নমস্কার Travel is Life, Travel with Malay চ্যানেলে নিয়ে এসেছি ভাইজাগ ও আরাকুর ট্যুরের সম্পূর্ণ গাইড ।
ডুডুমা জলপ্রপাত ভ্রমণের ভিডিও লিংক:
• ডুডুমা জলপ্রপাত, কোরাপুট, ওড়িশা । Duduma...
Balda Cave Video Link :
• বালডা গুহা, কোরাপুট, ওড়িশা । Balda Cave, ...
হাওড়া থেকে ভাইজাগ- আরাকু ট্যুরে যাওয়া আসার ট্রেনের টাইম, ট্রেনের ভাড়া, হোটেলের তথ্য, লোকাল ট্যুর প্যাকেজ এবং একটি অফবিট ডেসটিনেশনের তথ্য সবকিছুই এই ভিডিওতে আমরা শেয়ার করে নেব আপনাদের সঙ্গে ।
হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী প্রায় প্রত্যেকটি ট্রেনই বিশাখাপত্তনম স্টেশন ছুঁয়ে যায় । যেমন ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস, ফলকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল, ম্যাঙ্গালুরু বিবেক এক্সপ্রেস, করমন্ডল এক্সপ্রেস হাওড়া এসএমভিটি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস হাওড়া তিরিচিরাপল্লী এক্সপ্রেস ইত্যাদি আরও অনেক ট্রেন ।
হাওড়া থেকে বিশাখাপত্তনম এর দূরত্ব ৮৮০ কিলোমিটার ট্রেনের শ্রেণী অনুযায়ী ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা সময় লাগে বিশাখাপত্তনম পৌঁছাতে । 2tier এসি ভাড়া ১৭৬০ টাকা, থ্রিটায়ার এসি ভাড়া ১২৪৫ টাকা,স্লিপার ক্লাসে ৪৭৫ টাকা । যাঁরা বিশাখাপত্তনম পৌঁছেই আরাকু চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো ট্রেন করমন্ডল এক্সপ্রেস । হাওড়াতে বিকেল ৩টে ২০ তে ছেড়ে বিশাখাপত্তনামে সকাল সাড়ে ৪ টায় পৌঁছে যায় । সামান্য লেট থাকলেও সকাল ৬:৪৫ এর আরাকু যাওয়ার একমাত্র ট্রেন কিরণ্ডুল passenger অনায়াসে ধরে নেওয়া যায় । কয়েক বছর আগেই এই ট্রেনে Vistadome Coach দেওয়া হয়েছে, এই পাহাড়ি ট্রেন যাত্রা উপভোগ করার জন্য ।
আমরা করমন্ডল এক্সপ্রেস -এ খড়্গপুর স্টেশনে থ্রি টায়ার এসি কোচে উঠে বসলাম বিকেল ৫:৩০ । করোনার পর এসি কোচে বেডরোল দেওয়া শুরু হয়েছে, তবে এখনও কম্বল দেওয়া হচ্ছে না ।
করমন্ডল সামান্য লেট করে সাড়ে পাঁচটায় পৌঁছে গেল বিশাখাপত্তনম স্টেশনে । এখন এই স্টেশনে লিফ্ট, এসকালেটর চালু হয়েছে । এবং আগে থেকেই একটা Ramp FOB আছে । যাত্রীদের এতে অনেক সুবিধা হয়েছে । বিশেষতঃ যাঁদের ভারী লাগেজ থাকে ।
কিরন্ডুল স্পেশাল প্যাসেঞ্জারে বোরা গুহালু পর্যন্ত সেকেন্ড সিটিং ভাড়া 65 টাকা, স্লিপারে 145 টাকা ও ভিস্টাডোমে অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে 630 টাকা । আরাকু স্টেশন পর্যন্ত এই ভাড়া গুলি যথাক্রমে 75 টাকা 145 টাকা ও 735 টাকা । আমাদের বোরারগুহালু স্টেশন পর্যন্ত রিজারভেশন ছিল । এটা আমাদের কিরন্ডুল প্যাসেঞ্জারে দ্বিতীয় বার যাত্রা । পাহাড়ি পথে একের পর এক টানেলের ভেতর দিয়ে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ক্রমশ চড়াই ভেঙে ভেঙে ট্রেন চলতে থাকে । চারিদিকে ঘন সবুজ পাহাড়ে ঘেরা পথ চলতে বেশ লাগে । বোরা কেভ বা আরাকু যাওয়ার জন্য বেস্ট