ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা - ভিটামিন ডি এর উপকারিতা - ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার - Vitamin D Foods

Описание к видео ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা - ভিটামিন ডি এর উপকারিতা - ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার - Vitamin D Foods

ভিটামিন ডি কেন এতো জরুরী ও এর উৎস কি? এ নিয়ে বলেছেনঃ

পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা এর সিরিয়াল পেতে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারগুলিতে।
ধানমন্ডি ০১৯৫৬১৪৮৩৮৩,
মিরপুর ডিওএইচএস ০১৭৯৬৪৩৪৭৫৮
চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও কক্সবাজার ০১৮৩৩০০৬০৯৯


ভিটামিন ডি বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এমনকি, হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশকেও সহজ করে তোলে ভিটামিন ডি।


মহামারিকালীন বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে, ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখতে, এমনকি, ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে উপকারী। এটি শরীরের পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা অনেক। সাধারণত খাবার ও সকালের রোদ থেকে ভিটামিন ডি মেলে।

তবে অনেকেই সকালের রোদ শরীরে লাগাতে পারে না। অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার না খেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডে মেলে না। তাই এই ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় অনেকের শরীরেই।

আরও পড়ুন: জেনে নিন, কোন খাবারে কোন ভিটামিন

সূর্যের আলো ভিটামিন ডি'র অন্যতম প্রধান উৎস। এ ছাড়াও বিভিন্ন খাবার থেকে ভিামিন ডি পাওয়া যায়।

শীতকালে অনেকের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এই সময় দেহে ক্যালশিয়ামের বিপাক যথাযথ বজায় রাখার জন্য প্রতি দিন ১০-১৫ মিনিটের সরাসরি সূর্যালোক প্রয়োজন। শরীরের ভিটামিন ডি'র ঘাটতি হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

যেমন:
১. হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে খেয়াল করতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি কমে গিয়েছে কি না।
২. হাড়, পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথা, অস্থিসন্ধিগুলির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।
৩. শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভালোভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস এবং ক্লান্তবোধ করেন তবে এটি ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণেই হতে পারে।
৪. স্থূলকায় ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে কারণ মেদবহুল কোষগুলো শরীরে ভিটামিন ডি নিঃসরণে বাধা দেয়। আবার হঠাৎ ওজন কমতে থাকা শরীরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়ার পরও ওজন কমা ভিটামিন ডি-এর অভাব হতে পারে।

৫.শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে ভিটামিন ডি-এর অভাবে, ঘা শুকাতেও অনেকটাই সময় লেগে যায়।

৬. অকারণে ক্লান্তিভাব, ঝিমুনি এবং শুয়ে বসে থাকার ইচ্ছে হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবে।
কার শরীরে কতটুকু ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজন তা নির্ভর করে বয়স অনুযায়ী। পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি ও ১০০০ মাইক্রো গ্রাম ক্যালশিয়াম এর চাহিদা থাকে।
অন্যদিকে ৭০ এর বেশি বয়স যাদের, তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২০০ মাইক্রোগ্রাম। বয়স অনুপাতে ভিটামিন ডি-এর ডিমান্ড ২৫-১০০ মিলিগ্রাম। সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে।

ভিটামিন ডি হাড়, দাঁত ও মাংসপেশির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ঘাটতিতে শিশুর হাড় নরম হয়ে বেঁকে যায়। এ অবস্থার নাম রিকেটস। বয়স্কদের ভিটামিন ডি–এর ঘাটতি হলে অস্টিওম্যালাশিয়া হতে পারে। এ ছাড়া এই ভিটামিনের ঘাটতিতে শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায়, হাড় ক্ষয় শুরু হয়।

এর বাইরেও ভিটামিন ডির নানা ভূমিকা আছে। বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে এ ভিটামিন কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, জন্মগত ত্রুটি, অটোইমিউন রোগ ও দাঁতের রোগ ঠেকাতেও ভিটামিন ডির ভূমিকা আছে। শরীরের কোষে কোষে আন্তযোগাযোগ ও কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ডির অভাবে শীতে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া শল্যচিকিৎসায় কাটা স্থানের প্রদাহের পেছনেও এই ভিটামিনের ঘাটতির ভূমিকা আছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, ভিটামিন ডির ঘাটতি বিষণ্নতার জন্যও দায়ী। এই ভিটামিন মস্তিষ্কে অ্যাড্রেনালিন, নরঅ্যাড্রেনালিন, ডোপামিন নামক প্রাণরাসায়নিক নিঃসরণ প্রভাবিত করে এবং সেরোটোনিন ও ডোপামিন ক্ষয়ে যাওয়া রোধে কাজ করে। অর্থাৎ মেজাজ ঠিক রাখতে, মস্তিষ্ককে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাব থেকে রক্ষায়, ব্যথা কমাতে ভিটামিন ডির কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া এটি ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রেখে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সাহায্য করে। যেসব শিশুর বেশি মাত্রায় অ্যালার্জির প্রবণতা রয়েছে, তাদের এই ভিটামিনের ঘাটতি হাঁপানি, একজিমার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।

গর্ভকালীন ভিটামিন ডির ঘাটতির কারণে শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মাতে পারে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে প্রসব, অকালীন প্রসব, গর্ভকালীন সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস, প্রি-একলাম্পশিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে যে কারণে ভিটামিন ডি বহুল আলোচিত, তা হলো হাড় গঠন ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এর ভূমিকা। এর ঘাটতি হলে হাড় ভঙ্গুর, হালকা, নড়বড়ে হয়ে যায়। হাড়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে পাবেন ভিটামিন ডি
সূর্যের আলো থেকে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কিছুটা সময় সূর্যের আলোয় থাকার চেষ্টা করুন। সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা, সার্ডিন ইত্যাদিও এই ভিটামিনের ভালো উৎস। ডিমের কুসুম ও মাশরুমও এই ভিটামিনের ভালো উৎস।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке