Скачать или смотреть মা সহ মন্দিরটি কিভাবে পশ্চিম দিকে ঘুরে গেলো। মানসা কালীবাড়ি মন্দির। বাহিরদিয়া, ফকিরহাট।

মা সহ মন্দিরটি কিভাবে পশ্চিম দিকে ঘুরে গেলো। মানসা কালীবাড়ি মন্দির। বাহিরদিয়া, ফকিরহাট।
‪@surerdhara45‬
#কালীমন্দির #কালীমাতা #কালীকথা
আপনার জন্য নিয়ে এলাম মানসা কালী বাড়ির একটি চিত্র — ফকিরহাট, বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরটির দৃশ্য, যেখানে ভালোবাসা আর নান্দনিকতার ছোঁয়া এখনো স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়।
মানসা কালী বাড়ি: কিংবদন্তি ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব
অবস্থান ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া–মানসা ইউনিয়নেই অবস্থিত এই মন্দিরটি প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। স্থানীয়দের মতে, মন্দিরটির বয়স প্রায় ২০০ বছর । প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত, এখানকার স্থাপত্যে রয়েছে ব্রাহ্মণদের থাকার ঘর, একটি সিঁড়িবাঁধানো পুকুর, এবং তিনটি পৃথক ঘর ব্যবস্থা ।
পুনর্নির্মাণ ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর দখলে পড়ে মন্দিরটি ধ্বংসের শিকার হয়; দেবী কালীসহ বিগ্রহগুলি ভেঙে ফেলা হয় এবং লুটপাট করা হয় মূল্যবান সামগ্রী । পরবর্তী সময়ে, ১৯৭৪ সালে সমাজসেবক ধীরেন্দ্রনাথ দাস মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ ও নতুন বিগ্রহ স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে ১১ই চৈত্রে প্রতিবারে মন্দিরের পুনঃপ্রকাশ দিন ঐতিহ্য অনুসারে উদযাপিত হয়—নৈশভোজ ও মিলনমেলায় রূপান্তরিত এই আয়োজনগুলো ভক্ত-জনতার মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ।
আর্কিটেকচারাল বৈশিষ্ট্য
এই মন্দিরের একটি বিশেষ দিক হলো—এটি পশ্চিমমুখী মন্দির, যা আশেপাশের এলাকায় বিরল । প্রতিনিয়ত মা কালী আরাধনা চলে এখানেই; বিশেষত শ্রাবণ মাসে শিব পূজা, আষাঢ়ে কালী পূজা, স্বরস্বতী পূজা ও কালী-পূজা আয়োজন হয় নিয়মিতভাবে ।
সম্প্রদায় এবং প্রশাসন

সারসংক্ষেপ
বিষয়বিবরণঅবস্থানফকিরহাট, বাহিরদিয়া–মানসা ইউনিয়ন, বাগেরহাট, খুলনা বিভাগঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটপ্রায় ২০০ বছরের পুরনো প্রাচীন মন্দিরবৈশিষ্ট্যপশ্চিমমুখী মন্দির, তিনটি ঘর, সিঁড়িবাঁধানো পুকুরপুনর্নির্মাণ১৯৭৪ সালে ধীরেন্দ্রনাথ দাস কর্তৃকবার্ষিক উৎসব১১ চৈত্রে পুনঃ প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন পূজা ও মিলনমেলা।
মানসা কালী বাড়ি শুধু এক মন্দির নয়—এটি অতীত ও বর্তমানের সেতুবন্ধন, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ইতিহাস এক হয়ে বসবাস করে