Скачать или смотреть USA -এর ইনটেল কর্পোরেশনের ডিরেক্টর বুয়েটের তাহমিদুর রহমান বিতর্ক করছেন BTV Debate এর Final Round - এ

বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৩-তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে যা শেষ হয় ১৯৯৭ সালের শুরুর দিকে। শুরুতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ এবং ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজ, ভিকারুননিসা নূন কলেজ, হলিক্রস কলেজের মতো কয়েকটি স্বনামধন্য কলেজের অনেকগুলি দলকে নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি শুরু হয় যা প্রথম রাউন্ড, দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যায় পয়েন্টের ভিত্তিতে অতিক্রম করার পরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নক আউট পদ্ধতিতে এগিয়ে সেমিফাইনাল হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে উন্নীত হয় ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে ।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ওইবারই কেবল বুয়েটেরই দুইটি দল একে অপরের মুখোমুখি হয় ফাইনাল রাউন্ডে । এমনকি হল দু'টির অবস্হানও ছিলো বুয়েট ক্যাম্পাসে একে অপরের গা ঘেঁষে ; ডঃ এম এ রশীদ হল এবং শেরে বাংলা হল ।

ডঃ এম এ রশীদ হলের বিতার্কিকরা ছিলেন খালেদ হোসেন চৌধুরী, ফয়সাল হাবিব খান এবং তাদের দলনেতা আনোয়ার পারভেজ শেফীন ।

অপরদিকে শেরে বাংলা হলের বিতার্কিকরা ছিলেন রিয়াজুল হক, নাভিদ বিন সালেহ এবং তাদের দলনেতা তাহমিদুর রহমান ।

ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনায় সেদিন বিচারক হিসেবে ছিলেন ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব । সংসদীয় ধারায় অনুষ্ঠিত সেই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মাননীয় স্পীকার হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এবং ইমেরিটাস প্রোফেসর ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ।

ফাইনাল রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতায় বুয়েটের ডঃ এম এ রশীদ হল তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বুয়েটের শেরে বাংলা হলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে । আর চ্যাম্পিয়ন দল অর্থাৎ ডঃ এম এ রশীদ হলের দলনেতা আনোয়ার পারভেজ শেফীন ফাইনাল রাউন্ডের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে নির্বাচিত হন ৮ জন বিচারকের প্রদত্ত নম্বর তথা রায়ের ভিত্তিতে ।

পক্ষ/সরকারি দল শেরে বাংলা হলের বিতার্কিকদের মধ্যে দলনেতা তাহমিদুর রহমান ক্যালিফোর্নিয়ায় কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য আইটি কোম্পানি ইনটেল কর্পোরেশনের ডিরেক্টর হিসেবে । নাভিদ বিন সালেহ যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় The University of Texas at Austin এ অধ্যাপনা করছেন । আর রিয়াজুল হক প্রোফেশনাল জগতে অনেকদিন বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানি বৃটিশ আমেরিকান টোবাকোতে কাজ করে ২০১০/১২ সালের দিকে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় ।

বিপক্ষ/বিরোধী দলের বিতার্কিকদের মধ্যে ফয়সাল হাবিব খান দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের University of Missouri - Kansas City তে অধ্যাপনা শেষে এখন কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরীর এর চীফ সায়েন্টিস্ট হিসেবে । খালেদ হোসেন চৌধুরী পিএইচডি শেষ করে কনসালটেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে কাজ করছেন ।

আর চ্যাম্পিয়ন দল ডঃ এম এ রশীদ হলের দলনেতা ও ফাইনাল রাউন্ডের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক আনোয়ার পারভেজ শেফীন বাংলাদেশের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিতে একজন এন্ট্রিপ্রিনিয়র হিসেবে কাজ করছেন । পাওয়ারব্রীজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ।