Скачать или смотреть জুলাই আন্দোলনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অবদান। জুলাই সরকার পতন আন্দোলন। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতন

উত্তাল ঝুলাইর সময়টায়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা যেন আড়ালেই থেকে গেছে তাদের অবদান নিয়েও কথা হয় না জুলাই জুড়ে লাখ লাখ মাদ্রাসার ছাত্র রাস্তায় ছিল তাদের মধ্যে ১০০ জন শহীদ হয়েছে আহত হয়েছে হাজারেরও বেশি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা হলো জুলাই আন্দোলনের সেই ফাউন্ডেশন যাদের উপর ভর করে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে অথচ বছর খানিক না যেতেই আড়ালে থেকে যাওয়া মানুষগুলোকেই সবাই বলতে বসেচে এই জুলাইয়ের নায়ক আর সেই জুলাইয়ের মাস্টারমাইন্ড সবাই যেখানে নিজেদের ঢোল নিজেরা পিটাচ্ছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সেখানে আড়ালেই পড়ে আছে তাদের খবর ভালোভাবে মিডিয়ায় আসেনা রাজনীতিক দলগুলো সেভাবে প্রচার করে না মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেলেও তাদেরকে কেউ যথাযথ মূল্যায়ন করে না বছরখানেক আগের কথা কি কওমিয়া কি আলিয়া কি
হাফিজিয়া ভেদাভেদ বলে সব মাদ্রাসার ছাত্ররাই রাজপথে নেমেছিল তাদের সাথে নেমেছিল অসংখ্য আলেম ওলামা যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে রাজধানীর মিরপুর সহ অন্যান্য পয়েন্ট গুলোতে প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলেছিল তারা ২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন মাস ঘুরতেই রূপ নেয় সরকার পতন আন্দোলনে এর আগেই ১৯শে জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর ব্যাপকভাবে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও আলেম ওলামা শুধু সেদিনই সারাদেশে শহীদ হন শতাধিক মানুষ যার মধ্যে আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছিল কমপক্ষে ১০ জন পরবর্তীতে ও তাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকে তে সরা আগস্ট বৈষম্য বিরতি ছাত্র আন্দোলন থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলে সর্বস্তরের মানুষের সাথে মাঠে নামেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এরপর চৌঠা আগস্ট লং মার্চ ঘোষণা করা হলেও যৌথ বাহিনীর তৎপরতায় সারাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন ছিল ঢাকা এ সময় যাত্রাবাড়ী অবস্থিত বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসে অবলীলায়। ঢাকা দক্ষিণ এই প্রবেশদ্বার আন্দোলনকারীদের জন্য নির্ভীক রাখতে নানা ভাগে ভাগ হয়ে কর্ম তৎপরতা শুরু করে তারা এক মাস আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কয়েক গ্রুপে ভাগে ভাগ হয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেন শুধু যাত্রাবাড়ী সায়দাবাজ নয় সারা দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রক্ত দিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ছাএ জনতার অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন ৪৫ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী যাদের মধ্যে ১৬ জন ছিল শিশু এরমধ্যে নয় বছরের সাফাকাত সামির ১৯ জুলাই প্রাণহারা এই শিশু মিরপুরের জামিয়াউল উলুম মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল একই দিনে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে রেবের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলি জীবন যায় ১২ বছর বয়সী জোবায়েদ হোসেন ইমন এর ১৩ বছর বয়সী রাব্বি মাতবর উনিশে জুলাই মিরপুরে প্রাণ বিলিয়ে দেয় সাদ মাহমুদ খান ছিল মানিকগঞ্জের সিংগাইরের জাবালে নূর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র ২০ শে জুলাই সাভার এর নিউমার্কেটের সামনে সেও জীবন বিলিয়ে দেয় শিক্ষার্থী ছাড়াও সাত শিক্ষকের প্রাণ গিয়েছে হাসিনা পতন আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন প্রাক্তন ২৩ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সব মিলিয়ে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মধ্যে ৮০ জনের সঙ্গেই মাদ্রাসার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে এর মধ্যে ২১ জন ছিল পবিত্র কোরআনের হাফেজ তবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শহীদের সংখ্যা আরো বেশি বলে অনেকের ধারণা এছাড়াও হাত-পা হারিয়ে সংকট পূর্ণ জীবন যাপন করছেনম এ মানুষগুলো এখনো আড়ালের নায়ক হয়ে আছে