Скачать или смотреть ভারতের কাছে কেন আগেই হেরে বসে আছে পাকিস্তান? । India Pakistan Conflict | Pakistan News

ভারতের কাছে কেন আগেই হেরে বসে আছে পাকিস্তান? | Pakistan News । India Pakistan Conflict | Pakistan Army । Indian Army | Rafale M Deal
Pakistan has already lost to India.
Pakistan News
india pakistan tensions,
india pakistan conflict,
india pakistan,
india vs pakistan,
india pakistan latest news
Rafale M Deal

ঝেলমের ছাড়া জল ছিল সিনেমার ট্রেলার। আরও বড় কিছু হতে চলেছে সেটার ইঙ্গিত দিচ্ছে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাক্রম। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ রবিবার ২৭ এপ্রিল, দিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পরবর্তী সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা। বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়া, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে সম্ভাব্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি, তবে এটি স্পষ্ট যে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। বর্তমানে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে এবং জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনা প্রধানের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা ভারতের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কৌশলের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও সেনা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের বৈঠকের পর, আজ ২৮ এপ্রিল ২০২৫ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকটি সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লির ৭ লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী ছিল। বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রধানমন্ত্রীকে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পরবর্তী নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এই হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন, যা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বিবেচিত হচ্ছে। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং ভারতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে গত চার দিন ধরে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা। পাকিস্তানের এক মন্ত্রী আবার ১৩০টি পারমানবিক অস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় রয়েছে ভারতীয় সেনা। সম্ভাব্য কোন উপায়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে সেনা সূত্রে খবর। পহেলগাঁও কাণ্ডে প্রথমে দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ)। যদিও পরে বয়ান বদলে নিজেদের দাবি থেকে সরে আসে টিআরএফ। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীদের মধ্যে শুধু দু’জন স্থানীয় জঙ্গি ছিল। বাকি সকলেই পাকিস্তানি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। বোঝাই যাচ্ছে পাকিস্তানের সেনা হোক বা জঙ্গি সকলেই মারাত্মক চাপ অনুভব করছেন। ভারতের তরফ থেকে আসা মারাত্মক চাপ নিতে পারছে না সিন্ধুর ওপারের শত্রুরা। যুদ্ধের আগেই ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। পাক সেনায় গণ ইস্তফার বহর শুরু হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনার মনোবল তলানিতে পৌঁছেছে। কেউ সেনাবাহিনীতে কাজ করতে চাইছেন না। সেনা প্রধানকে চিঠি লিখে গণইস্তফার কথা জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ বুখারি। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরই পাক সেনাবাহিনীতে ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। সূত্রের খবর, মূলত সিন্ধু ও নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ারে সেনা কর্মীরা ইস্তফা দিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফার কারণ হিসাবে অসুস্থতা ও মানসিক চাপ দেখানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন ডিজি আইএসপিআর মেজর জেনারেল চিঠি দিতে পাক সেনাকে জানিয়েছেন যে কোনওরকম ইস্তফা দেওয়া যাবে না। যদি কেউ ইস্তফা দেন, তবে আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, তা পরিচালন করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে পাক সেনা।
এক মাস আগে পাকিস্তানি সেনার জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, আসিম মুনিরের নেতৃত্ব ভাল লাগছে না। তাঁকে পদ থেকে না সরালে, বিদ্রোহ শুরু হবে। এবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর যেখানে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়েছে, সেখানেই পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে চিন্তা, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় সেনার মনোবল বাড়াতে তুর্কি থেকে সি ১৩০ জে হারকিউলিস বিমান ভর্তি সমরাস্ত্র কিনেছে পাকিস্তান। কিন্তু অস্ত্র হাতে ধরবে কারা সেটাই বড় প্রশ্ন পাক সেনায়। পাকিস্তান যখন নড়বড়ে তখন ভারতের নেতৃত্বের এককাট্টা ছবিই ধরা পড়েছে। দেশের বিষয় যখন কংগ্রেস নেতারাও পাশে দাঁড়িয়েছে পেহেলগাম ইস্যুতে। পাক মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি হুমকি দিয়েছেন যে জল না পেলে, সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্ত বইবে। এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চাইছে দেশ, কিছু জবাব তো পাবেই”, এ কথা বলেই মোক্ষম জবাব দিলেন তিনি।