মিয়ারে হক | নতুন ভাবে শুনুন সকলের ভুল ভেঙ্গে দিলেন কোরআন দিয়ে প্রমাণিত | মিয়ারে হক সাহাবায়ে কেরাম ?

Описание к видео মিয়ারে হক | নতুন ভাবে শুনুন সকলের ভুল ভেঙ্গে দিলেন কোরআন দিয়ে প্রমাণিত | মিয়ারে হক সাহাবায়ে কেরাম ?

সাহাবায়ে কেরামগণ কি সত্যের মাপকাঠি?
‘মি’য়ারে হক্ক’ তথা সত্যের মাপকাঠি একটি নতুন পরিভাষা। ইসলামের সোনালী যুগে এ পরিভাষাটির ব্যবহার পাওয়া যায় না। পরবর্তী যুগের কোনো কোনো আলিম প্রকৃত সত্য অনুধাবনের জন্য যে ব্যক্তি বা বস্তুকে মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়, তাকে বুঝাতে এ পরিভাষাটিকে ব্যবহার করেছেন।

প্রথমেই জানা দরকার- হক্ব বা সত্য কী? তারপর জানা যাবে ঐ হক্ক বুঝার বা চেনার মাপকাঠি কোনটি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজ সত্ত্বা, তাঁর প্রেরিত অহি ও ইসলামকে হক্ক মর্মে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহই হলেন একমাত্র হক্ক। আর তাঁর পরিবর্তে তারা যাকে ডাকে তা বাতিল’। [সূরা হাজ্জ, ২২:৬২] ‘আর আমি কিতাব থেকে যে অহি আপানার নিকট প্রেরণ করেছি, তা-ই হক্ব, এটা তার পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী।’ [সূরা ফাতির : ৩৫:৩১]

সহীহ বুখারিতে এসেছে, আয়েশা রা. বর্ণনা করেন ‘অতঃপর একপর্যায়ে তাঁর নিকট হক্ক আগমন করেছে। আর তখন তিনি ছিলেন হেরা গুহায়।’ [বুখারী, আস সহীহ হা-৩] এ হাদীসে মা আয়েশা রা. হক্ক বলতে অহিকেই উদ্দেশ করেছেন। পবিত্র কুরআনের অন্যত্র ইসলামকেও হক্ক মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, বলুন! হক্ক এসেছে আর বাতিল দূরীভূত হয়েছে, বাতিল তো দূরীভূত হওয়ারই ছিল। [সূরা ইসরা : ১৭:৮১]

উল্লেখিত দলীলসমূহে যে ‘হক’-এর আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে, বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. হলেন সে ‘হক’-এর একমাত্রনির্ভুল প্রচারক। কোনটি হজ্ব, কোনটি বাতিল তা উম্মতকে তিনিই জানাবেন এবং তিনিই শিখাবেন। হজ্ব ও বাতিল বুঝার জন্য উম্মত তাঁর কাছেই ধর্না দেবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, আমি আপনার প্রতি এজন্যই কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি তাদের জন্য ব্যাখ্যা করে দেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করেছে।’ [সূরা নহল: ১৬:৬৪]

উপরোক্ত আয়াতের নির্দেশনার অধীনে সাহাবাগণ রা. থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষ অন্তর্ভুক্ত। তাই তো সাহাবাগণ রা. কোনো বিষয়ে পরস্পর বিবাদে জড়িয়ে পড়লে সমাধানের জন্য রাসূল সা.-এর নিকট গমন করতেন। রাসূল সা. উক্ত বিষয়ের সমাধান দেয়ার পর তারা বিনা দ্বিধায় তা মেনে নিতেন, এ বিষয়ে সামান্যও দ্বিমত করতেন না। উপরন্তু রাসূল সা.-এর সাথে কোনো বিষয়ে দ্বিমত করার অধিকারও কারো নেই। কিন্তু তারা নিজেরা বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পর দ্বিমত করতেন। তাদের পারস্পরিক দ্বিমত করার ঘটনা রয়েছে শত শত। সাহাবাগণের পারস্পরিক এ মতভেদই প্রমাণ করে যে, তারা একে অপরকে সত্যের মাপকাঠি মনে করতেন না।

রাসূল সা.-এর লক্ষাধিক সাহাবার মধ্যে কোনো সাহাবী নিজেকে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের মানদণ্ড, বা নিরঙ্কুশ আনুগত্য পাবার অধিকারী মনে করতেন এমন একজন সাহাবীও পাওয়া যাবে না। বরং তাদের কেউ কোন ভুল করলে অন্য কেউ ভুলের সংশোধনী দিলে তা তারা নির্দ্বিধায় মেনে নিতেন। এ প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ ইবনে হাবীব রা. বর্ণনা করেন, একদা ওমর রা. বললেন, তোমরা নারীদের মোহরানা নিয়ে অতিরঞ্জন করো না। অর্থাৎ বেশি পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করো না। তখন একজন মহিলা বলে উঠলেন হে ওমর! আল্লাহ বলেছেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে কিনতার পরিমাণ মোহর প্রদান করতে পারো। তখনই ওমর রা. বললেন, মহিলা ঠিক বলেছে, ওমর ভুল করেছে।[ইবনুল হাজর, ফাতহুল বারী, খ-৯]

ওসমান রা.-এর সম্পদের ব্যাপারে আবুযর গিফারী রা.-এর সমালোচনা করা, আলী রা.- এর সাথে মুয়াবিয়া রা.-এর দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাওয়া সর্বজনবিদিত ঘটনা। এ সকল ঘটনা প্রমাণ করে সাহাবাগণ রা. একে অপরকে ভুলের উপর মনে করতেন না। তাই তারা প্রয়োজনে একে অপরের উন্মুক্ত সমালোচনা করতেন এবং ভুল করলে বিনাদ্বিধায় সংশোধনও করে দিতেন। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো সাহাবাগণ রা. সত্যের মাপকাঠি এমন নতুন আক্বীদা তৈরি করল কে? এবং নতুন উদ্ভাবিত এ আক্বীদার গ্রহণযোগ্যতাই কী?
সাহাবায়ে কেরাম রা.কে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে গণ্য করা হলে নিচের প্রশ্নগুলোর সমাধান কী হবে?

১। ‘তোমরা পরস্পর বিবাদে জড়িয়ে পড়লে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ন্যস্ত করো।’ -সূরা নিসার ৬নং আয়াতের নির্দেশ লঙ্ঘন করা হবে কিনা?
২। রাসূল সা. সত্যের মাপকাঠি এবং সাহাবাগণও সত্যের মাপকাঠি, তাহলে সত্যেরমাপকাঠির সংখ্যা মোট কত? নিশ্চয় লাখের উপরে। আর তখন রাসূল সা. ও সাহাবাগণকে একই মর্যাদায় সমাসীন করা হয় কিনা?

৩ ৷ সাহাবাগণ তো উম্মতেরই অন্তর্ভুক্ত। আর উম্মত সত্যের মাপকাঠি হলে নবীর আগমনের প্রয়োজন কী?

৪ ৷ কোনো সাহাবীর কথা ও কাজ যদি রাসূল সা.-এর কথা ও কাজের বিপরীত হয়, তাহলে কার কথা ও কাজ প্রাধান্য পাবে? নিশ্চয়ই রাসূল সা.-এর কথা ও কাজ। তাহলে মিয়ারে হক্ক কে হলো?


সাহাবায়ে কেরামগণ কি সত্যের মাপকাঠি?
সাহাবায়ে কেরামগণ কি সত্যের মাপকাঠি?
আলী রা.-এর নিকট একদল মুরতাদকে উপস্থিত করা হলে তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ সংবাদ শুনে ইবনে আব্বাস রা. বললেন, যদি আমি হতাম, তাহলে তাদেরকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতাম না। কেননা, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা আল্লাহর শান্তি দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না।[বুখারী, আস সহীহ হা-৬৯২২]

সত্যের মাপকাঠি শুধু রাসূল সা.
উল্লেখিত আলোচনার আলোকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ‘মি’য়ারে হক্ক’ তথা সত্যের মাপকাঠি হওয়া শুধু রাসূল সা.-এর জন্য নির্ধারিত। কেননা তিনি অহি দ্বারা পরিচালিত এবং নির্ভুল ও নিষ্পাপ। এ মহাসম্মানে তিনি একক ও অনন্য। তবে সাহাবায়ে কেরাম রা. উম্মতের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। কেননা তারা তাদের জীবন ও কর্মে রাসূল সা.কে কদমে কদমে অনুসরণ করেছেন। তাই তো আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সাহাবায়ে কেরাম রা. এর ওপর তাঁর সন্তুষ্টির কথা বর্ণনা করেছেন। তাদের মতো করে ঈমান গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের বিভিন্ন আমল ও ত্যাগ-তিতিক্ষার প্রশংসা করেছেন। তাদের প্রসঙ্গে রাসূল সা. বলেছেন, ‘তোমরা আমার সুন্নাহ অনুসরণ কর এবং অনুসরণ কর খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাহ।’ [তিরমিযী, আস সুনান, হা-২৬৭৬]


#মিয়ারে_হক #aloadharbd​ #mau_mozammel_haquer #bangla_waz​

Комментарии

Информация по комментариям в разработке