গঠনতন্ত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পার্ট - ০১ , বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের নোট পর্ব - ০১
সকলের জন্য বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনের ভাই বোনদের জন্য নোট আকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর গঠনতন্ত্র নোট আকারে পেশ করলাম। যাতে সহজে আয়ত্ব করা ও মনে রাখা যায় ।
গঠনতন্ত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র ভাল ভাবে বুঝলে দল পরিচালনা ও দলের অঅনুগত্য করা সহজ হবে।
গঠনতন্ত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র ----
ধারাঃ ০২ ঈমান ও আক্বীদা
ঈমান ও আক্বীদা,
কুরআন ও সহীহ হাদীসে নির্দেশিত, ঈমান ও আক্বীদাহই, জামায়াতে ইসলামীর অনুসারীগন পোষণ করিয়া থাকেন। তাহার মুল কথা হইলো, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ,” অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতিত কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মদ সা. আল্লাহ তা’য়ালার রাসুল।
ঈমান ও আক্বীদার প্রথমাংশ হলো, আল্লাহ তা’য়ালার একমাত্র ইলাহ হওয়া। অর্থাৎ,
1.আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতিত আর কাহাকেও সাহায্যকারী মনে না করা।
2. আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতিত আর কাহাকেও কল্যাণকামী মনে না করা।
3. আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতিত আর কাহারও নিকট প্রার্থনা না করা।
4. আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতিত আর কাহারও নিকট মাথানত না করা।
5. আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতিত আর কাহাকেও ক্ষমতার মালিক মনে না করা।
ঈমান ও আক্বীদার দ্বিতিয়াংশ হলো, “মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’য়ালার রাসুল। অর্থাৎ,
1 আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিদায়াত ও আইন বিধানকে, দ্বিধাহীন চিত্তে গ্রহন করা।
2.যে কোন কাজে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ ও নিষেধকে যথেষ্ট মনে করা।
3. রাসুল সা. ব্যতিত আর কাইকে নেতা না মানা ।
4. আল্লাহর কিতাব ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহই একমাত্র উৎস মনে করা।
5.সকল কিছুর উর্দ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালবাসা।
6. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্যের মাপকাঠি মনে করা।
7 রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতিত আর কারো আনুগত্য না করা
ধারাঃ ০৩ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, “বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন”।
ধারাঃ ০৪ স্থায়ী কর্মনীতি
1. কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন কিংবা, কোন কর্মপন্থা গ্রহনের সময়, জামায়াত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা, ও তাঁর রাসুল সা. এর নির্দেশ ও বিধানের প্রতি, গুরুত্ব প্রদান করিবে।
2.উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন কোন উপায় ও পন্থা, অবলম্বন করিবেনা যাহা সততা ও বিশ্বাস পরায়নতার পরিপন্থি, কিংবা যাহার ফলে, দুনিয়ায় ফিতনা ও ফাসাদ তৈরি হয়।
3. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উহার বাঞ্চিত সংশোধন, ও সংস্কার কার্যকর করিবার জন্য, নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক পন্থা, অবলম্বন করিবে। অর্থাৎ ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের মানবিক, নৈতিক চরিত্রের সংশোধন এবং বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে, পরিণত করিবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর, অনুকুলে জনমত গঠন করিবে।
ধারাঃ ০৫ তিন দফা দাওয়াত
1. সাধারনভাবে সকল মানুষ, ও বিশেষভাবে মুসলিমদের প্রতি, জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালার দাসত্ব, ও রাসুল সা. এর আনুগত্য করিবার আহবান।
2. ইসলাম গ্রহনকারী ও ঈমানের দাবীদার সকল মানুষের প্রতি, বাস্তব জীবনে কথা ও কাজের মিল গরমিল পরিহার করিয়া, খাঁটি ও পূর্ণ মুসলিম হওয়ার আহবান।
3. সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে, নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুবিচারপূর্ণ শাসন, ক্বায়েম করিয়া সমাজ হইতে সকল প্রকার জুলুম, শোষণ, দুর্নীতি ও অবিচারের অবসান ঘটানোর আহবান।
ধারাঃ ০৬ স্থায়ী কর্মসূচী
1.দাওয়াত ও দাবলীগ (চিন্তার পরিশুদ্ধি ও পূনর্গঠন)।
2.তানযিম ও তারবিয়াত (সংগঠন ও প্রশিক্ষণ)।
3. ইসলাহে মু’য়াসারা (সমাজ সংস্কার ও সমাজসেবা)।
4. ইসলাহে হুকুমত (রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও সংশোধন)।
ধারাঃ ০৭ রুকন হইবার শর্তাবলী
1. ব্যক্তিগত জীবনে ফরজ ওয়াজীবসমূহ, আদায় করেন এবং কবীরা গুনাহ হইত, বিরত থাকেন।
2. উপার্জনেরে এমন কোন পন্থা অবলম্বন না করেন যাহা আল্লাহ তা’য়ালার নাফরমানির পর্যায়ে পড়ে।
3. হারাম পথে অর্জিত কিংবা হকদারের হক নষ্ট করা কোন সম্পদ আ সম্পত্তি তাঁহার দখলে থাকিরে তাহা পরিত্যাগ করেন বা হক্বদারকে ফেরত দেন।
4 মৌলিক মানবীয় গুনাবলী অর্জনের বিচারে আশাব্যাঞ্জক অবস্থানে রয়েছেন।
5.এমন কোন পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক না রাখেন যাহার মুলনীতি, উদ্দেশ্য,লক্ষ্য ইসলামের ঈমান ও আক্বীদা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কর্মনীতির পরিপন্থি।
6. জামায়াতের সাংগঠনিক দায়িত্বশীলগনের দৃষ্টিতে রুকন হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হইবেন।
Информация по комментариям в разработке