Скачать или смотреть Bangla News Today 28 April 2020||শেরপুরের সেই ভিক্ষুকে সহায়তায় করলেন প্রধানমন্ত্রী|| News Time

করোনা ভাইরাসের অসহায় মানুষের সহায়তায় ভিক্ষা করে জমানো সর্বস্ব সম্বলটুকুই দান করা সারাবিশ্বে এটা একটা মহৎ দৃষ্টান্ত বলেন তার প্রসংশায় ভাসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেরে পেশায় একজন ভিক্ষুকের করোনা ভাইরাসের মানুষের সহযোগিতার মানসিকতার প্রসংশা করেন।ভিডিও কনফারেন্সেরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদিত পচনশীল কৃষি পণ্য বা পোল্ট্রি, ডেলি, দুদ্ধ পণ্য যেহেতু সব হোটেল, দোকানপাট বন্ধ যার ফলে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এইসব পচনশীল পণ্য ফেলে না দিয়ে কম দামে মানুষের কাছে বিক্রি করে দেয়া যায়। মানুষ খেতে থাকুক বা দুধ দিয়ে ঘি অথবা অন্য জিনিস তৈরি করে রাখা যায় যাতে বহুদিন ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া মানুষকে দিলে তো সেগুলো কাজে লাগে অনেকে দিচ্ছেন সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। যারা অসহায় মানুষেদের পাশে দাড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেয়ার সময় ভিক্ষুকের প্রসংশায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন একজন ভিক্ষুক। তিনহ একসময় কৃষি কাজ করত দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যায়। তারপর থেকে আর কাজ করতে পারে নি। এরপর থেকে ভিক্ষা করে খায়। ভিক্ষা করে করে মাত্র ১০ হাজার টাকা জমা করেছিলো। সেই জমানো টাকা দিয়ে তার ভাঙ্গা ঘরটা মেরামত করবে, তার গায়ে ছেঁড়া কাপড়, তার ঘরে খাবারও ঠিকমত নেই সেগুলে পূরণ করবে। কিন্তু তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পূরণ না করে তার জমানো ১০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন করোনা ভাইরাসের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতার জন্য । আমি মনে করি সারাবিশ্বে এটা একটা মহৎ দৃষ্টান্ত তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এমন মানবিক গুণ আমাদের মধ্যে অনেক বিত্তশালীদের মধ্যেও দেখা যায় না। কিন্তু একজন নিঃস্ব মানুষ যারা কাছে এই টাকা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। যে ওই টাকা দিয়ে দুইটা জমা কিনতে পারত, ঘরটা মেরামত করতে পারত,ঘরে খাবার নিতে পারত বা এই করোনা ভাইরাসের জন্য তার যে অসুবিধা সেগুলো নিয়ে সে চিন্তা করতে পারত কিন্তু তিনি কোন চিন্তাই করেন নি। করোনার এমন পরিস্থিতিতে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা পাওয়াও মুসকিল সেটাও চিন্তা না করে তার শেষ সম্বলটুকু দান করে দিয়েছেন। এই যে একটা মহৎ উদারতা দেখালেন এমন মানসিকতা কিন্তু এখনও বাংলাদেশী মানুষের মধ্যে আছে। কিন্তু সেটা আমরা পাই তাদের কাছে যারা নিঃস্ব তারাই মানবিকতা দেখান। অনেক বিত্তশালীরা তো হাহুতাশ করেই বেড়ায়। তাদের নাই নাই অভ্যাসটা কখনই যায় না। তাদের চাই চাই ভাবটাই সব সময়ই থেকে যায়।তিনি বলেন, যিনি এটা করলে শেরপুর জেলার ঝিনাইদহ উপজেলার ১নং কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাও গ্রামের নাজিম উদ্দীন। তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তার কাছ থেকে আমাদের অনেক অনেক কিছু শিখার আছে। আমরা মানুষের জন্য মানুষ। এটাও সত্য যে আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা তাদের প্রতিবেশীও সবাইকে নিয়ে খেয়ে থাকে।প্রসঙ্গত, ৮০ বছর বয়সী নাজিম উদ্দিন। পেশায় একজন ভিক্ষুক। নিজের বসতঘর মেরামতের জন্য দুই বছর ধরে ভিক্ষা করে ১০ হাজার টাকা জমালেও নিজের ঘর মেরামত বা নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না কিনে। জমানো সর্বস্ব সম্বলটুকুই দান করেন করোনা ভাইরাসের অসহায় মানুষের সহায়তায়। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের হাতে ভিক্ষার টাকা তুলে দেন ভিক্ষুক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।