Скачать или смотреть রোজা রেখে ১৫টি কাজ কখনোই করবেন না! তাহলে রোজার ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন।

সাবধান রোজাদারের জন্য ১৫টি কাজ করা নিষেধ
ইফতারের সময় বিশেষ ফযিলতপূর্ণ দোয়া!    • ইফতারের আগে ও পরে আল্লাহর রাসূল সাঃ যেই বি...  
যে সকল কারণে রোজা ভাঙ্গে না। কিন্তু অনেকেই মনে করে রোজা ভেঙে গেছে!    • যে সকল কারণে মানুষ মনে করে রোজা ভেঙে গেছে।...  
রোজা অবস্থায় ফেসবুকে ভিডিও দেখলে রোজা ভেঙ্গে যাবে?    • রমজানে টিভি,সিনেমা বা ফেসবুক,ইউটিউবের ভিডি...  
রোজাদারকে ইফতার করানোর যে কত সওয়াব! শুনলে অবাক হয়ে যাবেন।    • রোজাদারকে ইফতার করানো এত ফযিলত জানলে,মানুষ...  

রমজান মাসের পরিপূর্ণ ফায়দা হাসিল করতে চাইলে অবশ্যই ১৫টি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

নম্বর ১ হচ্ছে,রোজা রেখে মিথ্যা বলা যাবে না এবং অন্যান্য পাপ কাজের সাথে নিজেকে লিপ্ত করা যাবে না!

নম্বর ২ হচ্ছে,ইফতারের সময় হলে বিলম্ব করা যাবে না! কারণ রাসূলে আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন,ইফতারের সময় হলে দ্রুত ইফতার করে নাও!

নম্বর ৩ হচ্ছে,সাহরি না খেয়ে রোজা রাখা যাবেনা! কারণ রাসূলে আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন,সাহরি হচ্ছে বরকতময় খাবার। সুতরাং এক ঢোক পানি হলেও তোমরা সাহরি করে নাও!

নম্বর ৪ হচ্ছে,মানুষকে জিম্মি করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না! জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে সংকট তৈরি করা যাবে না! সুতরাং যারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে দেয়,তারা রমজানের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবে এবং ভয়ংকর শক্তির সম্মুখীন হবে।

নম্বর ৫ হচ্ছে,অপচয় এবং অপব্যয় করা যাবে না! বরং অপচয়ের বদলায় দান-সদকা বেশি-বেশি করে করতে হবে।

নম্বর ৬ হচ্ছে,কারো ওপর জুলুম অত্যাচার করা যাবে না! কাউকে নির্যাতন করা যাবে না!

নম্বর ৭ হচ্ছে,ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে অলসতা করা যাবে না। প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

নম্বর ৮ হচ্ছে,অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

নম্বর ৯ হচ্ছে,লোক দেখানো ইবাদত করা যাবে না! রিয়ামুক্ত এবাদত করতে হবে।

নম্বর ১০ হচ্ছে,অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না! রোজা রেখে সারাদিন ঘুমের মধ্যে পার করা যাবে না!

নম্বর ১১ হচ্ছে,অশ্লীল ছবি সিনেমা নাটক দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে! রোজা রেখে অশ্লীল সিনেমা এবং নাটক দেখা যাবে না!

নম্বর ১২ হচ্ছে,বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা যাবে না!

নম্বর ১৩ হচ্ছে,কোন বেদাত কাজের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করা যাবে না!

নম্বর ১৪ হচ্ছে,দুনিয়াবি ব্যস্ততায় নিজেকে মগ্ন রাখা যাবে না! বরং ইবাদতের মধ্যে দিয়ে রমজানকে অতিবাহিত করতে হবে।

নম্বর ১৫ হচ্ছে,শেষ ১০ দিন কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকা যাবে না! কারণ শেষ দশকে মহান মালিক বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং শেষ দশকে এমন একটি রাত রেখেছেন যেই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যেই রাত যদি কোন বান্দা পেয়ে যায়,তাহলে সে দুনিয়া এবং আখিরাতে কামিয়াব হয়ে যাবে। এছাড়াও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) শেষ দশকের এতেকাফ করতে বলেছেন।

সুতরাং শেষ দশকে কেনাকাটায় ব্যস্ত না থেকে বরং বেশি-বেশি করে মালিকের ইবাদতে মুশকুল থাকা। কারন কে জানে হতে পারে এটাই আপনার জীবনের শেষ রমজান! এর পরে আপনার জীবনে কোন রমজান আসবেনা। আর যদি এই রমজানে আপনি আপনার গুনাহ গুলোকে মাফ করাতে না পারেন,তাহলে আল্লাহর রাসূল বলেন বলেন,যে রমজান পেল আর গুনাহ মাফ করাতে পারল না,সে ধ্বংস হোক! সে বরবাদ হোক!

সুতরাং যারা রমজানের পরিপূর্ণ ফায়দা হাসিল করতে চায়,পরিপূর্ণ ফজিলত অর্জন করতে চায় তাদের অবশ্যই কর্তব্য হলো এই ১৫ টি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা আমাদের সকলকে রমজানের পূর্ণ ফায়দা,পূর্ণ ফজিলত হাসিল করার তৌফিক দান করুন,আমীন।
#HokkerKafela