Скачать или смотреть সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৫৩৩৪ জন আনসার সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আনফ্রিজ করে প্যানেলে অন্তর্ভূক্তকরণ

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয় তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, অসীম মানবিকতা, সহমর্মিতা এবং পেশাগত প্রজ্ঞার মাধ্যমে বাহিনীতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গত এক বছরে রেষ্টপ্রথা বাতিলের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট গার্ড মোতায়েন জটের কারনে অসম্ভব জটিল পরিস্থিতিতে নিপতিত হয়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাহিনীর বহু বছরের প্রচলিত মোতায়েন রোটেশান চক্র মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাহিনীর অস্তিত্ব ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বহুবিধ উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। এমনকি গত এক বছর যাবৎ নতুন সাধারণ আনসার নিয়োগ সম্পুর্নরুপে বন্ধ রাখা হয়।
তথাপি বহু অঙ্গীভূত সদস্যকে শৃঙ্খলাজনিত কারনে ফ্রিজ ও ব্লক করার ফলে তারা কর্মজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরিবারসহ কঠিন মানবিক সংকটে পতিত হন। সদস্যদের পাশাপাশি তাঁদের নিরীহ পরিবারের দুর্দশা মহাপরিচালক মহোদয় গভীর সহমর্মিতায় উপলব্ধি করেন এবং এ অবস্থায় তাঁদের জীবন ও ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।
তাঁর ধৈর্য, অবিচল মানসিকতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলস্বরূপ, সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৫৩৩৪ জন আনসার সদস্যকে ফ্রিজ থেকে আনফ্রিজে করে প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে—যা বাহিনীর ইতিহাসে এক উদার ও নজিরবিহীন পদক্ষেপ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর ফলে ফ্রিজকৃত সদস্যরা আবারো বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এবং সুনাম, ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা রক্ষার অঙ্গীকারে নতুন উদ্যমে দায়িত্ব পালনের সুযোগ লাভ করেছেন।
এই মহৎ উদ্যোগ শুধু বাহিনীর অন্তর্ভুক্তি ও আস্থার পরিবেশকে সুদৃঢ় করেনি, বরং প্রমাণ করেছে যে বাহিনীপ্রধান শাস্তির পাশাপাশি সংশোধন, পুনর্বাসন এবং সদস্য ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণকেও সমান গুরুত্ব দেন। তাঁর এই মানবিক সিদ্ধান্ত সদস্যদের মনে নতুন আস্থা, অনুপ্রেরণা ও প্রেরণা সঞ্চার করেছে—যা ভবিষ্যতে বাহিনীকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করে তুলবে।
তবে বাহিনীর সকল পর্যায়ের সদস্যদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে যে, বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে শৃঙ্খলাবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড পেশাগতভাবে অত্যন্ত কার্যকর প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে এবং অশুভ চক্রের প্ররোচনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাহিনীর চলমান কল্যানমুখী ও উত্তরোত্তর অগ্রগতির সাথে সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে।
যে সব সদস্যদের ফৌজদারি মামলা চলমান তাদের সাধারন ক্ষমার আওতায় আনা সম্ভব নয়। যে সব সদস্য সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছে শুধুমাত্র তাদের আনফ্রিজ করার বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। যারা নিজের সুবিধার কারনে অফার ব্লক হয়েছে তারা অন্যান্য প্যানেলভুক্তরা সমন্বয় হওয়ার পরেই সুযোগ পাবে। যারা অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে ব্লক হয়েছেন তাদের এযাত্রা সমন্বয় করা যাবে না। সর্বোপরি বয়সভিত্তিক অবসর ও পুনঃঅঙ্গীভুতকরন প্রক্রিয়াতে প্যানেলভুক্তদের সমন্বয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকলে সুযোগ পাবে। যতদিন অপেক্ষারত প্যানেলভুক্তরা অঙ্গীভূত হতে পারবে ততদিন নতুন সকল প্রকার নিয়োগ বন্ধ থাকবে। যদিও এই বিশাল সমস্যার মুল সূত্রপাত হয়েছে ২০১৯-২০২২ সালের মধ্যে ১২০০০ অধিক নিয়োগ প্রদানের কারনে গার্ড সমুহে রোটেশান চাপ বৃদ্ধিতে । দুষ্কর সেই সমস্যার সমাধান করতে হচ্ছে এখন বিভিন্ন অভিনব সমন্বয় কৌশলে। এছাড়াও বাহিনীর প্রতিটি স্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পরিধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরনের সংস্কারের মাধ্যমে আগামীতে এ ধরনের সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান করা হচ্ছে। তবে সকলের প্রত্যাশা হতে হবে যৌক্তিক ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে এবং সুবৃহৎ এই বাহিনীর সার্বিক ব্যবস্হাপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
#hillvdp #ansarbattalionn #dgansar #ভিডিপি #আনসার #আনসার