Скачать или смотреть জীবন নিয়ে জরুরীভাবে ভাবতে বসুন; কারণ জীবনের সত্যিকার গতি থেকে আপনি ইতিমধ্যে বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

মানুষ বাইরের রাগটুকু দেখে, ভেতরের যত্নটুকু দেখে না।

আপনার চিহ্ন যেখানে থাকবে না, সেখানে নিজের অস্তিত্বের স্মরণ করাতে যাবেন না। কারণ, প্রয়োজন যেথায় ফুরিয়ে যাবে, সেখানে নিজেকে মেলে ধরাকে সবাই স'স্তা মনে করে।

কিছু পরিবর্তন কষ্টদায়ক হলেও জীবনের জন্যে খুব বেশি প্রয়োজন। দিনশেষে সবাই আপনাকে কিছু না কিছু একটা দোষ দিয়েই ছেড়ে যাবে। মনে রাখবেন, তারা ছেড়ে যাওয়ার জন্যেই আপনার জীবনে এসেছিল; দোষটা তো মাত্র উসিলা। একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে পাওয়া!

কিছু মানুষ 'চাঁদ' এনে দেওয়ার গল্প বলে, আকাশ কেড়ে নিয়ে যায়! আল্লাহ বলেন, "অবশ্যই তুমি পাবে, যা তোমার থেকে চলে গেছে তার চেয়েও উত্তম"।- [সূরা আনফাল ৭০]

সব অন্যায়ের কোন না কোনদিন সাজা আছে। আপনি হয়তো অন্যায়টি করা বন্ধ করে এখন অন্য কিছুতে মন দিয়েছেন বা অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু অতীতে করা পাপ আপনার পিছু কখনো ছাড়বেনা। যে অপরাধ আপনি করে ফেলেছেন তা এমন টাইমে এসে আপনাকে ধরা দিবে যে সময় হয়তো আপনি সবে মাত্র সুখ করবেন বলে নিজেকে গুছিয়েছেন! এমন সময়ে এই কর্ম ফল এসে উপস্থিত হবে আর আপনার শাস্তি দিয়ে যাবে আপনি কিছুই করতে পারবেননা। শাস্তি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে হলেও ঠিকই হয় কিন্তু হবেই। তাই সময় থাকতে সাবধান। কেউ আপনার সাথে অন্যায় করে থাকলে জাস্ট নিজেকে শক্ত ভাবে এগিয়ে যাবার জন্যে এ শিক্ষা গুলো মনে রেখে আশা কমিয়ে ফেলে এমনি বড় হতে হবে মানসিকভাবে। কারণ এসব নিয়ে পড়ে থাকলে কেউ বড় হবেনা বরং মনে এ শিক্ষা গুলো রাখলে আশা কমবে, মন শক্ত হবে, নিজেকে তৈরীতে মন দিবে। তখন এমনিতেই বড় হয়ে উঠবে যে তোমরা আমার পেছনে কি করছো এটা আমাকে আর কাঁপায় না, ভাঙে না। আল্লাহকে স্মরণ করার কথা বলা মানেই তো বিনয় ও মুমিন বান্দা হয়ে পড়া, প্রতিটি শব্দের যথেষ্ট শক্ত অর্থ থাকতে হবে আর আপনাকে নিজের কাজে মন দিতে হবে।

নির্দিষ্ট একজনে আসক্ত থাকা কিংবা তৃপ্ত থাকার মাঝে অন্যরকম একটা শান্তি আছে। আর একবার যখন মানুষ কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়, নির্দিষ্ট একটা মানুষের মায়ায় আবদ্ধ হয়; তখন পৃথিবীর আর দ্বিতীয় কাউকে ভালো লাগে না। ভালো লাগাটাও আর কাজ করে না তখন! শত ঝড় উপেক্ষা করে, শত বাঁধা পেরিয়ে একজন নির্দিষ্ট মানুষটার হাত ধরে রাখা বেশ কঠিন হলেও অসম্ভব কিছুও নয়। আর নির্দিষ্ট একজনে তৃপ্ত থাকার মতো আনন্দ কিংবা সুখ পৃথিবীর আর অন্যকিছুতে নেই। নির্দিষ্ট একজনের মাঝে যারা সুখ এবং শান্তি খুঁজে নিয়েছে, তাদের মতো সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছে।

লাগাতার চেষ্টা করলে অযোগ্য কাউকে যোগ্য বানানো সম্ভব, কিন্তু বেঈমানকে কখনও বিশ্বস্ত বানানো সম্ভব না।

যারা হিংসা করে, তারাও কিন্তু এক ধরনের উপকার করে। জীবনচলায় অনেকটাই পথ এগিয়ে দেয়। তারা হিংসা করে বলেই, নিজের ভালো কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, হিংসুকদের এতে আরো হিংসা বৃদ্ধি পায়! হিংসা এবং সমালোচনা করা একটা মানসিক রোগ! মজার ব্যাপার হলো আপনার পায়ের সমান যোগ্য না হয়েও একজন আপনাকে হিংসা কিংবা সমালোচনা করতে পারবে। সুতরাং হিংসুক এবং সমালোচকদের প্রতি আরো দয়াশীল হোন, তাদেরকে টিস্যু এগিয়ে দিন; সম্ভব হলে ঘুম পাড়ানীর গান শুনিয়ে ঘুমাতে সাহায্য করুন!

ভালো থাকাটা একটা আর্ট। ভালো থাকতে চাইলে সব বিষয় মাথায় নিতে নেই। আনপ্রডাক্টিভ মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুন। স্বামী/স্ত্রী কেন ওই কথাটা চেপে গেল, বন্ধু কেন হঠাৎ বদলে গেল, আমার থেকে আমার ভাই বোনের ফোন কেন দামী! কেন এত বিষয় নিয়ে নিজেকে খামোখা যাতনা দেওয়া। আরো একটু বেশি পড়তে হবে- নিজের জন্যে। আরো দুটো বেশি ভাষা শিখতে হবে। স্রষ্টার সামনে দাড়াতে হবে একান্তে।কিছুটা সময় রঙ তুলি নিয়ে বসতে হবে, একলা ঘরে নিজের মনেই আরো একটু নাচতে হবে। চুলে স্পা মুখে প্যাক লাগাতে হবে। আশেপাশে দু একটা মানুষকে সহযোগিতা যদি করা যেত! আরো একটু বেশি মন দিতে হবে কাজে। নিজেদের অর্থে ঘুরতে হবে দেশটা, তারপর দেখতে হবে পিরামিড থেকে গ্রিসের সমুদ্র সৈকত; নেদারল্যান্ডের টিউলিপ থেকে আফ্রিকার আদিম অরণ্য। এই কদিনের জীবনেই করতে হবে, করতে ইচ্ছে করে কতকিছু; আর আমরা সময় নষ্ট করে ফেলি কত অপাত্রে!

কল্পনার বরফের ঘর আপনার গরম কমিয়ে দিক। আমার স্কিন অনেক সেনসেটিভ, দেহে খানিকটা মেদ আছে কিন্তু আমার গরম লাগে না। কারণ আমি সবসময় কল্পনা করি যে, আমার সামনে একটা বড় বরফের ঘর আছে। আমি যখন তখন সেই বরফের ঘরে ঢুকে পড়ি। কল্পনায় বরফ গলা পানিতে ভিজি। এতে আমার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এভাবে সারাদিন আমার শরীর ঠান্ডা থাকে। মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন তো আর এমনি এমনি বলেননি যে, 'কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও শক্তিশালী...।'