👉 আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টে জানান। ডাক্তারের 👩⚕️ পরামর্শ পেয়ে যাবেন।
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ। স্বাস্থ্য কথা। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
💡Official site: https://healthylifestylebd.com/
💡Facebook Page: / gethealthylifestyleadvice
💡LinkedIn: / gethealthylifestyleadvice
💡TikTok: / sasthokotha
💡Instagram: / gethealthylifestyleadvice
-----------------------------------------------------------------------------------
সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে কয়েক মাস আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এতে করে মা ও শিশুর সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।
গর্ভধারণের প্রস্তুতি বা প্রিকনসেপশনাল কাউন্সেলিং কথাটার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত না হলেও এর গুরুত্ব অনেক। গর্ভধারণের আগেই কোনো দম্পতি যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং আসন্ন গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালে কী কী সমস্যা হতে পারে এবং কীভাবে তা সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করেন, তাকে প্রিকনসেপশনাল কাউন্সেলিং বলে। এর মূল লক্ষ্য হলো একজন হবু মায়ের সন্তান ধারণের আগে সম্পূর্ণ সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং সুস্থ সন্তানের জন্মদান, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব–পরবর্তী জটিলতা কমানো।
গর্ভধারণের আগে যা করতে হবে:
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডের মতো রোগ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে গর্ভপাত হতে পারে, গর্ভাবস্থায় শিশু মারা যেতে পারে, ওজন কম বা বেশি হতে পারে, শিশুর বুদ্ধি বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, জন্মের সময় ও পরবর্তীকালে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি মায়ের নিজেরও নানা জটিলতা হতে পারে। এসব ঝুঁকি শনাক্তের পর যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের পরই গর্ভধারণ করা।
রুবেলা ও হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া না থাকলে তা নিতে হবে।
গর্ভধারণের এক মাস আগে থেকে এবং গর্ভধারণের তিন মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ৪ মিলিগ্রাম করে ফলিক অ্যাসিড খেতে হবে। এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
মায়ের অতিরিক্ত ওজন, কম ওজন, রক্তশূন্যতা—এগুলো ঠিক করে এরপর গর্ভধারণ করা উচিত।
কেউ যদি আগে থেকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, খিঁচুনি, ঘুম বা মানসিক সমস্যা, থাইরয়েড ইত্যাদি রোগের ওষুধ সেবন করে থাকেন, তাহলে তা অব্যাহত রাখবেন কি না, তা জেনে নিতে হবে।
গর্ভধারণের যে ভয় বা উৎকণ্ঠা থাকে, তা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে দূর করা।
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা করা এবং ধূমপান বর্জন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা। জিনগত রোগের স্ক্রিনিং টেস্ট করা এবং এর ঝুঁকি নিয়ে অবহিত করা। প্রসবের সময়, প্রসবের পদ্ধতি, কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন, সে বিষয়ে অবহিত করা। যাঁদের বারবার গর্ভপাত হয় বা খারাপ ইতিহাস আছে, তাঁদের সঠিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজে না বের করে আবার গর্ভধারণ করা অনুচিত।
প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাধারণ ধারণাও থাকে না অনেকের। মায়ের স্বাস্থ্য, চাহিদা মাফিক পুষ্টি, মানসিক সুস্থতা, যথাযথ পরিবেশ- মাতৃজঠরে বেড়ে ওঠা ভ্রণের বৃদ্ধি ও বিকাশের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে হলে গর্ভধারিণীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। এজন্য চাই গর্ভধারণের প্রস্তুতি।
তবে এ প্রস্তুতি শুধু নারীর একার নয়, তার স্বামী এবং পরিবারেরও। গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ তাই অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ এদেশে উপেক্ষিত একটি বিষয়। তবে আশার কথা হচ্ছে ধীরে ধীরে অনেক দম্পতি এ বিষয়টিতে আগ্রহী হচ্ছেন।
সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের বিষয়টি যতটা না ভাগ্যের ব্যাপার, তার চেয়েও বেশি জড়িত দম্পতির সুপরিকল্পিত ভাবনার সঙ্গে। গর্ভধারণের আগে নিজের শরীরকে উপযুক্ত করতে হবে। এ জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মকানুন। আমাদের এই বিভাগে বাচ্চা নিতে চাইলে করণীয় সেসব বিষয় নিয়েই আলোকপাত করা হয়েছে।
#pregnancy #baby #birth #pregnancytips #pregnancyvlog #pregnancyjourney
Информация по комментариям в разработке