Скачать или смотреть উপন্যাস ও রোমান্সের পার্থক্য - বাংলা সাহিত্যে যে কোন একটি রোমান্স -NovelVSRomance

‪@sahityapragati‬ নভেল বা উপন্যাস দুটি পরস্পর সম্পর্কিত সাহিত্যের রূপ রীতি। নভেল ও উপন্যাসের মধ্যে খুব সামান্য বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আজ আমরা এখানে উপন্যাস ও রোমান্স এর মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ্য করি তা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমেই দেখে নেব যে রোমান্স ও নভেল কি।
সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রূপ রীতি হলো রোমান্স। রোমান্স ব্যক্তিজীবনের এমন একটি বর্ণনা যেখানে লেখকের কল্পনা মানুষের জীবনের গৌরবময় মুহূর্তগুলি ও বর্ণাঢ্য বিভিন্ন শোভাযাত্রা গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

অন্যদিকে উপন্যাসে লেখক মানুষের জীবনযাত্রার অন্যতম বর্ণনা, বাস্তব জীবন অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাতে সচেষ্ট থাকেন ও যেখানে উপন্যাসিক কল্পনার আতিশয্যহীন জগৎ কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।আমরা মোটামুটি উপন্যাস বা নভেল ও রোমান্স সম্পর্কে উপরে ধারণা লাভ করলাম এবার সাহিত্যের এই দুটি ধারার মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা দেখে নেব।


উৎপত্তি অনুসারে রোমান্স মধ্যযুগে তার বিস্তার শুরু করেছিল কিন্তু উপন্যাস একেবারে আধুনিক যুগের ফসল।



রোমান্সে কাব্যিকতা লক্ষ্য করা যায় কিন্তু উপন্যাস কাব্যিকতাহীন গদ্য নির্ভর লেখ্য।



রোমান্স লেখোকের কল্পনাও আতিশয্যে গড়ে ওঠে যেখানে উপন্যাস জীবন বর্ণনা এক সমন্বিত আখ্যায়িকা।

উপন্যাস সাহিত্যের সেই শাখা যার মধ্যে জীবনের অভিজ্ঞতা লব্ধ বাস্তব সমাজের প্রতিফলন ঘটে। অন্যদিকে রোমান্স বলতে বর্তমান যুগে বোঝায় বাস্তব ও কল্পনার সংমিশ্রণে লেখক মনের পরিস্ফুটন।



মধ্যযুগের রোমান্স বলতে বোঝাত বীরত্ব ব্যঞ্জক ও অবাস্তব অতিরঞ্জিত কাহিনীকে। যদিও বর্তমানে উপন্যাসের মধ্যে কিছুটা কল্পনার মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
বিষয় অনুসারে রোমান্সের কাহিনী সাধারণত ইতিহাস থেকে গ্রহণ করা হয় কিন্তু লেখকরা উপন্যাসের কাহিনী মানবিক সমাজ মানুষের দুর্বলতার বিভিন্ন উপাদান থেকে সংগ্রহ করেন।


রোমান্স সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে - ঐতিহাসিক রোমান্স ও কাব্যিক রোমান্স। অন্যদিকে উপন্যাস বহু প্রকারের - যেমন, কারা উপন্যাস, সামাজিক উপন্যাস, রাজনৈতিক উপন্যাস, মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস ইত্যাদি।