Скачать или смотреть সারজিস হাসনাতের কথায় কেন দেশ চলবে! ওরা কি একাই আন্দোলন করেছে?

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবিতে অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছে। বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর, যা আন্দোলনকারীদের মতে অনেক প্রতিভাবান প্রার্থীর জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা যুক্তি দিচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই সময় লেগে যায় এবং তাতে ৩০ বছরের আগে অনেকের সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগই কমে যায়।

এই দাবির পক্ষে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছেন:

1. শিক্ষার দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া: অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে দেরি করে এবং উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে সময় লাগে। ৩০ বছর বয়সের মধ্যে চাকরিতে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।


2. বৈশ্বিক মানদণ্ড: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলনামূলকভাবে বেশি, যেমন: ভারতে ৩৫ থেকে ৪০ বছর এবং ইউরোপ-আমেরিকার কিছু দেশে এটি আরও বেশি।


3. বেকারত্ব হ্রাস: বয়সসীমা বাড়ালে আরও বেশি মানুষ চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবে, যা বেকারত্ব হ্রাসে সহায়ক হতে পারে।


4. সামাজিক চাপ: শিক্ষার্থীরা পরিবারের এবং সমাজের চাপের মধ্যে থাকে। অনেকেই পারিবারিক কারণে সময়মতো পড়াশোনা শেষ করতে পারেন না, ফলে বয়সের বাধায় সরকারি চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হয়।



চাকরিতে ৩৫ বয়সসীমা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করেছে, যেমন: মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালানো। তারা আশা করছেন যে, সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে।