ছোট্ট সোনামণিদের জন‌্য।।আল-কুরআনের কথা সিরিজে।।সালাম।।কন্ঠ- মালিহা বিনতে মাহবুব

Описание к видео ছোট্ট সোনামণিদের জন‌্য।।আল-কুরআনের কথা সিরিজে।।সালাম।।কন্ঠ- মালিহা বিনতে মাহবুব

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছো সবাই? আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভাল আছো। ছোট্ট সোনামনিদের জন‌য আল-কুরআনের কথা সিরিজের ৩য় পর্বে তোমাদের স্বাগত।

গত পর্বে আমরা অপচয় না করা সম্পর্কে জেনেছি। আজ আমরা ইসলামী নিয়মে একে অন‌যকে স্বাগত জানানো সম্পের্কে জানবো।

আমরা পরস্পরের সাথে দেখা হলে প্রথমেই যা বলে কথা শুরু করি সেটাকেই মূলত সম্ভাষণ বলা হয়। আমরা সাধারণত একেক শ্রেনীর মানুষের সাথে দেখা হলে একেক ভাবে সম্ভাষণ জানিয়ে থাকি।
বন্ধুদের সাথে দেখা হলে হায়, হোয়াটস আপ ইত‌যাদি বলে থাকি। আবার বড়দের সাথে দেখা হলে কখনো সালাম দেই, কখনো কেমন আছেন জানতে চাই ।

আবার ভাল ভাবে সম্ভাষণ পদ্ধতি প্রাকটিস না থাকার কারণে অধিকাংশ সময় বড়দের দেখে চুপচাপ এড়িয়ে যাই।
কাকে কি ভাবে কি বলবো নানা দিধাদন্ড মনে কাজ করে।
তোমাদের এই সমস‌যার সুন্দর সমাধান আল্লাহ সুবহানা তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা আন-আমরে ৫৪ আয়াতে বলেন-আমার আয়াতের প্রতি যারা ঈমান আনে তারা যখন তোমার কাছে আসে তখন তাদেরকে বলো, তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক...। অর্থ্যাৎ আমরা বলবো সালামুন আলাইকুম বা আসসালামু আলাইকুম। অর্থ তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

আমাদের অনেকের ধারণা শুধু শিক্ষক আর বয়স্কদের সালাম দিতে হয়! কিন্তু এ ধারণা একদম ঠিক নয়। ছোট, বড়, ধনী,গরিব, কৃষক, শ্রমিক সবাইকে সালাম দেওয়ার অভ‌যাস করা উচিৎ।
রাসূল সা: আর সাহাবারা তাই করতেন।
আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন (সালাম) জানানো হয়, তখন (তার জবাবে) তোমরা তার চেয়ে উত্তমরূপে অভিবাদন জানাও অথবা অনুরূপ জবাব দাও; সূরা নিসা আয়াত: ৮৬।
কেউ সালাম দিলে এর জবাবে আমরা সালামুন আলাইকুম বা ওয়ালাইকুম আসসালাম বলে থাকি। অর্থ তোমার উপরেও শান্তি বর্ষিত হোক।

যেকোন অবস্থায় আমাদের বেশি বেশি সালামের প্রচলন করবো। সালামের মাধ‌যমে আমরা অহংকার থেকে মুক্ত থাকতে পারবো এবং সবার সাথে সু সম্পর্ক বজায় থাকবে।
বাড়ি থেকে বের হতে কিংবা বাড়ি ফিরে আব্বু আম্মুকে সালাম দিব, স্কুলে বা খেলার সময় বন্ধু ও সহপাঠিদের সালাম দেওয়ার অভ‌যাস গড়ে তুলবো।

আজ এ পর্যন্তই আবার কথা হবে আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке