রোজার গুরুত্ব
রোজা ফরজ ইবাদত। এটি দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আল্লাহ তাআলা রোজা রাখার আদেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য সাওম ফরজ করা হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ অন্য আয়াতে বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে সাওম পালন করে।’ আরেক আয়াতে বলেন, ‘আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণরেখা থেকে উষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। এরপর নিশাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩, ১৮৫ ও ১৮৭)
রোজার গুরুত্ব বর্ণনা করে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বস্তুর ওপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ করা এবং রমজানের রোজা পালন করা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮)
রমজানে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সুসংবাদ দিয়ে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান সহকারে সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭)
রোজার তাৎপর্য
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য সারা বছরে শুধু রমজান মাসেই রোজা ফরজ করেছেন। ইসলামের আলোকে রোজা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যেমন এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার প্রতি আমাদের গভীর ইমান ও বিশ্বাস প্রকাশ পায়। মহানবী (সা.)-এর প্রতি গভীর আনুগত্য প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়। সংযম, ত্যাগ, দান, ভ্রাতৃত্ববোধ, দয়াসহ অন্যান্য চারিত্রিক গুণের বিকাশ ঘটে। দৈহিক, মানসিক, আত্মিক প্রশান্তি অর্জিত হয়। সহমর্মিতা, মমত্ববোধ ও কল্যাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা হয়। ধনীদের মধ্যে গরিব, মিসকিনদের সাহায্য করার উৎসাহ সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানের আলোকেও রোজার তাৎপর্য অনস্বীকার্য। রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানবদেহকে পরিশোধিত করে শরীরের জমাকৃত চর্বি শরীর থেকে বের করে ফ্যাটি লিভার, অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ, অধিক ওজন, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা করেন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষণায়ও তা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ বিষয়ে জাপানি বিজ্ঞানী ওশিওমি ওহসুমি অটোফেজি আবিষ্কারের জন্য ২০১৬ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর মতে, নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ন্ত্রিত পানাহার এবং ১২-১৮ ঘণ্টা একটানা অভুক্ত থাকার ফলে শরীরের কোষগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থায় শরীরের মৃত, অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকারক কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে।
#education #speech #weekly #learn #School #ramadan #class #রোজা #গুরত্ব
Follow our all social media
• Facebook: / a.sfuturebrilliantschool
• Instagram : / as_future_brilliant_school
• Twitter : / asfutureschool
• Tiktok : / asfuturebrilliant
• likee : https://likee.video/@a_s_Shool
#learnenglish #english #englishspoken
Информация по комментариям в разработке