পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ হয়ে ওঠার গল্প | পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস | পাবনার ইতিহাস | পাবনা গল্প

Описание к видео পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ হয়ে ওঠার গল্প | পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস | পাবনার ইতিহাস | পাবনা গল্প

পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ হয়ে ওঠার গল্প | পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস | পাবনার ইতিহাস | পাবনা গল্প


#পাবনা_এডওয়ার্ড_কলেজ #পাবনা #পাবনা_এডওয়ার্ড #এডওয়ার্ড_কলেজ #পাবনার_ইতিহাস #পাবনার_ভিডিও


পাবনা আমাদের প্রাণের শহর, পাবনা আমাদের গর্ব পাবনা রয়েছে, পাবনায় রয়েছে গুণী গনাদের স্মৃতি ও পদচারণা। পাবনা জেলায় রয়েছে অসংখ্য ক্রিতিমান।


১৬ ই অক্টোবর পাবনা জেলার
১৯৪ তম জন্মদিন।
১৮২৮ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠা হয় পাবনা জেলা।
আমরা গর্বিত আমরা পাবনাইয়া।🥰🥰😍

পাবনা শহর
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার

বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদে প্রণীত ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৭নং আইনের বিধান বলে, ইছামতির দুপার ঘিরে গড়ে ওঠা জনবসতিটিকে আবর্তন করে পাবনা টাউন কমিটি গঠন করা হয়। উত্তরে ইছামতি। দক্ষিণে পদ্মানদীর পুরান প্রবাহ। পুবে দোহারপাড়া গ্রাম এবং পশ্চিমে আফরি গ্রাম। দুই বর্গমাইল এলাকা নিয়ে এ শহর গঠিত। শহরের দক্ষিণ দিয়ে ইছামতি প্রবাহিত হয়ে উত্তর সীমানায় বাঁক নিয়েছে। ইছামতির পশ্চিম তীর ঘেঁষে স্থানীয়রা বসবাস করে। অপর পাড়ে অভিজাতশ্রেণির বাস। পাবনা শহরের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে হেমগঞ্জ সড়কে দেওয়ানগঞ্জ বাজার, রাজশাহী সড়কে পৈলানপুর বাজার, রাধানগর সড়কে রাধানগর বাজার, জ্যাকশন সড়কের শুরু থেকে কালীবাড়ি সড়ক ও সিরাজগঞ্জ সড়কের মধ্যবর্তী নতুন বাজার। পানীয় জলের জন্য শহরে উল্লেখযোগ্য কোনো পুকুর নেই, নেই জলাশয়। স্থানীয় অধিবাসীরা ইছামতি নদীতে স্নান করে এবং সাংসারিক ব্যবহারের পানি সেখান থেকে সংগ্রহ করে। গুটি কয়েক পুকুর ও কূপ রয়েছে শহরে। বাজারের আশেপাশের বাড়ি ও দোকানসমূহে পাকা দালান। প্রধানত সরকারি অফিসসমূহ, সার্কিট হাউস, পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল, দাতব্য চিকিৎসালয়, সরকারি ইংরেজি স্কুল এবং মাঝিপাড়ার নীল ফ্যাক্টরিটি ইট নির্মিত পাকা দালান। শহর এলাকায় ৮১৪৪ জন মুসলমান বাস করলেও পাবনা বাজারের উত্তরে মাত্র একটি পাকা মসজিদ রয়েছে।
শহরের প্রধান সড়কগুলি কাঁচা। এগুলো হলো : স্ট্যান্ড রোড (দোগাছি থেকে থানা সড়ককে সংযুক্ত করেছে), থানা রোড (পুলিশ স্টেশন থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তর পর্যন্ত), জ্যাকশন রোড (স্ট্যান্ড রোড থেকে সিরাজগঞ্জ রোডকে সংযুক্ত করেছে), কালাচাঁদ রোড (জ্যাকশন রোডের সাথে স্ট্যান্ড রোডকে সংযুক্ত করেছে), জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে শহরের প্রধান সড়ক সংযোগগুলির মধ্যে দোগাছি রোড (স্ট্যান্ড রোড থেকে দোগাছি গ্রাম পর্যন্ত), সিরাজগঞ্জ রোড (থানা রোড থেকে সিরাজগঞ্জের দিকে পাবনা থেকে ১৯ মাইল দূরবর্তী ধুলাউড়ি গ্রাম পর্যন্ত), রাজশাহী রোড (পৈলানপুর বাজার থেকে রাজশাহী দেওয়ানী সদর রামপুর বোয়ালিয়া পর্যন্ত), ভবানীপুর রোড (দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে বাজিতপুর ঘাট)।
