Скачать или смотреть সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেনের জীবন কাহিনী/The life story of Munmun Sen,daughter of Suchitra Sen

সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেনের জীবন কাহিনী
মুনমুন সেন, একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদ, 28 মার্চ 1948 সালে কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য পরিচিত একটি বিশিষ্ট বাঙালি পরিবারের অন্তর্গত। এখানে তার জীবন এবং কর্মজীবনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা:
পারিবারিক পটভূমি: মুনমুন সেন কিংবদন্তি বাঙালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন এবং দিবানাথ সেনের কন্যা, কলকাতার একটি ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পরিবারের বংশধর। সিনেমার সাথে গভীরভাবে জড়িত একটি পরিবারে বেড়ে ওঠা, তিনি প্রথম দিকে অভিনয়ের জগতে উন্মোচিত হন।
শিক্ষা: তিনি শিলং এবং কলকাতার লরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেছেন এবং পরে স্নাতকের জন্য কলকাতার লরেটো হাউসে যোগ দিয়েছেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সোমারভিল কলেজে আরও পড়াশোনা করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সংক্ষিপ্ত কোর্সও করেন।
ব্যক্তিগত জীবন: মুনমুন সেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের বংশধর ভারত দেব ভার্মাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুটি কন্যা রয়েছে, রিয়া সেন এবং রাইমা সেন, দুজনেই অভিনয় ক্যারিয়ারও চালিয়েছেন।
অভিনয় পেশা:
আত্মপ্রকাশ: মুনমুন সেন তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার অপেক্ষাকৃত দেরিতে শুরু করেন, বলিউডে তার অভিষেক হয় "অন্দর বাহার" (1984), যেখানে তিনি অনিল কাপুর এবং জ্যাকি শ্রফের সাথে অভিনয় করেছিলেন। 1980 এর দশকের রক্ষণশীল সময়ে তার সাহসী অন-স্ক্রিন চিত্র তাকে আলাদা করে তুলেছিল। চলচ্চিত্রের আগে, তিনি ইতিমধ্যে একজন সুপরিচিত মডেল ছিলেন।
আঞ্চলিক চলচ্চিত্রে কাজ: হিন্দি চলচ্চিত্র ছাড়াও মুনমুন সেন অসংখ্য বাংলা ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় শৈলী এবং বাংলা চলচ্চিত্রে তার মায়ের খ্যাতি তাকে অনেক মনোযোগ এনে দেয় এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন।
ভূমিকা এবং চিত্র: মুনমুন সেন প্রায়শই গ্ল্যামারাস এবং সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতেন, যা তার মায়ের আরও সংযত এবং ঐতিহ্যবাহী চিত্রের বিপরীত ছিল। তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেগুলি স্বাধীন এবং দৃঢ় ছিল, প্রায়শই ঐতিহ্যগত বলিউড নায়িকার ছাঁচ ভেঙে দেয়।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ার:
2014 সালে, মুনমুন সেন রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বাঁকুড়া থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) প্রার্থী হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী, সিপিআই(এম) নেতা বাসুদেব আচারিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন, তার রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা করে।
তিনি 2019 সাল পর্যন্ত একজন সক্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন, যখন তিনি আসানসোল আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু বলিউড অভিনেতা এবং বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়োর কাছে হেরেছিলেন।
ব্যক্তিগত ছবি:
সারা জীবন মুনমুন সেন তার কমনীয়তা এবং শৈলীর জন্য পরিচিত। তার প্রথম দিকের অভিনয় বছরগুলিতে, তিনি প্রায়শই তার গ্ল্যামারাস এবং সাহসী ভূমিকার জন্য শিরোনাম দখল করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তী জীবনে, তিনি তার পরিবার এবং রাজনীতিতে আরও মনোনিবেশ করেছিলেন।
উত্তরাধিকার:
মুনমুন সেনের কন্যা রাইমা এবং রিয়া সেন তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন, ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যদিও মুনমুন নিজেই তার মায়ের কিংবদন্তি মর্যাদায় পৌঁছাতে পারেননি, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং রাজনীতিতে তার অবদানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র:
অন্দর বাহার (1984)
খন্ধর (1984)
পেয়ার কি জিত (1987)
জাল (1986)
শীশা (1986)
মুনমুন সেন তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন, রাজনৈতিক ব্যস্ততা এবং পারিবারিক উত্তরাধিকারের ভারসাম্য বজায় রেখে একজন উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন।

Thank you