Скачать или смотреть আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। Advantages and disadvantages of eating pineapple

আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। Advantages and disadvantages of eating pineapple


আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা আপনারা প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও পাবেন এই চ্যানেলটিতে সেটা হতে পারে আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও, হতে পারে শিক্ষানীয় বিষয়ক ভিডিও, আবার হতে পারে আপনার বিনোদনের সম্পর্কেও তাই আমাদের এই চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে আপনাদের পাশে থাকার এবং আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। ভিডিও গুলো ভাল লাগলে লাইক ও কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে আপনার বন্ধু এবং আপনার ফ্যামিলিকে দেখার সুযোগ করে দিন। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাদের সকলকে ভাল এবং সুস্থ রাখেন।

Assalamu Alaikum, friends, you will get new videos every day. This channel may be about your health videos, it may be about educational videos, it may be about your entertainment, so by subscribing to this channel, give us a chance to be by your side and serve you. If you like the videos, please like and comment and share to give your friends and your family a chance to see. May Allah keep you all well and healthy.

আজকের ভিডিওর কথাগুলো:

আনারস আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল ফলটি ইংরেজিতে পাইনাপেল নামে পরিচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে প্রচুর আনারসের চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সবচাইতে মিষ্টি আনারসের চাষ হয়ে থাকে মৌলভীবাজার জেলায়।
সুস্বাদু মিষ্টি ফলটিতে রয়েছে নানান পুষ্টি উপাদান খনিজ ও মিনারেল। এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকই রয়েছে যদি আপনি সঠিকভাবে আনারস না খেয়ে থাকেন। তাহলে চলুন জেনে নেই আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি।

১) পুষ্টির অভাব পূরণে:

পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলের নাম আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২) ওজন কমায়:

আনারসে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এসব ফাইবার শরীরের বাড়তি মেদ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। সকালে ফলমূলের তালিকা আনারস রাখলে এবং অন্যান্য খাবারে আনারস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে খুব দ্রুতই শরীরের অতিরিক্ত মেদ চর্বি কমতে শুরু করবে। বিষয়টি শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি।

৩) হাড়ের সুস্থতা নিশ্চিত করে:

আনারসে বিভিন্ন খনিজ ছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে ও হাড়কে বৃদ্ধি করতে এবং হাড়ের নানা প্রকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত আনারস খেলে হাড়ের নানা প্রকার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৪) দাত ও মাড়ির সুরক্ষায়:

দাঁত ও মাড়িতে ইনফেকশন এর যেসব ব্যাকটেরিয়া দায়ী এগুলোকে আনারস সহজেই দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির নানা প্রকার ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেক কম দেয় যার ফলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে।

৫) চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়:

গবেষণায় দেখা যায় আমাদের চোখের ম্যাকুলাস ডিপ্রেশন হওয়া থেকে আনারস রক্ষা করে। এই ম্যাকুলাস ডিপ্রেশন আমাদের চোখের রেটিনা কে নষ্ট করে দেয় যার ফলে আস্তে আস্তে আমরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে অন্ধ হয়ে যাই। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা 30 শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় এতে আমাদের চোখ সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৬) সর্দি কাশি দূর করে:

আনারসের ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৭) ত্বকের যত্নে আনারস:

আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা আমাদের শক্তির যোগান দেয়। এতে থাকা প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এছাড়া দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।

৮) ক্রিমিনাশক হিসেবে:

ক্রিমিনাশক হিসেবে আনারসের রস ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়। কৃমি দূর করতে সকালবেলায় ঘুম থেকে জেগে খালি পেটে আনারস খাওয়া উচিত।

** আনারসের উপকারিতা গুলো তো শুনলাম এবার আনারসের অপকারিতা।

আনারসের উপকারিতা পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে চলুন আনারসের অপকারিতা গুলো জেনে নেই।

১) অ্যালার্জীর আক্রমণ:

আনারস খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে বিশেষ করে যাদের শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যাটি অতি প্রকট আকারে দেখা দিতে পারে। যাদের এসকল সমস্যা রয়েছে তারা আনারস খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আনারস কেটে ভালো করে লবণ দিয়ে ধুয়ে নিবেন এতে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় অবশ্যই আনারস অল্প পরিমাণে খাবেন।

২) রক্তে চিনির পরিমান বৃদ্ধি:

আনারস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে কারণ আনারসের চিনির অন্যতম উপাদান সুক্রোজ এবং ফুক্টোজ ডায়াবেটিসের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই ক্ষতির পরিমাণ কমবেশি নির্ভর করবে আনারস খাওয়ার উপরে আনারস বেশি খেলে সমস্যা বেশি হতে পারে আর কম খেলে আনারস কম হতে পারে।

৩) মুখও গলার জন্য ক্ষতিকর:

আনারসে প্রচুর পরিমাণে এসিডিটি রয়েছে যেগুলো মুখ ও গলার প্রকার শ্লেমা সৃষ্টি করে। আনারস খাওয়ার পর পেটে ব্যথা হতে পারে।

৪) দাতের জন্য ক্ষতিকর:

অনেক সময় আনারস আমাদের দাঁতের উপকার না করে অপকারের কারণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের দাঁতে কে বেটি সমস্যা রয়েছে তাদের দাঁতে ব্যথা বা শিরশির জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

** আনারস খাওয়ার নিয়ম

আনারস নিঃসন্দেহে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী যদি আমরা সঠিকভাবে আনারস খেতে পারি আর যদি এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকে তাহলে অবশ্যই আনারস আমাদের জন্য উপকারী।

পুষ্টিসাধন সহ দেহকে সুস্থ রাখতে আনারস একটি অতুলনীয় ও কার্যকরী ফল। এটি দামেও সস্তা এবং সহজলভ্য। এছাড়া এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন একটি ফল থাকলে মন্দ হয়না। তাই চাইলেই প্রতিদিনের খাবারে আনারস রাখা যেতেই পারে।