খাগড়াছড়ির একদম আনটাচড জায়গা 😍 স্বর্গের সিড়ি 😍 মায়াবিনী লেকে ক্যম্পিং 😍 কাপলদের জন্য বেস্ট ট্যুর❤️
My Facebook Page: / fahimandmuskan
My Facebook ID: https://www.facebook.com/profile.php?...
Vromon Bela / Mayabini Lake camping
Contact- 016 0875 5601
এমন একটা ট্যুরের স্বপ্ন অনেক দিনের ছিলো যেখানে সবাই মিলে বারবি কিউ করবো, ক্যম্প ফায়ার করবো এবং তাবুতে ঘুমাবো তাও আবার লেক এর সাইডে, সকালে ঘুম থেকেই উঠে দেখবো লেকের পানির সাথে সাথে কুয়াশা গুলো ও ভাসছে!!
আর এই জিনিস গুলোর জন্য দরকার একটা মন মত নীরব পাহাড়ি কোন লেক সাইড! তাই আমরা চলে গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ির একটা আনটাচড এলাকায় মায়াবীনি লেকে!! এই প্লেস টা ছিলো খাবার এর মেইন ডিস এর মত, আর মেইন ডিস এর সাথে যেমন ডেসার্টা থাকে, আমাদের ডেজার্ট হিসেবে ছিলো স্বর্গের সিড়ি! হ্যা এই সিড়ির নাম স্বর্গের সিড়ি! আদিবাসী রা একে স্বর্গের সিড়ি নাম দেয়ার কারণ হয়তোবা এটাই যে এই সিড়ি একটা মুর্হেতে এমন ভাবে খাড়া উপরের দিকে উঠে যায় যে ,কারো হাই ফোবিয়া থাকলে একটু খবর হয়ে যেতে পারে!
যাক আজকের মত জায়গার ইন্ট্রো দেয়া শেষ! এবার বলি এত সুন্দর ট্যুর টি এরেঞ্জ করি ছিলো কে!!
এই ক্যম্পিং প্রজেক্ট টি তার নিজের এবং একটা ট্রাভেল ভিত্তিক গ্রুপ আছে যার নাম ভ্রমণবেলা, উনি উনার জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছে ইন্টারনেশানাল ট্যুর রিলেটেড বিজনেস এ মালেশিয়াতে,তাই হয়তোবা তার ডেডিকেশন লেভেল টা একটু ভিন্ন অন্য সব ট্রাভেল এজেন্সি থেকে!
যাক এবার আমাদের ১ রাত ২ দিনের একটা সুন্দর ট্যুর এক্সপিরিয়েন্স আপনাদের সাথে শেয়ার করি!
আগে থেকেই বলে রাখি এটা যেহেতু একটা গ্রুপ ট্যুর তাই গ্রুপের এডমিন সব কিছু করে রাখবে আপনার জন্য,আপনি শুধু সুবিধা ভোগ করবেন টাকা দিয়ে!
সকাল 7 টার মধ্যে আমরা নেমে যাই খাগড়াছড়ির শাপলা চত্তরের একটু আগে এফ এন এফ রেস্টুরেন্টে এ! এখান থেকে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে আমারা আজকে যাবো স্বর্গের সিড়ি ঘুরতে!
গ্রুপের অন্যরা এখানে ফ্রেশ হলেও অরুপ দা আমাদের জন্য একটু স্পেশাল ভাবে একটা রুম বুকড করে দেয় এই রেস্টুরেন্টে এর পাশেই মাউন্টেইন হোটেলে, যারা মায়াবীনি লেকের প্রিমিয়াম প্যকেজ নিবে তাদের জন্য এই সুবিধা, রুমে যেয়ে আমরা একটু ফ্রেশ হয়ে ঘুমাবো চিন্তা করতে করতে ডাক আসে ৯.৩০ বেজে গেছে নিচে আমাদের জন্য অটো দাঁড়িয়ে আছে আমাদের রৌউনা দিতে হবে!
যাইহোক অটোতে উঠে গেলাম এখন যাচ্ছি খাগড়াছড়ি শহর থেকে উলটো পাশে পানছড়ি রোডের দিকে! ২০ মিনিটের মধ্যে আমারা চলে আসি গন্তব্যে, তবে শেষ নয়, জার্নি শুরু কিন্তু এখান থেকেই! উচু নিচু ঝিরি পথ পাহাড়ি রাস্তা পার হয়ে যেতে হবে স্বর্গের সিড়িতে!
সব মিলিয়ে কিন্তু এই জার্নিটা মনে রাখার মত একটা জার্নি ছিলো! আমি আবার আসবো এখানে ইনশাআল্লাহ! সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার পর আমরা সেখানে আর বেশিক্ষণ স্টে না করে চলে আসি নিচের দিকে, কারণ তখন অলরেডি ২ টা বাজে, সবার পেটে প্রচুর ক্ষুদা, লাঞ্চ করার জন্য আমাদের সবার আবার যেতে হবে সেই খাগড়াছড়ি শহরের এফ এন এফ রেস্টুরেন্টে এ।
প্যকেজে আমাদের এইরকম ভাবেই সবকিছু সাজানো ছিলো যে যার মত করে আইটেম চুজ করে খেতে পারবে, আর এখানে একজন আমাকে জোর করে সিম ভর্তা দিতে চেয়েছিলো বাট আমি এইগুলা খাই না বলেই এতো চিকন, যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে যেয়ে একটু ঘুমিয়ে নেই!
ঠিক আবার ১ ঘন্টা পর আরুপ দা চলে আসে অটো নিয়ে আমরা এখন যাবো আমাদের ট্যুর এর মেইন প্লেস মায়াবীনি লেক এ, তবে কস্টের বিষয় হলো আমরা লেক এ পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো,তাই রাতের ফুটেজ দেখাবো না,একেবারে সকালেই পুরো জায়গা টা ঘুরে দেখাবো,
রাতে আমরা এন্ট্রি নেয়ার পর নিজেদের তাবু বুঝে নিয়ে চলে যাই রেস্টুরেন্টে এ হালকা নাস্তা খাওয়ার জন্য, এখানে আমাদের জন্য ছিলো তেতুলের ওয়েল্কাম জুস এবং নুডুলস! এই ব্যাপার টা খুব ভালো লাগছে! বাট এই তেতুলের জুসের নাম পাহাড়ি রা কি দিয়েছে সেটা চলুন শুনে আসি!
আসলে এই মায়াবীনি লেক এর মায়া এইভাবে ক্যমারে তে বুঝানো যাবে না কখনো, এখানে আসতে হবে, তাহলে আসল ফিল টা পাওয়া যাবে! অনেকেই খাগড়াছড়ি আসে শুধু সাজেক ঘুরার জন্য! কিন্তু খাগড়াছড়ি তে ও যে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে এটা না ঘুরলেই নয়!
সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে ডিরেক্ট চলে যাই নাস্তা করার জন্য! সকালের নাস্তা হিসেবে ছিলো আলুরভর্তা ডাল আর ডিম ভাজি!
সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা 2 জন পাঞ্জাবী আর শাড়ি পরে পুরো লেক ঘুরি কায়াকিং করি!
কায়াকিং করতে করতে সেদিন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো আর জায়গাটার প্রেমে পড়ে যাই আরো বেশি! তাই আমরা প্লান করি আজকের রাত টা আমরা এখানেই কাটাবো, তারপর পরেরদিন সকালে আমরা চলে আসি খাগড়াছড়ি শহরে সেখানে গিয়ে আবার সেই আগের হোটেলে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ পত্র রেখে একটা চান্দের গাড়ি নিয়ে অরুপ দা আমাদের নিয়ে যায় আলুটিলা গুহা দেখতে
আলুটিলা গুহা টা খুব এনজয় করি, মুসকান দোলনা চলে, আমরা সবাই অনেক মজা করি, সেখান থেকে আবার চলে যাই হর্টিকালচার পার্ক এর জুলুন্ত সেতুতে, সেখানেও অনেক মজা করি,
সবকিছু শেষে আমরা আবার ফিরে আসি আমাদের হোটেলে, ফ্রেশ হয়ে ব্যাগপত্র গুছিয়ে একবারে চেক আউট করে বের হয়ে চলে আসি রেস্টুরেন্ট এ, এখান থেকে দুপুরের লাঞ্চ সেরে আরুপদা কে বিদায় জানিয়ে আমরা রঊনা দেই ঢাকার উদ্দ্যেশে!
এই ছিলো আমাদের খাগড়াছড়ি ভ্রমনের গল্প! এই ট্যুরের বেস্ট পার্ট ছিলো অরুপ দা এর সার্ভিস! এক কথায় 100 তে 200 দেয়া যায়, ইনশাআল্লাহ এই ভ্রমণবেলার সাথে আমরা অন্য কোথাও আবার ট্যুর দিবো! আর আপনারা ও যে কোন ট্যুর রিলেটেড সার্ভিস এবং মায়াবিনী লেক এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ভ্রমণবেলার অরুপ দা এর সাথে, ডেসক্রিপশন বক্স এ সব ইনফরমেশন দেয়া থাকলো!
আল্লাহু হাফেজ।
"Scott Buckley - Sanctum [Epic]" is licensed under a Creative Commons license (CC-BY) Music provided by BreakingCopyright: • [No Copyright Music] Scott Buckley - ...
#fahimmuskan
Информация по комментариям в разработке