Скачать или смотреть জামায়াত নেতা ছিনতাইয়ের মামলায় আরও ১৬ জন গ্রেফতার

মোঃ ময়নুল হোসাইন :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুলিশের হ্যান্ডকাপ সহ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আলাউদ্দিন আল আজাদকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরো ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন বিএনপি নেতা ও বাকিরা জামাত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা হলো বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পুর্ব দেলুয়ার সফিকুল ইসলাম ঠান্ডু, ঘাটিনার নাজমুল হোসেন, কয়ড়া চরপাড়ার আনোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম, মনসুর রহমান, সরাতলার আলহাজ্ব মোকবুল হোসেন, ইউসুফ আলী, আব্দুল লতিফ, বাবলু মিয়া, রেজাউল ইসলাম, খামারপাড়ার সুজন হোসেন, ভেংড়ি গ্রামের শাহিন আলম, শাহাদত হোসেন, রবিউল করিম, রেজাউল করিম, রুহুল আমীন। এনিয়ে মোট ২১ জনকে এই মামলায় আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ভেংড়ী গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আলাউদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও নাশকতায় অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে। রয়েছে গ্রেফতারী পরোয়না। গত সোমবার দুপুরে চরপাড়া গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদীনের মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। এতে জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদের উপস্থিত থাকার খবর পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের এস.আই রিপন সহ ৬ জন পুলিশ সদস্য বাড়িটি ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের হাতে আটক হয় ওই জামায়াত নেতা। পুলিশ তাকে দ্রুত হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে তোলার সময় স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কর্মী ও তার নিকট আত্বীয় কয়ড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম খোকা সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মিলে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঐদিন রাতে এ ঘটনায় থানার এসআই রিপন কুমার সাহা বাদী হয়ে ৭৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে াত্রলীগ নেতা সহ আটক করে ৫ জনকে। এরপর মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরো ১৬ জনকে।
হ্যান্ডকাপ নিয়ে পলাতক আসামী সকলকে আটক না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ জানিয়েছে