সূরা আলে ইমরান ৩০. যেদিন প্রত্যেকে তার সব ভালো কাজ ও সব মন্দ কাজের মুখোমুখি হবে, সেদিন অধিকাংশ মানুষই ভাববে, এই দিনটি যদি কখনো না আসত! আল্লাহ তাই তোমাদের (আগে থেকেই) সতর্ক করে দিচ্ছেন। অবশ্যই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতীব দয়ালু।
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ভূমিকা পর্ব
হাদিস নম্বরঃ ১৬৯
৩৩. খারিজীর আলোচনা
৩/১৬৯। আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে বললাম, আপনি কি (খারিজী) হারূরিয়াদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি তাঁকে একটি সম্প্রদায়ের কথা আলোচনা করতে শুনেছি যারা হবে অত্যধিক ইবাদাতকারী এবং তাদের সালাত-সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম)র তুলনায় তোমাদের নিকট তোমাদের সালাত-সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) খুবই নগণ্য মনে হবে। তারা দ্বীন থেকে দ্রুত গতিতে বের হয়ে যাবে, যেমন ধনুক থেকে তীর শিকারের দিকে দ্রুত গতিতে চলে যায়। সে তার তীর তুলে নিয়ে তার ফলার অগ্রভাগ পরখ করবে কিন্তু কিছুই দেখতে পাবে না, অতঃপর তার তীরের (ফলা সংলগ্ন) কাঠ পরখ করবে তাতেও কোন চিহ্ন দেখতে পাবে না। অতঃপর তীরের ফলা পরখ করে তাতেও কিছু দেখতে পাবে না, অতঃপর তীরের পালক পরখ করে তার সন্দেহ হবে যে, সে কিছু চিহ্ন দেখতে পাচ্ছে কিনা।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৩৬১০, ৪৩৫১, ৪৬৬৭, ৫০৫৮, ৬০৬৩, ৬৯৩১, ৬৯৩৩, ৭৪৩২, ৭৫৬২; মুসলিম ১০৬৪/১-৪, ১০৬৫/১-৫; নাসায়ী ২৫৭৮, ৪১০১; আবূ দাঊদ ৪৭৬৪, আহমাদ ১০৬২৫, ১১০৯৬, ১১১৮৫, ১১২৫৪, ১১২৯৮; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৭৭ সহিহ (Sahih)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৮৬/ দন্ডবিধি
হাদিস নম্বরঃ ৬৭৮০
৮৬/৫. মদ্যপায়ীকে লা‘নত করা মাকরূহ এবং সে মুসলিম থেকে খারিজ নয়
৬৭৮০. ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক লোক যার নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ্ আর ডাকনাম ছিল হিমার। এ লোকটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শরাব পান করার অপরাধে তাকে বেত্রাঘাত করেছিলেন। একদিন তাকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চাবুক মারার আদেশ দিলেন। তাকে চাবুক মারা হল। তখন দলের মাঝ থেকে এক লোক বলল, হে আল্লাহ্! তার উপর লা‘নত বর্ষণ করুন! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে কতবার যে আনা হল! তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে লা‘নত করো না। আল্লাহর কসম! আমি জানি যে, সে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে ভালবাসে।[1] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৩)
[1] আল্লাহর রসূলের বাণীর সত্যতার প্রমাণ আমাদের সমাজে আমরা অনেক দেখেছি। আল্লাহ ও তাঁর রসূলের তথা ইসলামের অবমাননা হতে দেখলে কখনও কখনও মদখোররা জানবাজি রেখে আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে-যেটা অনেক ভাল ভাল মুসল্লির পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। দ্বিতীয়ত যে কোন অপরাধের যা শাস্তি বা যতটুকু শাস্তি তার চেয়ে বেশি বা পরিবর্তন করে বিকল্প শান্তি দেয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১৭ঃ দণ্ডবিধি
হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৫
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বদ্দু‘আ না করা
৩৬২৫-[১] ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে ‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে (অবোধের ন্যায় কথাবার্তা বলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো। একদিন মদ্যপায়ীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর আবার একদিন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ! তার ওপর তোমার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হলো? এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালোবাসে। (বুখারী)[1]
[1] সহীহ : বুখারী ৬৭৮০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
(আল মায়িদাহ - ৪১)
হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এবং যারা ইহুদী; মিথ্যাবলার জন্যে তারা গুপ্তচর বৃত্তি করে। তারা অন্যদলের গুপ্তচর, যারা আপনার কাছে আসেনি। তারা বাক্যকে স্বস্থান থেকে পরিবর্তন করে। তারা বলেঃ যদি তোমরা এ নির্দেশ পাও, তবে কবুল করে নিও এবং যদি এ নির্দেশ না পাও, তবে বিরত থেকো। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান, তার জন্যে আল্লাহর কাছে আপনি কিছু করতে পারবেন না। এরা এমনিই যে, আল্লাহ এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং পরকালে বিরাট শাস্তি।
(আন নম্ল - ৬৫)
বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ১৩/ বিচার ও বিধান
হাদিস নম্বরঃ ২৩১৭
১৩/৫. বিচারক রায় দিলেই হারাম হালাল হয় না এবং হালাল হারাম হয় না
১/২৩১৭। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার কাছে বিবদমান বিষয় মীমাংসার জন্য এসে থাকো। আমিও একজন মানুষ। হয়তো তোমাদের কেউ (একপক্ষ) অপর কারো (বিপক্ষের) তুলনায় নিজের যুক্তি-প্রমাণ পেশে অত্যন্ত বাকপটু হয়ে থাকবে। আর আমি তো তোমাদের বক্তব্য শুনেই তার ভিত্তিতে বিচারকার্য করি। অতএব আমি তোমাদের কারো পক্ষে তার ভাইয়ের হকের কোন অংশের ফয়সালা দিয়ে ফেলতে পারি। এ অবস্থায় সে যেন তার কিছুই গ্রহণ না করে। কারণ আমি তাকে জাহান্নাম একটি টুকরাই কেটে দিচ্ছি, যা নিয়ে সে কিয়ামতের দিন হাজির হবে।
সহীহুল বুখারী ২৪৫৮, ২৬৮০, ৬৯৬৭, ৭১৬৯, ৭২৮১, ৮১৮৫, মুসলিম ১৭১৩, তিরমিযী ১৭৩৯, নাসায়ী ৫৪০১, ৫৪২২, আবূ দাউদ ৩৫৮৩, আহমাদ ২৫১৪২, ২৯৫৫২, ২৬০৭৮, ২৬০৮৬, ২৬১৭৭, মুয়াত্তা মালেক ১৪২৪, ইরওয়া ২৬২৪, সহীহা
Информация по комментариям в разработке