Скачать или смотреть কবুতর বিক্রির পরে কি হলো। লক্ষা কবুতরের বাচ্চা হয়েছে।

কবুতর পালন (Pigeon Farming) একটি জনপ্রিয় ও শখ —দুইভাবেই পরিচিত। বাংলাদেশে এবং বিশ্বের অনেক দেশে কবুতর পালন করা হয় সৌন্দর্য, বিনোদন, খেলার জন্য, এমনকি ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করার জন্যও।


কবুতর পালনের মূল দিকগুলো:

১. কবুতরের প্রকারভেদ:
কবুতরের অনেক প্রজাতি রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ ও জনপ্রিয় প্রজাতি হলো:
হোমিং কবুতর বার্তাবাহক হিসেবে ব্যবহৃত হত।
ফ্যানটেল কবুতর সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়।
রেসার কবুতর উরানো ও প্রতিযোগিতার জন্য।
জাকোবা, লাহোরি, ক্যারিয়ার, কিং, মফতি বর্ণিল এবং পালনের জন্য পরিচিত।

২. ঘর বা খাঁচার ব্যবস্থা (Loft Setup):
উঁচু, বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখতে হবে। রোদ ও বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ছাউনি থাকতে হবে।
প্রতিটি কবুতরের জন্য যথেষ্ট জায়গা রাখা জরুরি (প্রতি জোড়ায় ৩–৪ বর্গফুট)
নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন জীবাণু না ছড়ায়।

৩. খাবার (Feeding):
মিক্স খাবার যেমন: ধান, বাজরা, গম, ভুট্টা, তিল, সরিষা ইত্যাদি।
পরিমিত পানি ও খনিজ লবণ যেন সবসময় থাকে।
অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য মাল্টিভিটামিন, গ্রিট ও লিভার টনিক দিতে পারেন।

৪. প্রজনন ও ডিম দেয়া:
সাধারণত এক জোড়া কবুতর মাস ২টি ডিম দেয়।
১৭ থেকে ১৮ দিন পর ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। প্রজননের সময় পাখিদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়।

৫. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা:
নিয়মিত কৃমিনাশক, ভিটামিন, ও চোখ ও গলার জন্য ওষুধ দিতে হয়।
সাধারণ রোগ: ক্যাংকার, পক্স, রানিখেত, নিউক্যাসল ডিজিজ ইত্যাদি। অসুস্থ কবুতর আলাদা করে চিকিৎসা দিতে হয়।