Скачать или смотреть কুস্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর, মাদ্রাসার ৪ ছাত্র গ্রেফতারঃ ষড়যন্ত্রের আভাস

কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চার মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার যুগিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভালো খবর দেয়া যাবে।

বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নিঃসন্দেহে পরিকল্পিত নাটক
১. সিটিটিভি ক্যামেরা সাধারণত স্থীর এবং একস্থানে সীমাবদ্ধ থাকে। হাঁ, এর ব্যতিক্রমও কিছু আছে। তবে সেগুলোও নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী চতুর্দিকে ঘুরে। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এই প্রথম দেখলাম, লোক দুটোকে ফলো করে তাদের সাথে সাথে সিসিটিভি ক্যামেরাও ঘুরছে। বড় আশ্চর্য লাগল।
২. কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা চলতি অবস্থায় কখনোই জুম হয় না। কেউ যদি স্বেচ্ছায় জুম করে তাহলে হয়, নতুবা নয়। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লোক দুটো খানিকটা মূর্তির দিকে অগ্রসর হওয়ার পর পরই ক্যামেরা হঠাৎ করেই জুম হওয়া শুরু করল। যাতে লোক দুটোর চেহারা স্পষ্ট এবং আরো ভালোভাবে দেখা যায়। এমনকি ভিডিও চলাকালীন সিসিটিভি ক্যামেরার আওয়াজও হচ্ছে। এবং সেটি বাড়ছে ও কমছে।
৩. যদি আসলেই তারা মাদরাসার ছাত্র হতো তাহলে পাঞ্জাবি-টুপি পরে কখনোই তারা এমন কাজ করত না বা করার সাহসও করত না। করলে নিশ্চয়ই গোপনীয়তা বজায় রেখেই তারপর করত। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুবকগুলো খুব সাজগোজ করেই মূর্তি ভাঙার জন্য এসেছে৷ যা কল্পনাতীত। তাছাড়া ছেলে দুটোকে আমার নিতান্তই টোকাই ছেলেদের মতো মনে হয়েছে৷ একটু ভালো করে তাকালে আপনারাও বুঝবেন।
৪. রড-বালু-সিমেন্ট- দিয়ে বানানো আস্ত একটি মূর্তিকে কোনো পাগলেও খালি হাতে ভাঙতে যাবে না৷ কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে ছেলে দুটো খালি হাতেই মূর্তি ভাঙার জন্য ওপরে উঠেছে। উঠেই তারা মূর্তি ভাঙা শুরু করেছে। তারমানে মূর্তি ভাঙার জন্য আগ থেকেই সেখানে ভারি কিছু প্রস্তুত করে রাখা ছিল।
৫. এটি যদি পূর্বপরিকল্পিত কোনো নাটক সত্যিই না হয়ে থাকে তাহলে ঘটনার পরপরই কেন এই ভিডিও ফুটেজটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হলো না? দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পর এখন কেন প্রকাশ করা হলো? তাছাড়া সেটিও মাত্র কয়েক সেকেন্ডের! ফুল ভিডিও কোথায়? জাতির সাথে এমন তামাশা আর কত? এবং কতকাল?
পরিশেষে বলব– যদিও নিতান্তই অনভিজ্ঞ এবং আনাড়ি খেলোয়াড়েরা এমন নাটক সাজিয়েছে, কিন্তু এটি নিঃসন্দেহে একটি সাজানো এবং পরিকল্পিত নটক ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। চলমান পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে এবং উত্তপ্ত করবার জন্যই এমন জঘন্য কাজ করা হয়েছে। এটি শান্তিপ্রিয় ওলামায়ে কেরাম এবং মূর্তিপ্রিয় সরকারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ারই একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মূর্তি ভাঙার সাথে সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা অজুহাত।