হলে শিং মাছকে সাধারণত বাঁচানো যায় না। তাই মাছে যাতে ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় তার জন্য আগে থেকেই প্রতি শতাংশে ২ গ্রাম হারে টিমসেন বা ভাইরেক্স প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে প্রতি সপ্তাহে লবণ ২০০ গ্রাম, পটাশ ২.৫ গ্রাম, পরিমাণ মত ভিটামিন সি প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরে যদি অক্সিজেনের অভাব হয় তাহলে অক্সিজেনের ট্যাবলেট অক্সিটপ বা অক্সিগোল্ড অথবা অক্সিমোর প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরের তলায় অতিরিক্ত গ্যাস হলে আস্তে আস্তে হররা টানতে হবে অথবা গ্যাস উত্তোলনের জন্য গ্যাসোনেক্স প্রয়োগ করেত হবে।

পোনা মজুদঃ

এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশি শিং মাছের পোনা পাওয়া যায়। দেশি শিং মাছ একক চাষের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টি পোনা মজুদ করা যাবে। শিং মাছ চাষে পুকুরে ৪–৫ ইঞ্চি সাইজের প্রতি শতাংশে ৮ থেকে ১০ পিচ রুই, কাতল, গ্রাসর্কাপ, মৃগেল মাছের পোনা ছাড়তে হবে। কিছু কার্প জাতীয় মাছের পোনা ছাড়লে পুকুরের পরিবেশ ভাল থাকে। শিং মাছের পোনা পরিবহনের আগে ভাল করে এন্টিফাঙ্গাস জাতীয় মেডিসিন দিয়ে গোসল করিয়ে নিলে মাছ সুস্থ থাকে এবং রোগ বালাই হয় না।

পুকুরে খাদ্য প্রয়োগঃ

শিং মাছকে ছোট অবস্থায় ভাসমান পাউডার ফিড দিতে হবে। মাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে দানাদার খাদ্য দিতে হবে। শিং মাছের খাবারে ৩০–৩৫ % আমিষ থাকতে হবে। শিং মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য শর্করা, চর্বি, ফ্যাট, প্রাণীজ ও খনিজ এবং ভিটামিন পুষ্টি উপাদান থাকতে হবে। সাধারণত শিং মাছ রাতে ক্ষেতে পছন্দ করে । মাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে দিনের বেলায় খাদ্য খাওয়া শুরু করে। প্রথম অবস্থায় ২-৩ ইঞ্চি মাছের জন্য মাছের ওজনের ৩০% খাদ্য দিতে হবে। ১০ দিন অন্তঙর অন্তর মাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে মাছের খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке