Скачать или смотреть Rab-15 | কক্সবাজারে পাসপোর্ট অফিস ও হাসপাতালে দালাল ধরতে র‍্যাব

কক্সবাজারে পাসপোর্ট অফিস ও হাসপাতালে দালালবিরোধী অভিযান: ৪ দালাল আটক

l
কক্সবাজার শহরের পাসপোর্ট অফিস ও সদর হাসপাতাল এলাকায় দালালবিরোধী অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫।

বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) সকাল ১১টায় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসানের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয় এবং আটকদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন: কক্সবাজার সদর উপজেলার পূর্ব ঘোনাপাড়ার মো. নুরু উদ্দিন (২৭), বৌদ্ধর খোলার আবুল বাশার (৫১), খরুলিয়ার বিপ্লব বড়ুয়া (৩০), এবং মহেশখালী উপজেলার ঘরোকঘাটার পলাশ (৪২)।

জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে পাসপোর্ট অফিস ও সদর হাসপাতাল এলাকায় দালাল চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষকে আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছিল। এসব দালাল সহজ-সরল মানুষকে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে সরকারি সেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করত। এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছিল।
এই প্রেক্ষাপটে র‍্যাব মহাপরিচালকের নির্দেশে এবং র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়কের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে র‍্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল ইসলাম এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দেবজিত পাল উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব-১৫ এর কর্মকর্তা অতিঃ পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক জানান, অভিযানকালে দালাল চক্রের চার সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে আটক চার দালালের মধ্যে একজন হাসপাতালেরই আউটসোর্সিং কর্মী বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুবাগতিন মাহমুদ সোহেল। দৈনিক পূর্বকোণকে তিনি জানান, "আটককৃত চারজনের মধ্যে তিনজন হাসপাতালের বাইরের দালাল এবং একজন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মী।"
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হাসপাতালে দালালদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ পেলে বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।