ডক্টর জাকির আমরা কেন সারা পৃথিবীতে একই দিনে ঈদ পালন করি না ?

Описание к видео ডক্টর জাকির আমরা কেন সারা পৃথিবীতে একই দিনে ঈদ পালন করি না ?

ইসলামী শরিয়তে মাস গণনার জন্য চাঁদ দেখার যে নির্দেশনা এসেছে, তা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের জনসমষ্টির জন্য প্রযোজ্য, যাদের ওপর চাঁদ উদিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমজান মাস পায়, সে যেন রোজা রাখে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)। এখানে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে নির্দেশনা এসেছে তা হলো, ‘যারা এ মাস পাবে’, অর্থাৎ সবাই নয়, বরং তারাই রোজা রাখবে, যারা চাঁদ দেখতে পাবে। সুতরাং রমজানের রোজা পালন ও ঈদ উদ্‌যাপন করার সঙ্গে ব্যক্তিসমষ্টির চাঁদ দেখা শর্ত। বিষয়টি আরো স্পষ্টভাবে এসেছে হাদিস শরিফে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। তবে যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তাহলে মাসের হিসাব ৩০ দিনে পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮১০) এ হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনা গোটা বিশ্বের জন্য নয়, বরং নির্দিষ্ট ভুখণ্ডের জন্য প্রযোজ্য।

একই দিনে রোজা ও ঈদ অসম্ভব
একই দিনে রোজা ও ঈদ পালনের ‘প্রমাণ’ হিসেবে যে হাদিস গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়, সেটির মর্ম অনেকে উপলব্ধি করতে পারেনি। ওই হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) মধ্যাহ্নের পর কয়েকজন মরুবাসী বেদুইনের কাছে শাওয়ালের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়ামাত্র সাহাবিদের রোজা ভঙ্গ করতে বলেন ও পরদিন ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১১৫৭) কিন্তু এ হাদিস সারা বিশ্বে একদিনে রোজা ও ঈদ পালনের বৈধতা কোনোভাবেই প্রমাণ করে না। কেননা রাসুল (সা.) যাঁদের কাছে চাঁদ দেখার সংবাদ পেয়েছিলেন, তাঁরা দূরবর্তী কোনো স্থান থেকে আগমন করেননি। তাঁরা মদিনার পার্শ্ববর্তী কোনো স্থান থেকেই এসেছিলেন। আর কাছাকাছি এলাকায় এক জায়গার চাঁদ দেখা অন্য জায়গার জন্য গ্রহণযোগ্য।

সুতরাং এই হাদিসের বাস্তবতা হলো, মদিনার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে রাসুল (সা.) ও সাহাবিরা চাঁদ দেখতে পাননি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী মরুভূমির মানুষ আকাশ পরিষ্কার থাকায় তা দেখতে পেয়েছিল। তাই তাদের সংবাদ রাসুল (সা.) আমলে নিয়ে রোজা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কাজেই বোঝা গেল, আলোচ্য হাদিস নিকটবর্তী এলাকার চাঁদের ব্যাপারে প্রযোজ্য। দূরবর্তী এলাকার চাঁদের ব্যাপারে নয়। এ বিষয়ে ইবনে কুদামা (রহ.) লিখেছেন, ‘যদি দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব কম থাকে, তখন চাঁদের উদয়স্থলও অভিন্ন হবে। যেমন—বাগদাদ ও বসরা শহরের দূরত্ব কম থাকায় এক শহরে চাঁদ দেখা অন্য শহরের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু হেজাজ, ইরাক ও দামেস্কের মতো এক দেশ থেকে অন্য দেশের দূরত্ব বেশি হলে প্রতিটি দেশের চাঁদের বিধান হবে ভিন্ন ভিন্ন। এক অঞ্চলের চাঁদ দেখা অন্য অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য নয়।’ (শরহে কাবির : ৩/৭)
যদি পৃথিবীতে চাঁদের দেখা মিললেই রোজা ও ঈদ শুরু করতে হয়, তাহলে চাঁদের সর্বপশ্চিমের উদয়স্থল আমেরিকার আলাস্কা অঙ্গরাজ্যকে মানদণ্ড ধরে রোজা ও ঈদ পালন করা উচিত। কারণ সেখানেই চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হয়। ইসলামী শরিয়তে এমন কোনো ইঙ্গিত কি আছে যে সৌদি আরবের চাঁদই সারা বিশ্বের জন্য মানদণ্ড হবে? পাশাপাশি এটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। কেননা প্রথম দৃশ্যমান চাঁদ অনুযায়ী সর্বত্র রোজা ও ঈদ পালন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেমন—আমেরিকায় চাঁদ উঠেছে কি না, তা জানতে বাংলাদেশের মুসলমানদের অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ১২ ঘণ্টা। অর্থাৎ পরদিন ভোর ৬টায় জানা যাবে চাঁদের খবর। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমেরিকার আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সময়ের পার্থক্য প্রায় ২৪ ঘণ্টা। তাহলে আমেরিকার চাঁদ ওঠার খবর নিউজিল্যান্ডবাসী জানতে পারবে পরদিন রাতে। তাহলে তাদের ওই দিনের রোজার উপায় কী!
১৪৬১ সালে সৌদি আরবে সারা বিশ্বের মাজহাবের ওলামায়ে কেরাম বসেছিলেন। ওই বৈঠকে একই দিনে সারা বিশ্বে রোজা করা বা ঈদ করা সম্ভব নয় বলে তাঁরা ফতোয়া দিয়েছেন। গত ১১ অক্টোবর ২০১৪ ময়মনসিংহে এ বিষয়ে একটি বাহাস (বিতর্ক) অনুষ্ঠান হয়। সেখানেও চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়—ওই বিতর্কে সবাই এ মর্মে একমত হন যে সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা বা ঈদ করা সম্ভব নয়। (দৈনিক ইনকিলাব : ১২ অক্টোবর ২০১৪)

======================== Needs and Advice ==================== ✔Email:- [email protected] ✔Phone:- +8801706-917791 ☺ ===========FOLLOW US=============☺ SUBSCRIBE►LIKE►COMMENT►SHARE► ►►    / peacewazbd   ►►    / shantitv   ►►   / peacewazbd   ►►   / mkhalilurr   ►►    / khalilurrahma.  . ◉ প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চ্যানেলটি Subscribe করুন !! ▶ ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন, শেয়ার করুন আর অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন!! ▶ Copyright Disclaimer : Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. If you like the video, please like, comment and share it with your friends. Don't forget to subscribe. I have two more channels to visit. Hope you see something better. Thanks. @peace waz bd @শান্তি টিভি - shanti tv #peacewazbd #ঈদ #রমজান

Комментарии

Информация по комментариям в разработке