Скачать или смотреть কিভাবে মৃত্যু মা বাবার ও খেদমত করা যায় জেনে নিন।

1. দোয়া ও স্মরণ রাখা
— নিয়মিত তাদের জন্য দোয়া করা (ইচ্ছে মত): আত্মার শান্তি, গুনাহমাফির জন্য, এবং পরিবারের জন্য ক্লান্তিহীন সহায়তার জন্য।
— বিশেষ দিনগুলোতে (মৃত‌্যুর বার্ষিকী, জন্মদিন ইত্যাদি) পরিবার মিলে দোয়া করা।
— ঘরে এমন স্মরণস্থল রাখা — ছবি বা ছোট স্মরণবাক্স — যাতে ভালো স্মৃতি ধরে রাখা যায়।


2. সদকাহ/সদকাহ জারিয়াহ (চিরকালের ফান্দা)
— তাদের নামে কোরআন বিতরণ, কোবোর পথের আলোকসজ্জা, শিক্ষা বৃত্তি, কুয়ো/পুক বা বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি করালে তা দীর্ঘকালীন সুফল দেয়।
— স্থানীয় মসজিদ, স্কুল বা হাসপাতালের উন্নয়নে দান করা যেতে পারে।


3. কাফেলা ও মাশআয়াখ/ধর্মীয় কাজ
— তাদের স্মরণে কোরআন খতমের আয়োজন বা কবরের কাছে বিশেষ দোয়া পাঠ করানো (স্থানীয় রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে)।
— নিজের নৈতিক আচরণ ও ইবাদত বাড়িয়ে তাদের জন্য অনুগ্রহ কামনা করা — ভালো সন্তান হওয়াই বড় খেদমত।


4. কবর-পরিচর্যা ও ভিজিট করা
— নিয়মিত কবর জায়গা পরিস্কার রাখা, ফুল/পানি দেওয়া, দরদীভাবে দু’আ পাঠ করা।
— ভ্রমণ করে কবর জায়গায় গেলে তিলাওয়াত বা পাথর-পরিষ্কার ইত্যাদি করা।


5. ঋণ-মকবুলতা ও আইনি বিষয় সম্পন্ন করা
— বাবা-মায়ের ঋণ থাকলে পরিশোধ করা; তাদের ইচ্ছাপত্র (ওয়াসিয়াত) বাস্তবায়ন করা।
— প্রাপ্য সম্পত্তি সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ করা ও ওয়ারিশদের সাথে ন্যায়বিচার করা—এটাই জীবিতদের প্রতি খেদমতের অন্যতম রূপ।


6. পরিবার-সাহায্য এবং সম্পর্ক রক্ষা
— তাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সৎ আচরণ ও সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া।
— তাদের রেখে যাওয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্তান, ভাই/বোনদের সাহায্য করা—বাড়ির ঝক্কি-ঝামেলা, সরকারি কাজ ইত্যাদি সামলানো।


7. তাদের স্মৃতি ও মূল্যবোধ জীবিত রাখা
— বাবা-মায়ের ভাল গুণাবলি, শিক্ষনীয় কথা, নৈতিকতা ও পারিবারিক নিয়ম সন্তানদের কাছে শেখানো।
— তাদের জীবনী, গল্প বা স্মৃতিচারণ করে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা — এভাবেই তাদের পুণ্য বাড়ে ও তাদের প্রতিরূপ চলে আসে।