Скачать или смотреть সরিষা চাষে ফলন বৃদ্ধিতে বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশে) সঠিক সারে মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি। কৃষি বিষয়ক পরামর্শ

সরিষা চাষে ফলন বৃদ্ধিতে বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশে) সঠিক সারে মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি। কৃষি বিষয়ক পরামর্শ

সরিষা চাষ পদ্ধতি
সরিষা চাষ
সরিষার জাত
বারি সরিষা ১৪
বারি সরিষা ২০
সরিষার ফলন বৃদ্ধির জন্য সুষম সার ব্যবহার, সঠিক সময়ে সেচ প্রদান, উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন এবং রোগ ও বালাই দমনের উপর জোর দিতে হবে। উন্নত জাতের মধ্যে বারি সরিষা-১৮, বারি সরিষা-১৪ এবং বিনা সরিষা-১০ উল্লেখযোগ্য। 

চাষাবাদ ও পরিচর্যা

বীজ বপন: ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বীজ বপন করা উচিত।

জাত নির্বাচন: বারি সরিষা-১৮, বারি সরিষা-১৪, এবং বিনা সরিষা-১০ এর মতো উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন জাত নির্বাচন করুন।

বীজ শোধন: রোগ প্রতিরোধের জন্য রিডোমিল ৭২ দিয়ে বীজ শোধন করা যেতে পারে।

সেচ: ফুল আসার সময় হালকা সেচ দিন, বিশেষ করে যদি খরা থাকে। 

সার ব্যবস্থাপনা

জৈব সার: শেষ চাষের আগে প্রতি বিঘায় ৩০০-৪০০ কেজি জৈব সার ব্যবহার করুন। সম্পূর্ণ জৈব চাষে প্রতি শতকে ৫-৭ কেজি কেঁচো সার, ২৫০-৩০০ গ্রাম নিমখোল গুঁড়া এবং ২০০ গ্রাম হাড়ের গুঁড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।

রাসায়নিক সার: বিঘাপ্রতি (৩৩ শতকে) সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।

শেষ চাষের সময়: টিএসপি, জিপসাম, বোরিক এসিড ও জিংক অক্সাইড দিতে হবে।

সেচ দেওয়ার পর ২০-২৫ দিন বয়সে: প্রতি বিঘায় ১৫-২০ কেজি ইউরিয়া ছিটিয়ে দিন। 

রোগ ও বালাই নিয়ন্ত্রণ

অরোবাংকি (পরজীবী): এটি সরিষা গাছের শিকড়ের সাথে যুক্ত হয়ে ফলন কমিয়ে দেয়।

প্রতিকার:

অরোবাংকি দমনের জন্য ২% হারে (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম) স্প্রে করা যেতে পারে এবং এটি ২০-২৫ দিন পর পর ৩-৪ বার প্রয়োগ করতে হবে।

রোগ প্রতিরোধের জন্য রিডোমিল ৭২ দিয়ে বীজ শোধন করতে পারেন।