বেক্সিমকো গ্রুপের বিপর্যয় কি দেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করে দেবে? | Garments | Beximco News
পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বে পরিচিত একটি নাম। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আমাদের এই খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। তবে, সম্প্রতি এই শিল্পের অগ্রগতিতে একটি বড় ধাক্কা লেগেছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ কংগ্লোমারেট, বেক্সিমকো গ্রুপ- যা একসময় দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন কঠিন সংকটের মুখে। বিশাল ঋণের বোঝায় জর্জরিত বেক্সিমকো সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় দেশের প্রধান ব্যাংকগুলো এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ৩০,০০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতা শুধু এই কোম্পানিরই সমস্যা নয়, বরং পুরো দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্যও একটি অশনিসংকেত।
বেক্সিমকোর আর্থিক সংকটের কারণে ইতোমধ্যেই ৪০,০০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। যারা এতদিন কাজ করে এই শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাদের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকারে। এক সময় যে কারখানাগুলো বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের মূল চালিকা শক্তি ছিল, সেগুলোর উৎপাদন এখন বন্ধের পথে।
বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে রয়েছে আরও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারের তদন্তে অর্থ পাচার ও ব্যাংকিং অনিয়মের মতো বিষয়গুলো উঠে আসছে। কোম্পানির ঋণ পুনর্গঠনের প্রসঙ্গেও চলছে আলোচনা। এসবের মাঝে গ্রুপটির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার দাবি উঠেছে।
সরকার এখন এক জটিল অবস্থার মুখোমুখি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, কিন্তু একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান রক্ষায় শিল্পগুলো টিকিয়ে রাখাও জরুরি। যদি বেক্সিমকোর মতো বড় কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যায়, তবে এই সংকট শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে পড়বে।
বেক্সিমকোর এই সংকট দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাত বছরে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে, এবং বেক্সিমকো এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল। কিন্তু বর্তমান সংকটের কারনে এই খাত এখন বড় ঝুকির মুখে। এই শিল্পে যে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করেন, তাদের জীবিকা এখন অনিশ্চিত। বেক্সিমকো, এস আলম, রূপালী গ্রুপের মতো কোম্পানিগুলো একসময় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরেছিল। আর এখন তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত।
এখন প্রশ্ন উঠছে, বেক্সিমকো গ্রুপ কি আগের মতো উঠে দাঁড়াতে পারবে? গ্রুপটির মালিকরা, যারা সরকারের কাছে প্রভাবশালী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের তদন্ত চলছে। কিন্তু এই কোম্পানি কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, নাকি পুরোপুরি অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে চলে যাবে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক উদ্যোগ নিলে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। যেমন, সরকার যদি ঋণ পুনর্গঠন, শ্রমিকদের জন্য সহায়তা ব্যবস্থা এবং শিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। তবে এটি নির্ভর করছে সরকারের পরিকল্পনা এবং তা কার্যকর করার ওপর।
তবে, কঠিন এই সংকট সত্ত্বেও কিছু শ্রমিকের মধ্যে আশার আলো রয়েছে। তারা মনে করেন, বেক্সিমকো আবার ঘুরে দাঁড়ালে পুরো শিল্পই ঘুরে দাঁড়াবে। তবে তার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত পদক্ষেপ এবং সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত।
সঙ্কটময় এই সময়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে অন্যন্ত বিবেচনা সহকারে। কারন বেক্সিমকো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই শিল্পের অগ্রতি এবং শ্রমিকদের ভবিষ্যত বেক্সিমকোর টিকে থাকার সাথে জড়িত। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে দ্রুত।
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। এই ভিডিওটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক করুন, শেয়ার করুন, এবং আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। বিজনেস এবং কর্পোরেট জগতের এমন আরও ভিডিও দেখতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Keyword:
বেক্সিমকো গ্রুপ,বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক,বেক্সিমকো,বেক্সিমকো গ্রুপের সম্পদ দেখভালে রিসিভার নিয়োগের রুল,বেক্সিমকো গ্রুপ আপডেট,বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ,দেশের খবর,বেক্সিমকো ফার্মা,বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের,বেক্সিমকো ফার্মা লিগ্যাল ইস্যু,বেক্সিমকো ফার্মা রিসিভার নিয়োগ,আশুলিয়া গার্মেন্টস,বেক্সিমকো ঔষধ কারখানা,বেক্সিমকো টেক্সটাইল,শ্রমিক আন্দোলনের জেরে বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানা বন্ধ
Информация по комментариям в разработке