অপশন হল এই কিরন্ডুল প্যাসেঞ্জার । ৯৯ কিমি যাত্রা শেষে আমরা পৌঁছে গেলাম বোরা গুহালু স্টেশনে । ছোট সুন্দর স্টেশন । বাইরে কিছু গাড়ি ও অটো রিক্সা আছে ট্যুরিস্টদের জন্য । আমরা বেশ দরাদরি করেই একটা Innova ভাড়া নিলাম 3200 টাকায় । চুক্তি অনুযায়ী প্রথমেই বোরা গুহা দেখাবে এবং বোরা গুহার সামনেই একটি হোটেলে লাঞ্চ করব । এরপর কাটিকি জলপ্রপাত, অনন্তগিরি জলপ্রপাত, অনন্তগিরি কফি প্ল্যানটেশন, গালিকোন্ডা ভিউ পয়েন্ট দেখে ও অবশ্যই আরাকু স্পেশাল ব্যাম্বু চিকেন খেয়ে পৌঁছে গেলাম আরাকু । এরপর পদ্মপুরান বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখে একটি হোটেল নিলাম। সামান্য ফ্রেস হয়েই লাগেজ রেখে দেখতে গেলাম কফি মিউজিয়াম ও ট্রাইবাল মিউজিয়াম । আমাদের হোটেল অঞ্জলি রেসিডেন্সি ।
পরের দিনটা একটু রিলাক্সেই কাটালাম সকাল থেকে। হোটেল থেকেই সুন্দর দেখা যায় আরাকু ভ্যালি। দূরে পাহাড় হাতছানি দেয়, এভাবেই হোটেলে কফি খেয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম । তারপর সাড়ে এগারোটা নাগাদ চললাম আরাকু মার্কেটে । ওখানে একটা হোটেলে লাঞ্চ সেরে চললাম চাপরাই জলবিহার বা চাপরাই ওয়াটার ক্যাসকেড দেখতে। এখান থেকে ১৩ কিলোমিটার রাস্তা । আমরা একটি অটো রিজার্ভ করে নিলাম ৪০০ টাকায় । গাড়ি ভাড়া ৬০০ টাকা। পাহাড়ি চঞ্চলা নদী তার চঞ্চল গতিতে উচু নিচু পাথরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে আর এখন তো বর্ষা, বর্ষায় সে আরও বেশি অস্থির, আরো বেশি চঞ্চল । আমরা এখানে এই নদী কে খুব সুন্দর উপভোগ করলাম । প্রাণ ভরে সবুজ প্রকৃতির বায়ু নিলাম । বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে ফিরে চললাম আরাকুতে ।আজকে বিকেলে একটু হাটাহাটি করে বাজারটা ঘুরে নিলাম। পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম ডুডুমা জলপ্রপাত দেখার জন্য। এখান থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার এবং এটি উড়িষ্যার কোরাপুট জেলায় অবস্থিত । জলপ্রপাত আমরা একটি ছোট গাড়ি ভাড়া করলাম ৪৪০০ টাকায় ।বইয়ে পড়া ডুডুমা কে দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ডুডুমা, মাছ কুন্দ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও ফেরার পথে বালডা কেভ দেখিয়ে আমাদেরকে আরাকু স্টেশন এ ড্রপ করল । ডাউনে বিশাখাপত্তনগামী কিরন্ডুল প্যাসেঞ্জার ধরলাম সাড়ে তিনটের সময় আরাকু স্টেশনে । যদিও বিশাখাপত্তনম পৌঁছানোর সময় সাড়ে আটটা ট্রেনটি প্রায়ই লেট করে । আজকেও আমাদেরকে পৌঁছে দিল সাড়ে নটায়। স্টেশন থেকে বেরিয়ে একটি অটো ভাড়া করে আমরা কালেক্টরের মোড়ের একটি হোটেলে উঠলাম , তবে হ্যাঁ স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় নিমন্ত্রণ হোটেলে রাত্রের খাবার পার্শেল করে নিয়েছিলাম । নিমন্ত্রণ হোটেলে একেবারেই খাঁটি বাঙালি খাবার পাওয়া যায়।
পরের পর্বে বিশাখাপত্তনম ট্যুর নিয়ে আসব।
Информация по комментариям в разработке