Скачать или смотреть ৯৯ জন মানুষ হত্যার পরও জান্নাতবাসী হবার গল্প। Call me Muslim-36

আসসালামু আলাইকুম।


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈলের মাঝে এমন এক ব্যাক্তি ছিল, যে নিরানব্বইটি মানুষ হত্যা করেছিল। তারপর তার অনুশোচনা হয়, অনেক বড় পাপ করে ফেলেছে কোথায় গেলে বা কার কাছে গেলে এই পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে তাই সে খুজতে থাকে। তারপর এক দিন বাড়ি থেকে বের হইয়ে নামাতের পথের অনুসন্ধানে বের হয়ে এক পাদ্রীর কাছে যান। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করল, আমি নিরানব্বই জন মানুষ হত্যা করেছি এখন আমর তওবা কবুল হওয়ার কোন আশা আছে কি? পাদ্রী লোকটি উত্তরে বলল, না। তখন সে পাদ্রী লোকটিকেও হত্যা করল। এরপর পুনরায় সে লোকদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগল কথায় গেলে সে নাজাতের পথ পাবে। তখন এক ব্যাক্তি তাকে বলল, তুমি অমুক স্থানে চলে যাও। সেখানে গেলে তুমি নাজাতের পথ পাবা। সে তখনি রওয়ানা হল সেই স্থানের উদ্যেশে এবং পথিমধ্যে তার মৃত্যু এসে গেল। এবং তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলেন।

সে তার বক্ষদেশ দ্বারা সে স্থানটির উদ্দেদ্যে যাচ্ছিল সেই দিকে ঘুরে গেল। মৃত্যুর পর রহমত ফিরিশতা ও আযাবের ফিরিশ্‌তাগন তার রূহ নিতে এসে দুই জনেই তাদের রুহ বলে দাবি করলো আর তারা উভয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলেন। তারপর তারা আল্লাহর কাছে গেলো। আল্লাহ তখন সম্মুখের ভূমিকে (যেখানে সে তওবার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল) সেই ভুমিকে আদেশ করলেন, তুমি মৃত ব্যাক্তির নিকটবর্তী হয়ে যাও এবং পশ্চাতে ফেলে আসে স্থানকে (যেখানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল) আদেশ দিলেন, তুমি দূরে সরে যাও। তারপর ফিরিশ্‌তাদের উভয় দলকে আদেশ দিলেন- তোমরা এখান গিয়ে উভয় দিকের দূরত্ব পরিমাপ কর। পরিমাপ করা হল, এবং পরিমাপ শেষে দেখা গেল যে, মৃত লোকটি সম্মুখের দিকে এক বিঘত অধিক অগ্রসরমান। আল্লাহর রহমতে সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হল এবং রহমতের ফেরেস্তা তার রুহ নিয়ে গেলো।
উক্ত হাদিসটি আছে সহীহ বুখারীর-৩২২৪ নং হাদিসে।


এই হাদিস থেকে আমরা শিখতে পারি যে, আমরা যতবড অন্যায়ই করি না কেন যত বড় পাপ ই করি না কেন মহান আল্লাহ রহমানির রহিম এর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহর রহমতে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
তাই আমরা পাপ করেছি বলে আর ক্ষমা পাবো না এমন কথা ভেবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো না এমন কাজ যেন না করি। আল্লাহ রবুল আল আমিন ত আমাদের ক্ষমা করার জন্য বসে আসেন আমরা ভুল শিকার করে তার কাছে ক্ষমা প্রাথনা করলে। ইনশাল্লাহ আল্লাহর রহমতে ক্ষমা পাপ্ত হবো।