১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা এপ্রিল পাবনা (টাউন ইউনিয়ন) শহর কমিটি গঠন করা হয়। বাড়ি-ঘরের ওপর ধার্য কর এর প্রধান আয়। ১৮৭০-৭১ খ্রিস্টাব্দে রাজস্ব আয় ছিল ৭৮০ পাউন্ড ১২ শিলিং। মাথাপিছু পৌর করের হার ছিল ৬ আনা ২ পাই। ১৮৭৪-৭৫ বছরে রাজস্ব আয় ছিল ৫২৭ পাউন্ড ৮ শিলিং এবং ব্যয় ছিল ৬৮০ পাউন্ড ৬ শিলিং। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের শুমারি অনুযায়ী পাবনা শহরের মোট জনসংখ্যা ১৫,৭৩০ জন। ধর্ম ও লিঙ্গ অনুসারে শ্রেণিকরণ হিন্দু পুরুষ ৩৮৫২, মহিলা ৩৬৫১ ; মোট ৭৫৪৭ জন। মুসলমান পুরুষ ৩৯৮৩, মহিলা ৪১৬১ ; মোট ৮১৪৪ জন। খ্রিস্টান পুরুষ ১৬, মহিলা ২৩ ; মোট ৩৯ জন। অন্যান্য নেই। মোট পুরুষ ৭৮৫১ জন, মহিলা ৭৮৭৯ জন ; সর্বমোট ১৫, ৭৩০ জন।
গৃহাদি : কোনো কোনো বড় দোকানির চুন, সুড়কি ও ইটনির্মিত দুই কক্ষবিশিষ্ট পাকা বাড়ি রয়েছে। এর সংলগ্ন বাহির মহল বলে আখ্যায়িত বহিরাগত অভ্যাগতদের জন্য কাঁচা ঘর রয়েছে। গোয়াল ঘর ও রান্না ঘর (যেখানে খাবারের কাজ সেরে ফেলা হয়) রয়েছে। পাকা দালানের পাশেই বিবাহিত দম্পতিদের জন্য শয়ন কক্ষসহ কাঁচা ঘর-বাড়ি রয়েছে। কোনো কোনো বাড়িতে বাহির মহল নেই। সাধারণ বাঁশের খুঁটির ওপর কাঠের সিলিং এবং চাটাই দিয়ে খড়ের আচ্ছাদনে ঘরগুলি তৈরি হয়। রায়তেরা খুব ছোট আকারের কাঁচা ঘরে বাস করে।
আসবাবপত্র : চাষাবাদে নিয়োজিতদের মতোই বাঙালি দোকানিদের আসবাবপত্র গতানুগতিক। সাধারণত দুটি পেতলের লোটা, দুটি কাঁসার থালা, তিনটি পাথরের বা মাটির গামলা, কিছু মাদুর, একটি র‌্যাপার (লেপ বা কাঁথা), ভাত রাঁধার জন্য দুটি সিলভারের বা মাটির হাড়ি, তিনটি কড়াই, বিশেষ করে ডাল ও তরকারির জন্য, একটি ঝাড়–, একটি হুঁকা ঘরে ঘরে পাওয়া যায়। এছাড়াও মোড়া, বেতের টুল বা মাচিয়া (চেয়ার), হাতপাখা, চকি বা খাট ও ছোট আয়না প্রায় প্রতি ঘরেই পাওয়া যায়।
পোশাক : ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে জনৈক ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী একজন দোকানি সুতির ধূতি ও কোর্তা পরিধান করে। এছাড়া একটি চাদর বা শালও পরিধান করা হয়। এটাই গড়পরতা পরিধেয়। এর জন্য খরচ হয় ৩ থেকে ৪ টাকা। সাধারণ কৃষকেরা খাটো ধূতি পরিধান করে। কখনও এরা কাঁধে গামছা ব্যবহার করে। কাউকে কাউকে রুমাল ব্যবহার করতে দেখা যায়। উৎসব, পার্বণে কেউ কেউ চাদর পরিধান করে।
মজুরি : দক্ষ ও অদক্ষ উভয় শ্রেণির শ্রমিকের মজুরি দৈনিক ৩ আনা। মহিলা ও শিশু শ্রমিকের জন্য ১ আনা ৩ পাই। কৃষি শ্রমিকের মজুরি ৩ আনা। ইট ভাটা মজুরের দৈনিক ৫ আনা, কামার ও ছুতার মিস্ত্রি দৈনিক ৮ আনা মজুরি পায়। মাস চুক্তিতে অদক্ষ শ্রমিকেরা শহরে ৪ থেকে ৫ টাকা আয় করে থাকে।
শিক্ষা : ১৮৭০-৭২ বর্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাবনায় সরকারি ইংরেজি বিদ্যালয় ১টি। সরকারি ভার্নাকুলার স্কুল ২টি। সরকারি নর্মাল স্কুল ১টি। সাহায্যপ্রাপ্ত ইংরেজি স্কুল ১৫টি। সাহায্যপ্রাপ্ত ভার্নাকুলার স্কুল ৪৩টি। মোট ৬৫টি। হিন্দু ছাত্র-ছাত্রী ২৪৬৮ ও মুসলমান ছাত্র-ছাত্রী ২৯৭সহ সর্বমোট ২৭৭৫ জন পড়াশোনা করছে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке