শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর জ্বর কমানোর উপায় - শিশুর ঠান্ডা জ্বর-High fever in children treatment

Описание к видео শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর জ্বর কমানোর উপায় - শিশুর ঠান্ডা জ্বর-High fever in children treatment

শিশুর জ্বর নিয়ে বলেছেন ডা. সোমা হালদার, সহকারী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ // সৌজন্যে - Chopstick // মিডিয়া পার্টনার - MediTalk Digital

বিভিন্ন কারণে আপনার ছোট্ট শিশুর জ্বর হতে পারে। এটা শিশুদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। বিচলিত না হয়ে, শান্ত ও সুস্থিরভাবে শিশুর সুস্থতার জন্য সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে।

শিশুদের জ্বর কেন হয়?
শরীরে কোনো সংক্রমণ হলে প্রাকৃতিকভাবে শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা হয়, কারণ তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়।

জ্বর শিশুদের অন্যান্য রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে যেমন চিকেন পক্স, টনসিলাইটিস ইত্যাদি। এছাড়া টিকার পরবর্তী সময়েও জ্বর হওয়া স্বাভাবিক।



শিশুর জ্বরের লক্ষণ
ত্বকে হাত দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করলেই আমরা জ্বর সন্দেহ করি। অতিরিক্ত ঘাম, খাবারে অরুচি, ক্লান্তি, অসুস্থতাবোধ শিশুর জ্বরের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়।

থার্মোমিটারের মাধ্যমে সহজেই তাপমাত্রা যাচাই সম্ভব। ৩৮° সেলসিয়াস/ ১০০.৪° ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রাকে সাধারণত জ্বর বলা হয়। বাড়িতে শিশুদের তাপমাত্রা দেখার ক্ষেত্রে ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করা শ্রেয়।

শিশুর জ্বর হলে করণীয়
শিশুর শরীরে যেন পানির অভাব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, দুধ, বেবি ফর্মুলা ইত্যাদি দিতে হবে। সাধারণত শিশুর পানির ঘাটতির লক্ষণ হলো অল্প প্রস্রাব, কান্না করলে চোখে পানি না আসা, মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া।

শিশু বুকের দুধ খেলে এ সময় বেশি বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

শিশুকে হালকা পোশাক পরাতে হবে।

প্রয়োজনে কুসুম-গরম পানিতে গোসল করানো যেতে পারে।

রাতে শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়াতে হবে।

যা করবেন না
রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত জ্বর কমানোর কোনো ওষুধ শিশুদের খাওয়াবেন না। মনে রাখবেন শিশুদের স্বাস্থ্য আমাদের চেয়ে নাজুক।

ভারী পোশাক বা কাঁথা-কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখবেন না।

শরীর বা মাথা মুছতে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন না।



জ্বরের সাথে খিঁচুনি
৬ মাসের কম বয়সি শিশুদের জ্বরের সাথে মাঝেমধ্যে খিঁচুনি দেখা যায়। শিশুর খিঁচুনি হলে ভয় পাবেন না, সাধারণত এটি কোনো বড়ো ক্ষতির লক্ষণ নয়। তবে খিঁচুনির সাথে সাথে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



ডাক্তারের কাছে কখন যাবেন
বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দিলে
অতিরিক্ত পানির অভাব ঘটলে
ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ হলে
শ্বাসকষ্ট, কাশি বা অনুরূপ উপসর্গ
খিঁচুনি হলে
তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে
অস্বাভাবিক কান্না বা ঘুম হলে
জ্বর যদি ১০১ ডিগ্রীর ওপরে উঠে যায়
এক মাসের কম বয়সি শিশুদের জ্বর এলে অবশ্যই সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুর যেকোনো অসুস্থতা পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখতে হবে, শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর হওয়া স্বাভাবিক। তবে কোনো সন্দেহ, প্রশ্ন অথবা জটিল উপসর্গ থাকলে স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке